ছবি: রয়টার্স।
জার্মান বুন্দেশলিগায় এই মরসুমে কঠিন পরীক্ষার মুখে বায়ার্ন মিউনিখের একাধিপত্য। নেপথ্যে মাত্র এগারো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আরবি লাইপজ়িগ। ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবলের শীর্ষে লাইপজ়িগ। এখনও পর্যন্ত হেরেছে মাত্র দু’টি ম্যাচ। জিতেছে ১২টি। ড্র করেছে চারটি ম্যাচে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বায়ার্ন।
এই মরসুমে দুরন্ত পারফরম্যান্সের মতোই নাটকীয় উত্থান লাইপজ়িগের। বছর আটেক আগেও তারা ছিল পঞ্চম ডিভিশনে। সেই লাইপজ়িগ টানা দুই মরসুম যোগ্যতা অর্জন করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতায়। নাটকীয় সাফল্যের মূল কারিগর ৩২ বছর বয়সি ম্যানেজার উলিয়ান নাগলেসমান। তিনি এ বার মুখোমুখি হবেন জোসে মোরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পারের। এই মরসুমেই লাইপজ়িগের দায়িত্ব নিয়েছেন জুলিয়ান। তাঁর কোচিংয়েই বদলে গিয়েছে লাইপজ়িগ।
পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ের ভক্ত উলিয়ান। স্পেনীয় কোচের মতোই আকর্ষণীয় ৩২ বছর বয়সি ম্যানেজারের রণনীতি। হার না মানা মানসিকতা। ফুটবলারদের সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক তাঁর। ইউরোপের ফুটবল পণ্ডিতেরা বিস্মিত লাইপজ়িগের দুর্দান্ত ফুটবল দেখে।
আরও পড়ুন: নির্বাচক-প্রধান হওয়ার দাবিদার চৌহানও
এই মরসুমে বুন্দেশলিগায় প্রথম পর্বে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে ১-১ করেছিল লাইপজ়িগ। ম্যাচের আগে ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা জুলিয়ানের দলকে গুরুত্বই দেননি। জানিয়েছিলেন, বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না লাইপজ়িগ। ম্যাচ শুরু হওয়ার তিন মিনিটের মধ্যেই রবার্ট লেয়ডস্কির গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। গোল খেয়ে হার ছাড়েননি লাইপজ়িগের ফুটবলারেরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান এমিল ফর্সবার্গ। গোল না পেলেও সেই ম্যাচে লেয়নডস্কিকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন টিমো ওয়ার্নার। বিরতির পরে আজ, শনিবার বুন্দেশলিগায় ফের অভিযান শুরু করছে লাইপজ়িগ। প্রতিপক্ষ আইনথ্রাখ্ট। দুরন্ত সাফল্যের রহস্য কী? দলের প্রধান স্ট্রাইকার টিমো বলেছেন, ‘‘সবাই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরাও ব্যতিক্রমী নই। নিজেদের বলি, আমরা কেন চ্যাম্পিয়ন হতে পারব না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy