বিতর্ক: মিয়াঁদাদ ও ইমরানের সম্পর্ক নিয়ে ফের জলঘোলা।
ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস করলেন প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান বাসিত আলি। তাঁর দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। বাসিত জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জেতার পরের বছরেই চক্রান্ত করে দল থেকে বাদ দেওয়া হয় জাভেদ মিয়াঁদাদকে। সেই চক্রান্তের নেপথ্যে ছিলেন ইমরান খান। বাসিতকে ব্যবহার করা হয় মিয়াঁদাদকে বাদ দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে।
দ্রুত গতিতে মিয়াঁদাদের রান করার ক্ষমতা ও অদ্ভুত ভঙ্গি মন কেড়েছিল ক্রিকেটবিশ্বের। ইমরানের পরেই সে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন মিয়াঁদাদ। কিন্তু বাসিত দলে আসার পর থেকেই তাঁকে মিয়াঁদাদের সঙ্গে তুলনা করা হত। কারণ, বাসিতের ব্যাটিং ভঙ্গিও বেশ আকর্ষণীয়। যদিও মিয়াঁদাদের মতো তিনি ছ’নম্বরে ব্যাট করতে পছন্দ করতেন না। তাঁর পছন্দের জায়গা ছিল চার নম্বর। কিন্তু মিয়াঁদাদকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরে ছ’নম্বরে ব্যাট করতে বাধ্য হন বাসিত। কমে যায় তাঁর ব্যাটিং গড়ও। তাই ৫০টির বেশি ওয়ান ডে খেলতে পারেননি তিনি। টেস্ট খেলেছেন ১৯টি। এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাসিত বলেছেন, ‘‘মিয়াঁদাদকে দল থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাকে ওর সঙ্গে তুলনা করা হত। সত্যি বলতে, মিয়াঁদাদ যে মানের ক্রিকেটার, আমি তার একাংশও নই।’’ যোগ করেন, ‘‘আগে আমি চার নম্বরে ব্যাট করতাম। মিয়াঁদাদকে বাদ দেওয়ার পরে আমাকে ছ’নম্বরে পিছিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। ব্যাটিং গড়ও কমে যায়। এ ভাবেই আস্তে আস্তে হারিয়ে যাই। যেন ধীর ধীরে বিষপ্রয়োগের মতো কাজ করে এই রণনীতি।’’
কিন্তু ’৯৩ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন ওয়াসিম আক্রম। তবুও কী করে এই ঘটনা ঘটল? বাসিতের উত্তর, ‘‘অধিনায়ক আক্রম হলেও সিদ্ধান্ত নিত ইমরানই। ওর জন্যই বাদ যেতে হয় মিয়াঁদাদকে।’’
আরও পড়ুন: ‘এটা কোনও গড়পড়তা বিশ্বকাপ নয়, সব বিশ্বকাপের মিলিত বিশ্বকাপের মতো’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy