(বাঁদিকে) তাপসী পন্নু এবং ইমান খেলিফ। —ফাইল চিত্র।
শারীরিক সুবিধার জন্য উসেইন বোল্ট, মাইকেল ফেল্পসদের নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। দাবি বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পন্নুর। প্যারিস অলিম্পিক্সে আলজেরিয়ার মহিলা বক্সার ইমান খেলিফকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তা নিয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। নিজের অভিনীত সিনেমা ‘রশমি রকেট’এর প্রসঙ্গ তুলেছেন খেলিফের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
অলিম্পিক্সে মহিলাদের বক্সিংয়ে ৬৬ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছেন খেলিফ। প্রতিযোগিতা চলার সময়ই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। খেলিফের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি। সেই কারণে ২০২৩ সালে দিল্লিতে আয়োজিত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তাঁকে বাতিল করে দিয়েছিল বিশ্ব বক্সিং সংস্থা। তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। অলিম্পিক্সের সময় অনেকে অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, খেলিফ জিনগত ভাবে পুরুষ। ইটালির বক্সার অ্যাঞ্জেলা কারিনিও তাঁর বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ খেলেননি।
সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন তাপসী। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘এমনই একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। ‘রশমি রকেট’এ এক মহিলা খেলোয়াড়ের (দৌড়বিদ) চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। যাকে শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি থাকায় নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল। সিনেমার মাধ্যমে আমরা একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। এই বিষয়টা নিয়ে তাই আমার কিছু ধারণা রয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সিনেমার চরিত্রটিরও নিজের শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ছিল না। সেও শক্তিবর্ধক কিছু খেয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেনি। হরমোন ইঞ্জেকশনও নেয়নি। জন্মগত ভাবেই তার শরীরে বৈশিষ্ট্য অন্যরকম ছিল। সিনেমায় আমার লড়াই ছিল সেটা নিয়েই। বহু অ্যাথলিটেরই জন্মগত ভাবে কিছু শারীরিক সুবিধা থাকে। যেমন বোল্ট বা ফেল্পস। এরা জন্মেছেন কিছু না কিছু বাড়তি শারীরিক সুবিধা নিয়ে। তা হলে তাঁদের কেন নিষিদ্ধ করা হয়নি?’’
তাপসীর প্রশ্ন, খেলিফের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি রয়েছে প্রাকৃতিক ভাবেই। ইচ্ছাকৃত বা কৃত্রিম ভাবে বৃদ্ধি করা হয়নি। যেমন অন্য বহু ক্রীড়াবিদেরও জন্মগত কিছু শারীরিক সুবিধা থাকে। তা হলে কেন খেলিফকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হচ্ছে? তাপসী বলেছেন, ‘‘খেলিফ কি বিশেষ কোনও ইঞ্জেকশন নিয়ে অলিম্পিক্সে গিয়েছিল? কারও শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য কেন নিষিদ্ধ করা হবে? খেলিফ ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে অনৈতিক ভাবে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করলে অবশ্য অন্যায় করত। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নিষিদ্ধ হতে হত। কিন্তু ও তেমন কিছু করেনি। যে কারণে ওকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা খেলিফ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমিও ঠিক এমনই এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। তাই ব্যাপারটা বুঝতে পারছি।’’
খেলাধুলার সঙ্গে তাপসীর সম্পর্ক নতুন নয়। তাঁর স্বামী ম্যাথিয়াস বো ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের ডাবলসে এক সময় বিশ্বের এক নম্বর ছিলেন। ডেনমার্কের প্রাক্তন খেলোয়াড়ের অলিম্পিক্স পদকও আছে। প্যারিস অলিম্পিক্স পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রনকিরেড্ডি-চিরাগ শেট্টি জুটির কোচ। সেই সুবাদে খেলার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তাপসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy