মরিয়া: ঘরের মাঠে তিন পয়েন্টে চোখ কোচ হাবাসের। ফাইল চিত্র
রয় কৃষ্ণ মনে করেন, কোনও স্ট্রাইকার গোল না পেলে তাঁর মন ভাল থাকে না।
পরপর চার ম্যাচে গোল নেই অস্ট্রেলিয়া লিগের সোনার বুট জয়ীর। ভারতে আসার পরে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসাবে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ এটিকে স্ট্রাইকারের পায়ে গোল নেই। নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কৃষ্ণের গলায় তাই নতুন করে ফিরে আসার তাগিদ। বলে দিলেন, ‘‘গোল না পেলে কোনও স্ট্রাইকারের মনই ভাল থাকে না। তবে আমি মনে করি, এটা যে কোনও মানুষের জীবনেই আসতে পারে। আমার মনের ইচ্ছেটা প্রকাশ্যে আনতে চাই না।’’ তাঁর ‘এ’ লিগের দীর্ঘদিনের সঙ্গী ডেভিড উইলিয়ামস চোটের জন্য মাঠের বাইরে। সুস্থ হলেও তাঁকে জন আব্রাহামের দলের বিরুদ্ধে নামানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে না। সম্ভবত তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখা হতে পারে। সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন এটিকে কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস।
নিজে গোল না পেলেও সতীর্থকে দিয়ে গোল করানোর কারিগর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কৃষ্ণ। বলছিলেন, ‘‘আইএসএলের খেলার সঙ্গে অস্ট্রেলীয় লিগের মানের দারুণ কিছু তফাত নেই। আমি গোল করি বা না করি, দল তো জিতছে। খেতাব জেতাটাই লক্ষ্য আমাদের।’’ হাবাস অবশ্য এখনই ‘চ্যাম্পিয়ন’ শব্দটিকে ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দিতে নারাজ। সোমবারের ম্যাচে রবার্ট জারনির দলকে হারাতে পারলেই ফের লিগ শীর্ষে চলে যাবেন প্রীতম কোটাল, সোসাইরাজরা। তা সত্ত্বেও এটিকে কোচ সংযমী। বলে দিলেন, ‘‘আমি ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর পক্ষপাতী। আমাদের প্রথম লক্ষ্য প্রথম চারে থাকা। সেটার জন্য পরের পর ম্যাচ জিততে হবে।’’
পাহাড়ের দল এ বার একেবারেই সুবিধা করতে পারছে না। দশ দলের লিগে তারা এখন রয়েছে নয় নম্বরে। ১১ ম্যাচে মাত্র দু’টি ম্যাচ জিতেছে। এই অবস্থায় যুবভারতীতে খেলতে নামার আগে নর্থ-ইস্ট কোচের গলায় জেদ। বলে দিলেন, ‘‘এ বারের লিগে দেখতে পাচ্ছি, কে কখন জিতে যাবে তা আগে বলা যাচ্ছে না। এই মাসেই দেখছি শেষ পাঁচ মিনিটে অনেক ম্যাচের মীমাংসা হয়ে যাচ্ছে। ফলে শেষ মিনিট পর্যন্ত আমরা লড়ব। দেখে নেবেন।’’
হাবাস আবার খেলার আগে হুঙ্কার ছাড়ার কোচ নন। সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট পরা স্পেনীয় কোচ মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে এমন ভাবে দলকে তাতান বা দলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েন যে, নানা কাণ্ড ঘটে যায়। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সেটা করতে গিয়েই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। লালকার্ড দেখে এক ম্যাচ নির্বাসনেও চলে গিয়েছিলেন। ফের তিনি ফিরছেন সোমবার। এ দিন কেরল ম্যাচের কথা তুলতেই থামিয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘ওসব অতীত। আমি সামনের দিকে তাকাতে চাই।’’ রেফারিং নিয়েও কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বলে দেন, ‘‘রেফারি তো ম্যাচেরই অঙ্গ। রেফারিং ভাল হলে খেলার উন্নতি হয়।’’
শীর্ষে থেকে লিগ শেষ করলে পরের মরসুমে এটিকে মোহনবাগান নাম নিয়ে পরের মরসুমে এশীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা পাবে তাঁর দল। তাঁর কোচিংয়েই খেলবে নতুন নামের দল। এই গাঁটছাড়ার পরিবেশ কেমন লাগছে? কৃষ্ণদের কোচ বলেন, ‘‘পেশাদার কোচেরা যে ভাবে দেখে, সে রকম ভাবেই দেখছি। তবে মোহনবাগানের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা করি।’’ বোঝাই যায়, হাবাসের মাথায় এটিকের সঙ্গে ঢুকে পড়েছে মোহনবাগান নিয়ে অঙ্কও।
সোমবার আইএসএলে:
এটিকে বনাম নর্থ ইস্ট (যুবভারতী ৭-৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy