নজরে: ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে অভিজিৎ। নিজস্ব চিত্র।
দু’বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। চেন্নাইয়িন এফসি আইএসএলের জন্য চুক্তিও সেরে ফেলে তাঁর সঙ্গে। সেই অভিজিৎ সরকারকে এ বার দেখা যাবে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলতে।
চেন্নাইয়িন থেকে এক বছরের লোনে অভিজিতের ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার কাহিনিও কম আকর্ষণীয় নয়। গত মরসুমে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে আই লিগে খেলার সময়ই বিপর্যয় নেমে আসে অভিজিৎ সরকারের জীবনে। ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে ছিটকে যান। সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার দশ মিনিটের মধ্যে ফের ধাক্কা। হেড করতে শূন্য লাফিয়ে ছিলেন অভিজিৎ। মাটিতে পড়ার পরে ফের গোড়ালিতে চোট পান। আবার ছিটকে গেলেন মাঠের বাইরে। কিন্তু হার মানেননি অভিজিৎ। আই লিগের শেষ ম্যাচে সেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধেই দুর্ধর্ষ গোল করে স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন ঘটালেন। এ বার ইস্টবেঙ্গলের হয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া অভিজিৎ।
আইএসএলের ক্লাব ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে এলেন কেন? অভিজিতের কথায়, ‘‘চোটের কারণে গত মরসুমে আমি খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। চেন্নাইয়িন থেকে জানাল, ম্যাচ ফিট হয়ে যোগ দিতে। এই কারণেই এক বছরের লোনে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলাম।’’ তিনি আরও বললেন, ‘‘চেন্নাইয়িন শুধু আইএসএল খেলে। ইস্টবেঙ্গলে থাকলে কলকাতা লিগ, ডুরন্ড কাপ, আই লিগে খেলার সুযোগ রয়েছে। দ্রুত ম্যাচ ফিট হয়ে উঠতে পারব।’’ অভিজিৎ যোগ করলেন, ‘‘বাঙালি হিসেবে ছোটবেলা থেকেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। এই সুযোগটা তাই হাতছাড়া করতে চাইনি। এই বয়সে ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে খেলার সুযোগ পাওয়াটা আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি।’’
লাল-হলুদ শিবিরে অভিজিতের যোগ দেওয়ার আরও একটা কারণ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। প্রতিশ্রুতিমান ভারতীয় স্ট্রাইকার বলছিলেন, ‘‘আলেসান্দ্রো স্যরের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
মগ্ন: শনিবার সকালে যুবভারতীতে প্রস্তুতি বোরখার। নিজস্ব চিত্র
শনিবার সকালে যুবভারতী সংলগ্ন মাঠে প্রথম দিন অবশ্য হাল্কা অনুশীলন করেই উঠে যান অভিজিৎ। বললেন, ‘‘জ্বর হওয়ায় শরীরটা ঠিক নেই। এই কারণেই প্রথম দিন মাঠে নেমে বেশি অনুশীলন করার ঝুঁকি নিইনি। আশা করছি, সোমবার থেকে পুরোদমে অনুশীলন করতে পারব।’’ এ দিন যোগ দিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বোরখা গোমেস পেরেসও। তিনিও বেশি অনুশীলন করেননি।
জবি জাস্টিন যোগ দিয়েছেন এটিকে-তে। অভিজিৎ কি পারবেন গত মরসুমে লাল-হলুদ ভক্তদের নয়নের মণি হয়ে ওঠা কেরল স্ট্রাইকারের অভাব পূরণ করতে? আত্মবিশ্বাসী অভিজিৎ বলছেন, ‘‘এই মরসুমে নিজেকে প্রমাণ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। দলের জন্যও নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy