হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং... । কবীর সুমনের এই গান মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শুনেছেন কিনা জানা নেই। তবে এর মূল ভাবটি যে তিনি বহু দিন আগেই মনে গেঁথে নিয়েছেন তা জানা গেল সম্প্রতি। খেলার মাঠেই শুধু নয়, হাল না ছেড়ে মরিয়া লড়াই চালিয়ে জীবনযুদ্ধেও জয়ী হয়েছেন মাহি। নিজের প্রথম প্রেমিকার মৃত্যুশোক কাটিয়ে চূড়ান্ত কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এ সবই জানা গেল ধোনির বাইপিক— এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’র গল্প থেকে।
মিডিয়ার সৌজন্যে এই ফিল্মের গল্প সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই একটাই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। ধোনি সম্পর্কে কি সবটা জানি আমরা! কারণ, এ রকম একগুচ্ছ অজানা কথা নিয়ে সামনে আসছে ‘... দ্য আনটোল্ড স্টোরি’। তবে কি ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের ফার্স্ট লেডি সাক্ষী ধোনির প্রথম প্রেম নন? ফিল্মের সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের খবর, না সাক্ষী নন, রাঁচির প্রিয়ঙ্কা ঝা-ই ছিলেন মাহির প্রথম প্রেমিকা। নীরজ পাণ্ডে পরিচালিত মাহির বায়োপিকে এই অজানা লভ স্টোরিও উঠে এসেছে। তবে হ্যাপি নয়, ট্র্যাজিক এন্ডিং হয়েছিল সে স্টেরির। কী সেই লভ স্টোরি? ধোনির তখন ২২-২৩, ইন্ডিয়া ক্যাপ তখনও স্বপ্ন। ‘এ’ টিমের হয়ে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের শিকে ছিঁড়তে। সে সময়ই আলাপ প্রিয়ঙ্কা ঝা-র সঙ্গে। ইন্ডিয়া ক্যাপের পাশাপাশি প্রিয়ঙ্কার প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছেন মাহি। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গেই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি। সে সময়ই জিম্বাবোয়ে-কেনিয়া সফরের জন্য ইন্ডিয়া ‘এ’ টিমের হয়ে ওয়ানডে খেলার সুযোগ আসে রাঁচির ওই উঠতি প্রতিভার। ২০০৩-’০৪-এর সেই সফরে কেনিয়া-ভারতের সঙ্গে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ছিল পাকিস্তান। ২২ গজের চিরশত্রুর বিরুদ্ধে ২২৩ রান তাড়া করে দলকে জিতিয়েছিলেন ধোনি। পরের ম্যাচেই তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল সেঞ্চুরি। ওই দু’টো ইনিংসেই ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রবি শাস্ত্রীর নজরে পড়েন তিনি। এ বার দেশের মাটিতে টেস্ট টিমে খেলার ডাক পান তিনি। দেশে ফিরে এই সুখবর দিতে গিয়ে জানতে পারেন, দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। মাহির কাছের মানুষেরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর একেবারে ভেঙে পড়েন ধোনি। গোটা এক বছর শোকে ডুবে ছিলেন তিনি। অনেকে ভেবেছিলেন, ইন্ডিয়া খেলা তো দূরস্থান, ক্রিকেটকেই বিদায় জানাবেন তিনি। কিন্তু, সে সমস্ত জল্পনা ভুল প্রমাণ করে ফের ২২ গজে ফিরে আসেন ধোনি। মোড় ঘুরে যায় তাঁর কেরিয়ারের, জীবনেরও। বাকিটা ইতিহাস।
প্রথম প্রেম হারানোর বহু বছর পর সাক্ষী সিংহ রাওয়াতের সঙ্গে ফের মন দেওয়া-নেওয়া। ২০০৪-এ সাক্ষী-মাহির চার হাত এক। প্রথমে অবশ্য মাহি নিজের জীবনের ওই ঘটনা পর্দায় আনতে চাননি। শেষমেশ প্রযোজকের কথাতেই রাজি হন তিনি। হ্যাপিলি ম্যারেড মাহির অনুমতি নিয়েই তাই ওই মোড় ঘোরানো ঘটনার কথা পর্দায় আনছেন পরিচালক। শোনা যাচ্ছে, পর্দায় প্রিয়ঙ্কার রোলে দেখা যাবে টাইগার শ্রফের রিল লাইফ গার্লফ্রেন্ড দিশা পাটানিকে। এখন অপেক্ষা শুধু আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের। সে দিনই মুক্তি ‘...দ্য আনটোল্ড স্টোরি’।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy