বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে বিরাট কোহালির বদলে ভারতীয় দলের দায়িত্ব অজিঙ্ক রাহানেকে দেওয়া হোক। কিন্তু অন্তত একজন এই দাবি মানছেন না। তিনি স্বয়ং রাহানে। তাঁর সাফ কথা, কোহালিই এই দলের অধিনায়ক। তিনি সহকারী হিসেবেই থাকতে চান।
সদ্য সমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টে কোহালির নেতৃত্বে ভরাডুবির পর বাকি তিনটি টেস্টে রাহানে নেতৃত্ব দেন। ভারত সিরিজ জেতে। এরপরেই অনেকে বলছেন, কোহালিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দায়িত্বে রেখে রাহানেকে অন্তত টেস্টের অধিনায়ক করা হোক। কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে কোহালিই টস করতে যাবেন। রাহানেকে সহ-অধিনায়ক হিসেবেই থাকতে হবে।
বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই রাহানের। বলেন, ‘‘বিরাট এই টেস্ট দলের অধিনায়ক ছিল, থাকবেও। আমি ওর সহকারী। ও যদি কখনও না থাকে, তখন আমার কাজ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া। তখন আমার দায়িত্ব দলকে সাফল্যে পৌঁছে দিতে নিজের সেরাটা দেওয়া।’’ কোহালির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কীরকম, জানতে চাইলে রাহানে বলেন, ‘‘বরাবরই আমাদের মধ্যে খুব ভাল বন্ধুত্ব। ও বারবার আমার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছে। দেশে, বিদেশে আমরা দুজনেই স্মরণীয় কিছু ইনিংস খেলেছি। বিরাট চার নম্বরে নামে, আমি পাঁচে। এতে আমাদের মধ্যে অনেক বড় রানের জুটি হয়েছে। আমরা সবসময় পরস্পরের খেলার প্রশংসা করেছি। একসঙ্গে যখনই উইকেটে থেকেছি, বিপক্ষের বোলিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। একজন খারাপ শট খেললে সঙ্গে সঙ্গে আরেকজন এসে সাবধান করে দিয়েছি। ও তুখোড় অধিনায়ক। মাঠে দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। যখনই স্পিনাররা বল করতে আসে, ও আমার ওপর বাড়তি ভরসা করে। ও মনে করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন বা রবীন্দ্র জাডেজার বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে ওই ক্যাচগুলো আমিই নিতে পারব।’’
অধিনায়কত্বে অভ্যস্ত না থাকলেও সহকারীকে প্রয়োজন পড়লে দায়িত্ব নিয়েই নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। এটাই সবথেকে কঠিন কাজ। তবে রাহানে বিচলিত নন। বলেন, ‘‘শুধু অধিনায়ক হওয়াটা বিষয় নয়। আসল হল অধিনায়কের দায়িত্বটা কীভাবে পালন করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমি সফল হয়েছি। আশা করব ভবিষ্যতেও হব। চেষ্টা করব দলকে এরকম সাফল্য এনে দিতে।’’
কয়েক বছর আগে যখন খারাপ ফর্মে ছিলেন, তখনও দলে থাকা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন না জানিয়ে রাহানে বলেন, ‘‘আমার একবারের জন্যও মনে হয়নি, দল থেকে বাদ পড়তে পারি। অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্ট সবসময়ই আমার ওপর আস্থা রেখেছে। কয়েকটা সিরিজে কেউ খারাপ খেলবে, হতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তার মান পড়ে গেল। যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন অধিনায়কই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এটা বড় ব্যাপার। এটা হলে নিশ্চিন্ত হয়ে নিজের খেলা নিয়ে ভাবা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy