এ বার রজ্জাকের নিশানায় কোহালি। —ফাইল চিত্র।
তিনি নাকি যশপ্রীত বুমরাকে খুব সহজেই সামলে দিতেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আবদুল রজ্জাকের এ হেন মন্তব্য ঘিরে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছিল ক্রিকেটমহলে। সেই রেশ কাটার আগেই এ বার রজ্জাকের নিশানায় ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
আইসিসি-র ক্রমতালিকায় বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ভারত অধিনায়ক। তাঁর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন না তাবড় ক্রিকেটাররাও। সেই কোহালি সম্পর্কে রজ্জাকের মূল্যায়ন, কোহালির মধ্যে ধারাবাহিকতা রয়েছে ঠিকই, তবে বিরাট কোনও ভাবেই নাকি সচিন তেন্ডুলকরের পর্যায়ের ক্রিকেটার নন।
ব্যাখ্যা দিয়ে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার বলছেন, “বিরাট কোহালির কথাই ধরুন না। ও যখন রান করছে তখন করেই চলেছে। ভারতের সেরা প্লেয়ার, ধারাবাহিক ভাবে রানও করে চলেছে। কিন্তু, সচিনের সঙ্গে আমি ওকে এক বন্ধনীতে রাখব না। সচিনের ক্লাসই ছিল অন্য।”
আরও পড়ুন: ‘বীজ বুনেছিল সৌরভ, এখন সেটাই বিশাল এক গাছ হয়ে উঠেছে’
রজ্জাক পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট ম্যাচ, ২৬৫টি ওয়ানডে ও ৩২টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়াসিম আক্রম রজ্জাককে মিড অফে দাঁড় করিয়ে সচিন তেন্ডুলকরকে বল করছিলেন। ঠিক ওই জায়গাতেই ক্যাচ তোলেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’। কিন্তু, রজ্জাক তখন নিজের জায়গা ছেড়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ফলে সচিনের ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি। তার পরে আক্রমের বক্তব্য ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেয়। হতাশ আক্রম চিৎকার করে রজ্জাককে বলেছিলেন, ‘‘তুই কার ক্যাচ ছাড়লি জানিস?’’ জীবন ফিরে পেয়ে সচিন পাকিস্তানের সাজঘর থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতের ক্যাম্পে।
সেই রজ্জাক এখন বিশেষজ্ঞর মতো বলছেন, ‘‘১৯৯২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যে সব বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটারদের আমরা দেখেছি, এখন আর তাঁরা নেই। টি টোয়েন্টি ক্রিকেট সব পরিবর্তন করে দিয়েছে। বোলিং, ফিল্ডিং, ব্যাটিংয়ে গভীরতা নেই।’’
আরও পড়ুন: মানসিক জোর জুগিয়েছেন দ্রাবিড়, সচিনের মতো শট মারতে পারলে খুব ভাল লাগে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy