আইপিএলের সফলতম দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। শেষ পর্যন্ত তা ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল। কিন্তু, আইপিএল যদি এই বছর না হত, তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের ক্ষতি হত প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা।
এই বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে সিংহভাগই আবার মিডিয়া রাইটস। স্টার টিভির সঙ্গে বার্ষিক ৩৩০০ কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। তার মধ্যে অগ্রিম হিসেবে ২০০০ কোটি টাকা দিয়েও ফেলেছে সম্প্রচারকারী সংস্থা।
টাইটেল স্পনসর হিসেবে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বোর্ডের। যার মূল্য ৪৪০ কোটি টাকা। ভিভো চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা হওয়ায় কিছুদিন আগে শুরু হয়েছিল জোরদার বিতর্ক। গালওয়ান হামলার জেরে চিনা অ্যাপ দেশে নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও বিসিসিআই সম্পর্কচ্ছেদ করতে পারেনি ভিভোর সঙ্গে। অন্য স্পনসরদের থেকে বোর্ডের আয় ১৭০ কোটি টাকা। যা আসে ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম ড্রিম ১১, পেটিএম, সিয়েটের থেকে।
আরও পড়ুন: ১৯ সেপ্টেম্বরেই আইপিএল শুরু আমিরশাহিতে, সূচি আগামী সপ্তাহে
আরও পড়ুন: ভারতের হয়ে একটানা সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলেছেন এই তারকারা
এই বিপুল আর্থিক ক্ষতি এড়ানোর জন্যই আইপিএল আয়োজনের জন্য মরিয়া ছিল বিসিসিআই। এই টাকা দিয়ে ক্রিকেটারদের বেতন দেয় বোর্ড। প্রত্যেক বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ২০০০ ম্যাচ আয়োজন করে বোর্ড। সেই অর্থও আসে আইপিএল থেকে। মহিলাদের ক্রিকেটের জন্যও অর্থের জোগান আসে আইপিএল থেকে। তবে আমিরশাহিতে আইপিএল আয়োজন করতে বাধ্য হওয়ায় বোর্ডের কিছু খরচাও আছে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডকে বিপুল ফি দিতে হচ্ছে বোর্ডকে। ক্রিকেটারদের থাকা ও অনুশীলনের ব্যবস্থার জন্যও রয়েছে খরচা। যার অধিকাংশই দেশে আইপিএল হলে এড়ানো যেত। এই সব কারণেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘরের মাঠে আইপিএল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, দেশে করোনা পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে ভারতে আইপিএল হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করেছে বোর্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy