স্বস্তিকা সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলার শুটিংয়ে নতুন চমক স্বস্তিকা সরকার। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই জাতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সে। সিবিএসই জাতীয় প্রতিযোগিতায় সারা দেশের মধ্যে সোনা জিতেছে বাংলার কন্যা। নিজের ছাত্রীকে নিয়ে আশাবাদী জয়দীপ কর্মকার। অলিম্পিয়ান জয়দীপের নজর দু’মাস পরে হতে চলা জাতীয় প্রতিযোগিতায়। সেখানেও স্বস্তিকা ভাল ফল করবে বলে আশাবাদী তিনি।
ভোপালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিবিএসই জাতীয় প্রতিযোগিতা। সারা দেশে যত সিবিএসই স্কুল রয়েছে সেখান থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল সেখানে। বয়সভিত্তিক বিভাগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছে স্বস্তিকা। ৪০০-র মধ্যে ৩৯৯ স্কোর করেছে সে। আদিত্য মেমোরিয়াল স্কুলের ছাত্রী স্বস্তিকা অবশ্য এর আগে আরও একটি রেকর্ড করেছে। প্রথম মহিলা শুটার হিসাবে রাজ্য প্রতিযোগিতায় ৪০০-র মধ্যে ৪০০ স্কোর করেছে সে। ফলে রাজ্য স্তরে যুব, জুনিয়র ও সিনিয়র, তিনটি বিভাগেই রেকর্ড স্বস্তিকার দখলে। বাংলার শুটিংয়ের আর এক মুখ মেহুলি ঘোষও এই স্কোর করতে পারেননি।
জয়দীপের অ্যাকাডেমিতে শেখে স্বস্তিকা। ছাত্রীর সঙ্গে কোচও এখন ভোপালে। সেখান থেকেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জয়দীপ বললেন, “১১ বছর বয়সে ও আমার অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়। প্রথম থেকেও ওর শুটিংয়ে খুব আগ্রহ ছিল। প্রথমে অবশ্য স্বস্তিকা খুব চঞ্চল ছিল। ধীরে ধীরে ওর আগ্রহ আরও বাড়ে। এই বয়সেও স্বস্তিকা খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। ও অনেক দূর এগোতে চায়। আমরাও ভাবিনি ও মাত্র ১২ বছর বয়সে ৪০০-র মধ্যে ৪০০ মারবে। এ বার জাতীয় স্তরে প্রথম সোনা জিতল।”
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও অনুশীলনে খামতি নেই স্বস্তিকার। প্রতিযোগিতা শেষেই কোচের কাছে ছুটেছে সে। জয়দীপ বললেন, “জেতার পরও ভোপাল শুটিং অ্যাকাডেমিতে আমার সঙ্গে অনুশীলন করেছে স্বস্তিকা। সেখানেও ব্যক্তিগত সেরা স্কোর করেছে ও। দু’মাস পরে জাতীয় প্রতিযোগিতা। সেখানেও স্বস্তিকা ফাইনালে উঠতে পারে। ও যুব, জুনিয়র, সিনিয়র তিনটে বিভাগেই খেলবে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় ফাইনালে খেলা খুব বড় ব্যাপার। কারণ, যুব বিভাগেও সেখানে অলিম্পিক্সে খেলা শুটার থাকে। ওদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে। ১৪ বছরে কোনও বাঙালি মেয়ে ফাইনালে উঠলে সেটা ইতিহাস হবে। আশা করছি স্বস্তিকা সেটা পারবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy