Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
AIFF

Bio Bubble: করোনার মধ্যেও খেলা, ভারতীয় ফুটবলই এখন আদর্শ গোটা বিশ্বের কাছে

গত এক বছর কোভিডের চোখরাঙানির মধ্যেও দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ, আই লিগের মূল পর্ব আয়োজন করে দেখিয়েছে এআইএফএফ।

জৈব সুরক্ষা বলয় ‘মডেল’ সফল।  গর্বিত এআইএফএফ সচিব কুশল দাস।

জৈব সুরক্ষা বলয় ‘মডেল’ সফল। গর্বিত এআইএফএফ সচিব কুশল দাস। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২১ ২১:০০
Share: Save:

করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে একাধিক প্রতিযোগিতা আয়োজন। ফিফাএএফসি থেকে ইতিবাচক বার্তা পেল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। শুধু তাই নয়, এআইএফএফ-এর জৈব সুরক্ষার বলয়কে ‘মডেল’ হিসেবে সামনে রেখে এখন এগোতে চাইছে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থা। সংস্থার এমন সাফল্যে স্বভাবতই গর্ববোধ করছেন ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস

কিন্তু কীভাবে এত কঠিন কাজ অনায়াসে করা গেল? কুশল দাস বলেন, “কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে একাধিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সবার আগে ‘ভিআইপি মানসিকতা’ ব্যাপারটা শুরুতেই বাদ দিয়েছিলাম। কারণ এই ভাইরাসের কাছে সবাই সমান। জৈব বলয়ের মধ্যে একবার ঢুকে গেলে বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তেমনই বাইরের কেউ চাইলেই বলয়ে ঢুকতে পারবে না। এটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দল থেকে শুরু করে ফেডারেশনের সবার কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম। সবাই খুব ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন। তাই জৈব বলয় নিয়ে কেউ একটাও প্রশ্ন তুলতে পারেননি। আর এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সবাই আমাদের ‘মডেল’ দেখে এগোতে চাইছে।”

আর তাই ফিফা ও এএফসি থেকে এসেছে প্রশংসা। গত এক বছর কোভিডের চোখরাঙানির মধ্যেও দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ, আই লিগের মূল পর্ব আয়োজন করে দেখিয়েছে এআইএফএফ। আইএসএল আয়োজনের ক্ষেত্রে এফএসডিএল-কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ফুটবল হাউস। কঠিন জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে এক মুহূর্তের জন্য প্রশ্ন ওঠেনি।

কিন্তু তাই বলে কি দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ, আই লিগের মূল পর্ব ও আইএসএল চলার সময় ভাইরাস হানা দেয়নি? এই প্রতিযোগিতাগুলো চলার সময় একাধিক ফুটবলার ও বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ফুটবল বাতিল করার কথা মাথায় আসেনি। এই প্রসঙ্গে কুশল যোগ করেন, “বলয়ের মধ্যে সবার ৩-৪ দিন অন্তর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল। কারও রিপোর্ট পজিটিভ এলেই তাকে অন্তত ১৭ দিনের জন্য নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। তারপর সেই ব্যক্তিকে বলয়ে ফিরতে হলে ৩টে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসা বাধ্যতামূলক ছিল। এই ব্যাপারগুলো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্যই আমরা সাফল্য পেয়েছি। তবে কথাগুলো যত সহজে বলছি কাজটা কিন্তু এত সোজা ছিল না। কারণ এতগুলো দল, ফেডারেশনের লোকজন, একাধিক গাড়ির চালক, সম্প্রচারকারী চ্যানেল, স্বাস্থ্য কর্মী, ডাক্তার সবাইকে এক ছাদের তলায় মাসের পর মাস রাখা কিন্তু মুখের কথা নয়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy