ছেলে কাইল মায়ার্স প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করলেও, ওঁর বাবা শেরলি ক্লার্কের মন ভাল ছিল না। বার্বাডোজের সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কারণ ছেলে কাইল যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে ৩৭ রানে ৩ উইকেট। এরপর যেটা হল, সেটা গোটা ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে অবিশ্বাস্য। ৩৯৫ রান তাড়া করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে নিল ক্যারিবিয়ানরা। সৌজন্যে অভিষেক টেস্টে মায়ার্সের অপরাজিত ২১০ রান।
তাই গর্বিত বাবা বলছিলেন, “এই টেস্ট ম্যাচ যে আমরা জিততে পারি, সেটা ভাবতেও পারিনি। ছেলে প্রথম ইনিংসে রান করলেও ও যে দলকে জিতিয়ে দিয়েছে, এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তাই গোটা রাত ঘুমোতে পারিনি। দেশের এমন দাপুটে টেস্ট জয় দেখে যে কী আনন্দ হচ্ছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”
এই ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর ক্যারিবিয়ানদের সুদিন ফিরবে কিনা জানা নেই। তবে বার্বাডোজের সব বাড়ির মত তাঁর ঘরেও দেদার হুল্লোড় চলছে। শেরলি ক্লার্ক বলেন, “ইতিমধ্যেই পার্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ছেলে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত এই পার্টি চলবে। আমি তো আনন্দে ঘুমোতেই পারছি না। ছেলের উদ্দেশে শুধু বলছি, ব্যাট করে যাও।”