এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ড্রয়েই খুশি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। ফাইল চিত্র
৭৫ মিনিটে এদু গার্সিয়ার বিশ্বমানের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও ড্র। তারকাখচিত ডিফেন্স লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ। চূড়ান্ত ব্যর্থ মাঝমাঠ। ফলে ৮৫ মিনিটে ঈশান পন্ডিতার গোলে এফসি গোয়া সমতা ফেরাতেই জয়ের স্বপ্ন চুরমার। মাঝমাঠের ব্যর্থতা প্রতি ম্যাচেই চোখে পড়ছে। লিগ টেবলেও সেই পারফরম্যান্সের প্রতিফলন। যদিও গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র করার পরেও এখনও দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে সবুজ-মেরুন বাহিনী। ১১ ম্যাচ খেলে ঝুলিতে ২১ পয়েন্ট। তাই হয়তো গত দুটো ম্যাচ জয় অধরা হলেও চিন্তিত নন হেড কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস।
ম্যাচের শেষে দুবারের আইএসএল জয়ী কোচ ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমরা ম্যাচটা জেতার অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রতি ম্যাচেই আমরা তিন পয়েন্ট জিততে চাই। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্টও খারাপ নয়। এই পয়েন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।”
৭৪ মিনিট পর্যন্ত ফলাফল ছিল গোলশূন্য। মূলত মিডফিল্ডারের ব্যর্থতার জন্যই সেরিটন ফার্নান্দেজ, সেভিয়ার গামারা একের পর এক আক্রমণ করছিলেন। রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যেও বোঝাপড়ার অভাব স্পষ্ট। বাঁ প্রান্ত মোটেও সচল নয়। ফলে জেতা মাঠে ফেলে এল হাবাসের ছেলেরা। যদিও স্প্যানিশ কোচ মনে করেন, এফসি গোয়ার মতো ভাল দলের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ বেশি পাওয়া কঠিন। তাই কম গোলের সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগাতে হয়। বলছেন, “দুটো বড় দলের মধ্যে একটা বড় ম্যাচে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি হয় না। খুব বেশি হলে চার-পাঁচ বা ছ’টা গোলের সুযোগ আসে হয়তো। সেগুলোই কাজে লাগাতে হয়। হয়তো ম্যাচটা আমাদের ছেলেরা হারতে ভয় পাচ্ছিল। তবে আমি ওদের পারফরম্যান্সে খুশি।”
আরও পড়ুন: বার্সেলোনার হয়ে প্রথম লাল কার্ড, চার ম্যাচ নির্বাসিত হতে পারেন মেসি
মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ১ গোলে হারের পর এবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র। রয় কৃষ্ণ, প্রীতম কোটালদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়ন এফসি। আগামী ২১ জানুয়ারি ফতোরদা স্টেডিয়ামে নামবে এটিকে মোহনবাগান। দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ কি নিম্নমুখী? তারকা ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্ঘান অবশ্য মানতে রাজি নন। বরং শেষে বলে দিলেন, “গত ম্যাচ হারের পর আমরা উজ্জীবিত হয়ে এই ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলাম। তাগিদের কোনও অভাব ছিল না। ফলে ম্যাচ ড্র হলেও চিন্তিত নই। আমরা ঠিক ফিরে আসব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy