আলোচনা: কোচ অরুণের সঙ্গে অধিনায়ক ঈশ্বরন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
অশোক ডিন্ডাকে ছাড়াই মঙ্গলবার মুম্বই রওনা দিচ্ছে বাংলা দল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলতে। বিজয় হজারে ট্রফিতে ব্যর্থতার পরে বাংলার নতুন অধিনায়কের সামনে আরও একটা সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার। কিন্তু ডিন্ডাকে ছাড়া তা কিআদৌ সম্ভব?
সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন শেষে অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বললেন, ‘‘যাদের প্রয়োজন ছিল, ঠিক তাদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে। ডিন্ডাদা অবশ্যই অসাধারণ ক্রিকেটার। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে তরুণদের উপরে ভরসা রাখা হয়েছে। আশা করছি, দল ভালই খেলবে।’’
সোমবার মুম্বই যাওয়ার আগের দিন ম্যাচ প্র্যাক্টিস ছিল বাংলার। ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী নেটে নামলেন ঈশ্বরনেরা। কিন্তু নতুন বল হাতে সেই পরিচিত লাফ দেখা গেল না। অশোক ডিন্ডার সেই চনমনে মেজাজও কারও মধ্যে দেখা গেল না। যদিও ডিন্ডার পরিবর্ত পেসাররা পারফর্ম করছেন। দেওধর ট্রফির ফাইনালে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ঈশান পোড়েল। একই দিনে অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ান ডে-তে দিল্লির বিরুদ্ধে তিন উইকেট পেয়েছেন আকাশ দীপ। তাঁরা কি ডিন্ডার অভাব পূরণ করার যোগ্য? ঈশ্বরনের কথায়, ‘‘ডিন্ডাদার মতো তো কেউ হতে পারবে না। তবে ঈশান ও আকাশ ভাল পারফর্ম করছে। আর ওদের উপরে ভরসা করা হয়েছে বলেই না দলে নেওয়া হয়েছে।’’
বাংলার দুই পেসারকে নিয়ে আশাবাদী কোচ অরুণ লালও। বলছিলেন, ‘‘ডিন্ডা দল থেকে বাদ পড়ে অনেক দুঃখ পেয়েছে। কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু এগুলো মেনে নিতেই হয়। কেউ তো সারা জীবন খেলতে পারে না। তা হলে এখনও সৌরভকে নামিয়ে দেওয়া যেত।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘প্রত্যেকের জায়গায় কেউ না কেউ এসে যায়। আমার বিশ্বাস, আজ না হোক, পাঁচ বছর পরে ডিন্ডার থেকেও হয়তো ভাল কেউ বাংলার হয়ে খেলবে।’’
অরুণ আরও বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগের ডিন্ডার সঙ্গে এই ডিন্ডাকে মেলানো যাবে না। সকলকেই একটা সময়ের পরে বাস্তবকে মেনে নিতে হয়। আশা করি, এই বাংলা দল নিজেদের উজাড় করে দেবে এবং ট্রফি জয়ের চেষ্টা করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy