কমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদক নিয়ে সিন্ধু। ফাইল চিত্র
কয়েক দিন আগেই কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছেন। পায়ের প্রবল ব্যথা নিয়েও স্ট্রেট গেমে প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন। কিন্তু শুধু কি শারীরিক ধকল, প্রবল মানসিক ধকলও তো থাকে। তা কী ভাবে সামলান পিভি সিন্ধু। তাঁর উত্তর, ‘ধ্যান’। একমাত্র ধ্যান করেই মানসিক চাপ সামলানো যায় বলে মনে করেন সিন্ধু। উঠতি ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের সেই টোটকা দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সিন্ধুকে মানসিক চাপ সামলানো নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেক বছর ধরে ধ্যান করছি। ধ্যান করলে একটা অদ্ভুত মানসিক শান্তি পাই। শরীরের সঙ্গে আত্মার যোগ তৈরি হয়। তখন আর কোনও মানসিক চাপ থাকে না। আমি তরুণ খেলোয়াড়দের বলব, তারাও যেন নিয়মিত ধ্যান করে।’’
কমনওয়েলথ গেমসের সিঙ্গলসে সোনা জেতার আগেই গোড়ালিতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন সিন্ধু। সেই যন্ত্রণা নিয়েই ফাইনালে খেলেছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে জানা গিয়েছে, সিন্ধুর বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ে চিড় ধরেছে। সুস্থ হতে ছয় সপ্তাহ মতো সময় লাগবে। সিন্ধুকে ঘিরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও ভাল ফলের আশায় ছিল ব্যাডমিন্টন মহল। কিন্তু বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে নামতে পারবেন না তিনি।
বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের বাবা পিভি রামানা বলেছেন, ‘‘বার্মিংহাম গেমসেই সিন্ধুর গোড়ালিতে চোট লেগেছে। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়েই সেমিফাইনাল খেলেছে। পরে অবশ্য সোনাও জিতেছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারবে না। এটা খুবই হতাশার। বেশ ভাল ছন্দে ছিল। সিঙ্গাপুর ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছে। কিন্তু সব কিছু তো আমাদের হাতে নেই।’’ দেশে ফিরে চোটের চিকিৎসা শুরু করেছেন সিন্ধু। রামানা বলেছেন, ‘‘দ্রুত চোট মুক্ত হওয়াই এখন লক্ষ্য সিন্ধুর। ও সম্ভবত অক্টোবরের ডেনমার্ক এবং প্যারিস ওপেনের জন্য প্রস্ততি নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy