ছন্দে: এটিকের প্রস্তুতি। শুক্রবার সকালে। নিজস্ব চিত্র
ডান চোখের কোণটা লাল! জানালেন, সংক্রমণ হয়েছে।
চোখে কালো ফ্রেমের নতুন চশমা। বলছেন, ‘‘চোখে কম দেখছি। তাই চশমা নিতেই হল!’’
নতুন মুখাবয়বের আন্তোনিও লোপেস হাবাসকে মজা করে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নতুন চশমায় এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছেন? সাংবাদিক সম্মেলন শেষে একান্তে এই প্রশ্নটা শোনার পরে এটিকে কোচের শরীরী ভাষাই বদলে গেল যেন। বলে উঠলেন, ‘‘না, না কালকের ম্যাচ নিয়েই শুধু ভাবছি। আর চ্যাম্পিয়ন হব কে বলল? এখনও তা বলার সময়ই আসেনি। ওড়িশার বিরুদ্ধে জিতলে অঙ্কের নিয়মে শেষ চারে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়তো হয়ে যাবে।’’ বলার পরে গম্ভীর হয়ে গেলেন রয় কৃষ্ণদের স্পেনীয় কোচ। বোঝাই যায়, ‘লুক’ বদলালেও দর্শন বদলানোর রাস্তায় হাঁটতে নারাজ কালো প্যান্ট ও সাদা শার্টের মানুষটি।
আজ, শনিবার যুবভারতীতে জোসেফ গাম্বোর ওড়িশা এফসি-কে হারাতে পারলে দু’টো লক্ষ্যে এক সঙ্গে পৌঁছে যাবেন প্রীতম কোটালরা। এক) গোয়াকে টপকে গোল পার্থক্যে ফের লিগ শীর্ষে পৌঁছে যাবে কলকাতা। দুই) ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে এটিকের।
কিন্তু হাবাসের সামনে এই প্রশ্ন তুললেই তিনি রীতিমতো রে রে করে উঠছেন। এ দিনও বলে দিলেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে গেলে বাকি তিনটি ম্যাচে জিততে হবে। সেটা আমাদের সকলের স্বপ্ন। কিন্তু সে জন্য একটা একটা করে ম্যাচ জেতা দরকার। আমার এবং আমার দলের দর্শন সেটাই। একশো ভাগ দিতে হবে।’’
অসাধারণ ট্র্যাক রেকর্ড চলছে এটিকের। টানা তিন ম্যাচে জয়। শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক গোল খেয়েছেন প্রীতম-আগুস্তো, সুমিত রাঠিরা। দশ দলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক (২৭) গোল করেছে হাবাসের দল। তার মধ্যে দশটিই রয় কৃষ্ণের। তবুও হাবাস সতর্ক। বলছিলেন, ‘‘যে কোনও দলের রক্ষণ কম গোল খেলে স্ট্রাইকারদের গোল করার আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’’
ওড়িশার বিরুদ্ধে রয় কৃষ্ণের সঙ্গে চোট সারিয়ে ফেরা ডেভিড উইলিয়ামস, না এদু গার্সিয়াই খেলবেন তা অবশ্য বলেননি এটিকে কোচ। বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষের শক্তি দেখে দল ঠিক করব।’’
শনিবার আইএসএলে: এটিকে বনাম ওড়িশা (যুবভারতী ৭-৩০, স্টার স্পোর্টস টু চ্যানেলে সম্প্রচার)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy