স্টোকসের এলবিডব্লিউ নাকচ করছেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসনকে।—ছবি এপি।
হেডিংলের দ্বৈরথ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে শুরু হল এক নতুন লড়াই। এক দিকে শেন ওয়ার্ন, অন্য দিকে ইংল্যান্ডের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার— ম্যাট প্রায়র এবং ক্রিস অ্যাডামস।
ঘটনার সূত্রপাত অস্ট্রেলিয়ার অফস্পিনার নেথান লায়নের একটি পুরনো সাক্ষাৎকার নিয়ে। যেখানে লায়ন বলেছিলেন, ২০১৭-১৮ সালের অ্যাশেজে তিনি কয়েক জন ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের ক্রিকেট জীবন শেষ করে দিতে চান। গত কাল জ্যাক লিচের সহজ রান আউট ফস্কান লায়ন এবং অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হেরে যায়। যার পরে প্রায়র টুইট করেন, ‘‘নেথান লায়ন, ভাল করে ঘুমিয়ো।’’ প্রায়রকে সমর্থন করে টুইট করেন অ্যাডামসও। এর পরে প্রায়রের উদ্দেশে ওয়ার্নের টুইট, ‘‘লায়ন তোমাকে আগের বার শেষ করে দিয়েছিল বলে এই সব বোকা বোকা মন্তব্য করার কোনও মানে হয় না। পরিণত হও।’’ অ্যাডামসকে আরও কড়া ভাষায় অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি লেখেন, ‘‘ক্রিস, তুমি একটা ক্লাব ক্রিকেটার ছাড়া আর কিছু নও। তুমি কী ভাবছ, তাতে কারও আগ্রহ নেই।’’ পরে আবার প্রায়র টুইট করেন, ‘‘এখন ব্যাপারটা বোকা, বোকা হয়ে গেল? কথা তো গিলতেই হবে।’’
একই সঙ্গে অস্ট্রেলীয় প্রচারমাধ্যম মনে করছে, আম্পায়ারের বদান্যতা না পেলে বেন স্টোকস ওই রকম ইনিংস খেলতে পারেন না। স্টোকসকে এলবিডব্লিউ না দেওয়ার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে জোয়েল উইলসনকে।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের তখন দরকার ছিল দু’রান। নেথান লায়ন ঠিক তার আগের বলে একটা সহজ রান আউট ফসকান। পরের বলটা বাঁ-হাতি স্টোকসের লেগ স্টাম্পের ওপরে পড়ে তাঁর পায়ে লাগে। লায়নের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার উইলসন। পরে টিভি রিপ্লে এবং বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গিয়েছে বল উইকেটে লাগছিল। তিনটে লাল আলোই জ্বলছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডিআরএস নেওয়ার আর কোনও উপায় ছিল না। কারণ আগেই ‘রেফারেল’ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ফলে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তই বহাল থেকে যায়।
ইংল্যন্ড প্রচারমাধ্যম ও সমর্থকদের মধ্যে স্টোকসকে ‘নাইটহুড’ দেওয়ার দাবি উঠতে পারে, কিন্তু অস্ট্রেলীয় মিডিয়া তীব্র সমালোচনা করেছে উইলসনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আম্পায়ার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের সময়ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy