Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ওয়ার্নার ফিরতেই অভিনব ‘হলুদ কার্ড’

বাঁ-হাতি ওপেনার যখন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, গ্যালারির একটা অংশের দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে ‘হলুদ কার্ড’-এর আকারে কেটে আনা সিরিশ কাগজ দেখাতে থাকেন তাঁর উদ্দেশে।

বিদ্রুপ: ওয়ার্নারকে সিরিশ কাগজের কার্ড দেখাচ্ছেন দর্শকেরা। গেটি ইমেজেস

বিদ্রুপ: ওয়ার্নারকে সিরিশ কাগজের কার্ড দেখাচ্ছেন দর্শকেরা। গেটি ইমেজেস

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১২
Share: Save:

বিতর্ক দিয়ে শুরু হল ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দ্বৈরথ— অ্যাশেজ। প্রথমে করমর্দন অনুষ্ঠান বাতিল। তার পরে ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্দেশে সিরিশ-কার্ড দেখানো। যা নিয়ে মাঠের ভিতরের মতো মাঠের বাইরেও জমে উঠেছে লড়াই।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল বিকৃতি কাণ্ডের জেরে এক বছর নির্বাসনে থাকার পরে অ্যাশেজ দিয়েই টেস্টে প্রত্যাবর্তন ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার তিনি ক্রিকেটারের। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টের। এই ক্রিকেটারদের যে দর্শক বিদ্রুপের মুখে পড়তে হবে, এই আশঙ্কাটা প্রথম থেকেই ছিল। বৃহস্পতিবার যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এগারোর তালিকা পড়ে শোনানো হচ্ছে, স্মিথের নাম শোনা মাত্রই বিদ্রুপ করতে থাকেন এজবাস্টনের দর্শকরা।

ব্যাপারটা অন্য মাত্রা পেয়ে যায় ওয়ার্নার আউট হওয়ার সময়। বাঁ-হাতি ওপেনার যখন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, গ্যালারির একটা অংশের দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে ‘হলুদ কার্ড’-এর আকারে কেটে আনা সিরিশ কাগজ দেখাতে থাকেন তাঁর উদ্দেশে। যে ভিডিয়ো আবার টুইট করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট।

এ তো গেল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। অ্যাশেজের প্রথম বল পড়ার আগেই দু’দলের অন্য এক ‘ম্যাচ’ হয়ে গিয়েছে। যে ম্যাচের কেন্দ্রে ছিল ‘করমর্দন অনুষ্ঠান।’

ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন চেয়েছিলেন ম্যাচের আগে দু’দলের ক্রিকেটারেরা যেন করমর্দন করেন। এর আগে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান ডে সিরিজে ম্যাচের আগে করমর্দন করেছিলেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি বদল করতে এই পদক্ষেপ করেছেন পেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে, গত কাল ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মদুগলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ব্যাপারটা প্রথম জানতে পারেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট এবং কোচ ট্রেভর বেলিস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এবং কোচের থেকে সরকারি ভাবে কোনও অনুমোদন না নিয়েই ‘করমর্দন সূচি’ রাখা হয়েছিল। যা দেখে একেবারেই খুশি হননি রুটরা।

ফলে দেখার ছিল, বৃহস্পতিবার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পরে দু’দলের ক্রিকেটারেরা নিজেদের মধ্যে করমর্দন করেন কি না। দেখা গিয়েছে, ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা মারেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেটারেরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ফিল্ডিংয়ে নামার জন্য। দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে যদি কোনও করমর্দন হয়েও থাকে, সেটা ঘটেছে সবার চোখের আড়ালে! বল বিকৃতি কাণ্ডের পরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পেন চেয়েছিলেন, দলের ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি বদলে ফেলতে। যে কারণে প্রতিটা টেস্ট সিরিজের আগে এই করমর্দন প্রথা চালু করতে চেয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, রুট নাকি এ ব্যাপারে মোটেও আগ্রহ দেখাননি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক মনে করেন, এটা স্রেফ একটা জনসংযোগের চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy