পরামর্শ: লক্ষ্যের প্রতি সৎ থাকার কথা বলছেন বিন্দ্রা। ফাইল চিত্র
ঠিক এগারো বছর আগে এই ১১ অগস্টই অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে ইতিহাস রচনা করেছিলেন তিনি। যখন বেজিং অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম ব্যক্তিগত সোনা জিতেছিলেন শুটার অভিনব বিন্দ্রা। যে দিনটি স্মরণীয় হয়ে আছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।
কিন্তু স্বয়ং বিন্দ্রার কাছে অলিম্পিক্স সোনা জয়ের ওই দিনটি মোটেই তাঁর জীবনের স্মরণীয়তম মুহূর্ত নয়। অগস্টের বেজিংকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ৩১ ডিসেম্বরের একটা কনকনে সকাল। যখন সকলের চোখের আড়ালে ট্রেনিং করার সময় একশোটি পুশ আপ দিতে হয়েছিল তাঁকে।
নয়াদিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এসে বিন্দ্রা বলেছেন, ‘‘ক্রীড়া জীবনে আমার সেরা মুহূর্তটা এসেছে ক্যামেরার ফ্লাশবাল্বের ঝলকানি থেকে দূরে। যখন কেউ আমাকে দেখছিল না। ওটা একটা ট্রেনিংয়ের দিন ছিল। ৩১ ডিসেম্বর। যখন আমি একটা প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম।’’
কী সেই মুহূর্ত? বিন্দ্রা বলেছেন, ‘‘শারীরিক ট্রেনিংয়ের সেশন চলছিল। প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল। আমাকে একশোটা পুশ আপ দিতে হত। আমার ট্রেনার
গুনতে ভুল করেছিল। যখন ৯৫টা পুশ আপ হয়, তখন ও বলল, ‘একশো হয়ে গিয়েছে, এ বার ছুটি।’ আমি বললাম, ‘না, আরও পাঁচটা আমাকে দিতে হবে।’ আমি একটা কথা বিশ্বাস করি। লক্ষ্যের প্রতি যদি সৎ থাকা যায়, তা হলে সাফল্য আসবেই।’’
২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে প্রচণ্ড কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে লড়াই করে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জেতেন বিন্দ্রা। যা এখনও অলিম্পিক্সে ভারতের একমাত্র ব্যক্তিগত সোনা। সেই সোনা জয়ের এগারো বছর পার হয়ে গিয়েছে। পরের বছর টোকিয়ো অলিম্পিক্স। বিন্দ্রা আশা করেন, তাঁর সোনার ক্লাবে আরও কয়েক জন ভারতীয়ের নাম যোগ হবে। ভারতীয় অ্যাথলিটদের উদ্দেশে একটি টুইটও করেন তিনি। যেখানে লেখেন, ‘‘আশা করব, আজ থেকে এক বছর পরে অলিম্পিক্সে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সোনা জয় নিয়ে উৎসবে মাততে পারব আমরা। সবার প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। সোনা জয়ের লক্ষ্য মাথায় রাখা ছাড়াও নিজেদের সম্মান এবং গর্বের কথা ভুলো না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy