ইডেন টেস্টের উইকেট নিয়ে প্রবল ভাবে নেমে পড়ল সিএবি। ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় শুধু নন। বোর্ডের পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটর আশিস ভৌমিককেও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে পিচ প্রস্তুতের কাজে।
আজ, শুক্রবার শহরে চলে আসার কথা পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটরের। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে ইডেনে তাঁকে এমনিই দেখা যায়। বোর্ডের নিয়ম মেনেই তিনি আসেন। কিন্তু আসেন, ম্যাচের তিন চার দিন আগে। এ বার তাঁকে আগেভাগে এনে ফেলা হচ্ছে। বোর্ডের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তাঁর এ বার ইডেনে আসার কথা ছিল আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। টেস্ট শুরুর পাঁচ দিন আগে। কিন্তু সিএবির খবর, শুক্রবারই তিনি ঢুকে পড়বেন। দিন দু’য়েক সব দেখে নিয়ে ফিরে যাবেন। আবার আসবেন টেস্টের আগে।
আসলে শহরে গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টিতে ভাল রকম ক্ষতিগ্রস্ত পিচ তৈরির কাজ। বুধবার থেকে পিচের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে কিছুটা। হালকা রোল করা হয়েছে। ঘাস ছাঁটা হয়েছে কিছুটা। পিচ ঢাকাও দিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু পিচের অবস্থার যে মারাত্মক উন্নতি হয়েছে, মনে করার কোনও কারণ নেই। শোনা গেল, পিচের মাটি এখনও যথেষ্ট নরম। কড়া রোদ না পেলে লাভ হবে না। অন্তত দিন চারেকের খটখটে রোদ চাই। তবে ভাল করে রোল করা সম্ভব হবে। তার পর বৃষ্টি হলেও অসুবিধে নেই। পিচ একবার তৈরি হয়ে গেলে, তা কভার করে দেওয়া হবে।
কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে কি?
এক আবহাওয়া সাইটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বেশ কিছু দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কোনও কোনও দিন বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। ইডেন কিউরেটর বলছিলেন, ‘‘রোদ না পেলে রোলিংয়ের কাজ শুরু করব কী ভাবে, জানি না। হালকা রোল করা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু ওতে তো হবে না। দেখা যাক।’’ সুজন আশাবাদী, বৃষ্টি আর না ভোগালে টেস্টের আগে পিচ রেডি করে ফেলা অসম্ভব হবে না। পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটর আশিস ভৌমিকও বললেন, ‘‘২০ সেপ্টেম্বরের পরেও যদি পিচের কাজে হাত দেওয়া যায়, তা হলে দাঁড় করিয়ে দেওয়া সম্ভব। এখনও বাইশ দিন বাকি টেস্টের। এমনিতে উইকেট না রেডি হওয়ার কারণ নেই।’’ ইডেনে উন্নত গ্রাউন্ডকভার চলে আসার জন্যই এতটা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন বলে জানালেন আশিস। বললেন, ‘‘যে গ্রাউন্ড ও পিচ কভার আনা হয়েছে ইডেনে, তাতে সুবিধা হল কভার দিয়ে দিলেও মাঠের ঘাসের কোনও ক্ষতি হয় না। এই কভারে সুবিধা হল হাওয়া ঢোকে কিন্তু জল নয়। একবার পিচটা রেডি করে কভার করে দিতে পারলে আর চিন্তা নেই।’’ সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘উইকেট ঠিক রেডি হয়ে যাবে। সে জন্য তো বোর্ড কিউরেটর আসছেন।’’
কিন্তু সেটা রোদ উঠলে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে। আবহাওয়া ফের বিগড়োলে কী দাঁড়াবে, কেউ জানেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy