Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Air India

Mohammad Shams Aalam Shaikh: দেড় ঘণ্টা পর হুইল চেয়ার, শৌচাগার অগম্য! ক্ষমা চাইল এয়ার ইন্ডিয়া

প্রয়োজনের কথা জানিয়েও দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করে হুইল চেয়ার পান শামস। শৌচালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে কারোর সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন।

মহম্মদ শামস আলম শেখ।

মহম্মদ শামস আলম শেখ। ছবি: টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২২ ১৩:১৯
Share: Save:

প্যারা সাঁতারু মহম্মদ শামস আলম শেখকে দিল্লি বিমানবন্দরে হুইল চেয়ার দিতে দেরি করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে শামসের কাছে ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থাটি।

শামস সোমবার টুইট করে অভিযোগ করেন, দিল্লি বিমানবন্দরে হুইল চেয়ারের জন্য তাঁকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাঁর অভিযোগ নিয়ে হইচই শুরু হয়। বহু মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিমান সংস্থাটির সমালোচনা করেন। এর পরই শামসের কাছে ক্ষমা চায় এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।

গত ৬ জুন দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন শামস। তাঁর নিজের হুইল চেয়ার ছিল। সেটি প্রথমে দেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে হুইল চেয়ার পেতে কিছুটা সময় লাগবে। শামসকে সেই সময়ের জন্য বিমানবন্দরে থাকা অন্য একটি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়। সেই হুইল চেয়ারটি ছিল এক্সএল মাপের। যা প্যারা সাঁতারুর ব্যক্তিগত হুইল চেয়ারের থেকে খানিকটা বড়। সেই হুইল চেয়ারে বসতে অসুবিধায় পড়েন প্যারা সাঁতারু।

প্রায় ৯০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এয়ার ইন্ডিয়া শামসকে তাঁর ব্যক্তিগত হুইল চেয়ারটি দেয়। বিমান সংস্থা হুইল চেয়ার দিতে এত দেরি করায় ক্ষুব্ধ হন ২০১৮ সালে এশিয়ান প্যারা গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা সাঁতারু। নেটমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘প্রিয় এয়ার ইন্ডিয়া, এআই ৩০৯ বিমানে বিকাল পাঁচটায় দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছি। আমি হুইল চেয়ার ব্যবহার করি। কেবিন ক্রু-কে জানিয়েছিলাম, হুইল চেয়ারটা আমার গেটেই প্রয়োজন। অথচ এক ঘণ্টা পরেও আমি অপেক্ষা করছি। এখনও ব্যক্তিগত হুইল চেয়ারটা হাতে পেলাম না। শৌচালয় যাওয়ার প্রয়োজন হলেও কারোর সাহায্য পাচ্ছি না।’

তাঁর এই টুইটের পর সমালোচনা শুরু হয়। তারপর ক্ষমা চায় বিমান সংস্থাটি। শামসের টুইটের উত্তরে রি-টুইট করে তারা লিখেছে, ‘ব্যক্তিগত হুইল চেয়ার দিতে কিছুটা সময় লাগায় আপনার সমস্যা আমরা বুঝতে পারছি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কারণেই খানিকটা দেরি হয়েছে। আমরা আশা করব, আপনাকে সঠিক ভাবে পরিষেবা দেওয়ার আর একটা সুযোগ পাব।’

বিমান সংস্থার পক্ষে বলা হয়েছে, ‘দিল্লিতে বিমান অবতরণের পরেই নিয়ম অনুযায়ী শামসকে বিকল্প একটা হুইল চেয়ার ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিগত হুইল চেয়ার কনভেয়ার বেল্টে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে শামসের সঙ্গে একজন সহায়ক ছিলেন। দেরি হওয়ায় আমরা দুঃখিত। আসলে এই বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE