৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ম্যারাথন লড়াইয়ের পরে ম্যাচ জিতে মারের হুঙ্কার। ছবি: রয়টার্স।
এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। প্রথম দু’সেটের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয় রাউন্ডেই বোধ হয় বিদায় নেবেন অ্যান্ডি মারে। রাফায়েল নাদালের পরে আরও এক অঘটনের অপেক্ষা করছিল মার্গারেট কোর্ট এরিনা। কিন্তু অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। পরের তিন সেট জিতে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছলেন ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড়। খেলার ফল তাঁর পক্ষে ৪-৬, ৬-৭ (৪-৭), ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩, ৭-৫। নিজের কেরিয়ারের দীর্ঘতম ম্যাচ খেললেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার থানাসি কোকিনাকিসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই লড়াই চলছিল মারের। কেউ কাউকে সুযোগ দিচ্ছিলেন না। নিজের সার্ভিস ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন। মারে কয়েকটি আনফোর্সড এরর করেন। তার খেসারত দিতে হয়। ৬-৪ প্রথম সেট জিতে যায় কোকিনাকিস। পরের সেটেও সেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কেউ নিজের সার্ভিস খোয়াননি। সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে মারের ভুলের সুযোগ নিয়ে সেট জিতে যান অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়।
প্রথম দু’টি সেট হেরে গিয়েও যে মারে ফিরতে পারবেন তা মার্গারেট কোর্টে উপস্থিত খুব কম দর্শকই আশা করেছিলেন। কিন্তু নিজের উপর বিশ্বাস হারাননি মারে। তিনি জানতেন, ম্যাচে ফিরতে পারবেন। তৃতীয় সেটও গড়ায় টাইব্রেকারে। এ বার বাজিমাত করেন মারে। ধীরে ধীরে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কোকিনাকিসকে টেক্কা দিতে শুরু করেন তিনি। সেটা দেখা যায় চতুর্থ সেটে। দু’বার প্রতিপক্ষের সার্ভিস ভাঙেন মারে। সহজে জিতে যান চতুর্থ সেট। খেলা গড়ায় পঞ্চম সেটে।
খেলা যত এগোচ্ছিল, তত দমে পিছিয়ে পড়ছিলেন মারে। কিন্তু নিজের মনের জোরে খেলছিলেন তিনি। অন্য দিকে চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কোকিনাকিস। ফলে ভুল করতে শুরু করেন তিনি। তেমনই কয়েকটি ভুল কাজে লাগিয়ে তাঁর সার্ভিস ভাঙেন মারে। তার পরে আর অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। পঞ্চম সেট জিতে ম্যাচ জিতলেন তিনি। ম্যাচ শেষে কাশি হচ্ছিল মারের। বোঝাই যাচ্ছিল, কতটা পরিশ্রম হয়েছে তাঁর। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি।
অস্ট্রেলীয় সময় বৃহস্পতিবারে শুরু হয়ে খেলা শেষ হল পরের দিন। ৫ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ম্যারাথন লড়াই লড়লেন মারে। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘতম ম্যাচ খেললেন মারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতেই কোর্ট ছাড়লেন তিনি।
মারের এই ম্যাচ মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ২০১৩ সালের উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা। স্পেনের ফের্রান্দো ভার্দাস্কোর বিরুদ্ধে এ ভাবেই প্রথম দুই সেট পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছিলেন মারে। সে বার ফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন তিনি। তা হলে কি এ বারও সেই ছবি দেখা যাবে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মারে-ভক্তদের মনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy