সব দলের প্রতিনিধি ছাড়াই মার্চপাস্ট। —নিজস্ব চিত্র।
মার্চপাস্টে ছয় জেলার খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতির মধ্যেই কোচবিহারে শুরু হল রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বুধবার কোচবিহার রাজবাড়ি স্টেডিয়ামে ৬০ তম রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মশাল দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সাদা পায়রা, রঙিন বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন হল। সেই সঙ্গে বৈরাতি, রাভা নৃত্য, ক্যারাটে প্রদর্শনী ছিল। নজরকাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানপর্বে সব জেলার খেলোয়াড়দের নিয়ে বর্ণাঢ্য মার্চপাস্ট ছিল অন্যতম আকর্ষণ। ওই মার্চপাস্টে বিভিন্ন জেলা দলগুলির মধ্যে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পশ্চিমমেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রতিনিধিরা শুধু প্ল্যাকার্ড হাতে সামিল হলেও তাদের কোনও খেলোয়াড় মাঠে উপস্থিত ছিলেন না।
পরিষদীয় সচিব উদ্বোধনের পর বলেন, “কোচবিহারের ইতিহাসে এবারই প্রথম রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। সমস্ত জেলা দলের খেলোয়াড়রা পৌঁছে গিয়েছে। একাধিক ট্রেন দেরিতে পৌঁছনোয় মার্চপাস্টে কয়েকটি দলের খেলোয়াড়রা মাঠে নামতে পারেননি।” রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজকদের তরফে কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের সহসভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, ট্রেন দেরিতে পৌঁছনোয় ৬ টি জেলা দলের খেলোয়াড়রা মার্চপাস্টে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতির সময় পাননি। প্রথম দিন মোট ১১০ টি ইভেন্টের মধ্যে ১০টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৯ টি জেলা দল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা হলেও বিদ্যালয় ক্রীড়ার ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ির দলেও সেখানকার খেলোয়াড়রা প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছেন। মোট ৭৩৫ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্বে উপস্থিত প্রতিযোগীদের শপথ বাক্য পাঠ করান গত বছরের বিদ্যালয় ক্রীড়ার এক ক্রীড়াবিদ ইক্রামিন হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে কোচবিহার এমজেএন স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বিদ্যালয় ক্রীড়ার জাতীয়স্তরে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের একটি দল পালা করে মশাল হাতে দৌড়ে শহর পরিক্রমা করেন। রাজবাড়ি স্টেডিয়াম চত্বরে তাঁরা পৌঁছলে ওই মশাল দিয়ে প্রদীপ জ্বেলে রাজ্য ক্রীড়ার উদ্বোধন হয়। উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া, রাজ্যের উপশিক্ষা অধিকর্তা (প্রশাসন ) মনোরঞ্জন রায়, সহ শিক্ষা অধিকর্তা ( শারীরশিক্ষা) প্রবীর সাহা, যুগ্ম শিক্ষা অধিকর্তা ( উত্তরকন্যা) দেবাশিস সরকার। এদিন একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিযোগিতার ম্যাসকট বাণেশ্বরে ‘ মোহন’ নামে পরিচিত বিরল প্রজাতির কচ্ছপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy