নীরজকে পাকিস্তানে খেলতে ডাকলেন আরশাদের কোচ। ফাইল ছবি।
বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতেছেন পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম। এর পরই তাঁর কোচ সৈয়দ হুসেন বুখারি চ্যালেঞ্জ জানালেন নীরজ চোপড়াকে। ইসলামাবাদ বা লাহৌরে আরশাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের আরশাদের সঙ্গে ভারতের নীরজের প্রতিযোগিতা ছোট থেকেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। সব ক্ষেত্রেই বাজিমাত করেছেন নীরজ। গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমস, টোকিয়ো অলিম্পিক্স বা কয়েক দিন আগে হওয়া বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ— সর্বত্রই সোনা বা রুপোর পদক জিতেছেন নীরজ। ২০১৮ সালের এশিয়ান গেমসে সোনা জেতেন হরিয়ানার ২৪ বছরের তরুণ। সে বার ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাক পঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ২৫ বছরের আরশাদকে।
চোটের জন্য বার্মিংহাম গেমসে নামতে পারেননি নীরজ। সোনা জিতেছেন আরশাদ। একই সঙ্গে ছাপিয়ে গিয়েছেন নীরজের সেরা থ্রোয়ের দূরত্বকে। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারের সেরা পারফরম্যান্স ৮৯.৯৪ মিটার। বার্মিংহামে আরশাদ ৯০.১৮ মিটার ছুড়েছেন। বার বার নীরজের কাছে প্রিয় ছাত্রের হার দেখতে হয়েছে বুখারিকে। এ বার সুযোগ বুঝেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি।
বুখারি বলেছেন, ‘‘আরশাদ অধিকাংশ সময় ইসলামাবাদ বা লাহৌরে অনুশীলন করে। আমি চাই দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে আরশাদ এবং নীরজ প্রতিযোগিতায় নামুক। ওদের দু’জনকে এক সঙ্গে দেখতে চাই আমি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘নীরজ আমার সন্তানের মতো। এক জন পাকিস্তানি হিসাবে কথা দিতে পারি নীরজ জিতলে আমরা ওকে বরণ করে নেব। ১৯৬০ সালে লাহৌরে মিলখা সিংহ আমাদের আবদুল খালিককে হারিয়ে যে সম্মান পেয়েছিলেন, নীরজও তেমনই সম্মান পাবে। কারণ অ্যাথলেটিক্স ভালবাসার বন্ধন বাড়ায়।’’
আন্তর্জাতিক স্তরে আরশাদের সাফল্য পাকিস্তানে জ্যাভলিন নিয়ে আগ্রহ অনেক বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বুখারি। বলেছেন, ‘‘এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ জয় এবং অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আরশাদ এক নম্বরে শেষ করার পর থেকেই পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। এখন পাকিস্তানের বহু মাঠে ৩০-৪০ জন ছেলেকে জ্যাভলিন ছুড়তে দেখি। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ বা পাকিস্তান-চিন সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নীরজ ভারতের হয়ে যা করেছে, আরশাদও পাকিস্তানের জন্য ঠিক সেটাই করেছে।’’
বুখারির মতে, নীরজ এবং আরশাদ বিশ্বের সেরা জ্যাভলিন থ্রোয়ারদের দু’জন। তাই তাঁদের লড়াই নিয়ে আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। ক্রীড়াপ্রেমীরা সেরা মানের লড়াই দেখতে পাবেন। তাতে ভারতীয় উপমহাদেশেই অ্যাথলেটিক্স নিয়ে আগ্রহ বাড়বে আরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy