Advertisement
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
সুব্রতর সভার পর মোহনবাগানে বিশৃঙ্খলা

ক্লাব তাঁবুতে মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ করতে চান সচিব

ক্লাব-নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগানের লনে ততই উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের ভিড় বাড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। গত কুড়ি বছরে এই ছবি বারবার দেখেছে একশো পঁচিশ বছরের পুরনো ক্লাব।

বিরোধীদের পাল্টা। বাগান তাঁবুতে সুব্রত ভট্টাচার্যরা। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র

বিরোধীদের পাল্টা। বাগান তাঁবুতে সুব্রত ভট্টাচার্যরা। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩২
Share: Save:

ক্লাব-নির্বাচন যত এগিয়ে আসে, ঐতিহ্যবাহী মোহনবাগানের লনে ততই উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের ভিড় বাড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। গত কুড়ি বছরে এই ছবি বারবার দেখেছে একশো পঁচিশ বছরের পুরনো ক্লাব।

বুধবার বিকেলে সুব্রত ভট্টাচার্যের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সেটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল। ক্লাবের বড়কর্তাদের অনুপস্থিতিতে কিছু যুবক ঘিরে ধরেন বাগানের ঘরের ছেলেকে। যাঁদের অনেকেই অচেনা মুখ। সুব্রতকে তাঁরা প্রশ্ন করেন, টিম যখন এত ভাল খেলছে তখন কেন আপনি ক্লাবের বিরুদ্ধে এ ভাবে তোপ দাগছেন? সুব্রত পাল্টা বোঝানোর চেষ্টা করেন। বলেন, “টিমের কোনও ক্ষতি হোক আমি চাই না। ক্লাব আই লিগ পেলে আমিই সবচেয়ে খুশি হব। আমার লক্ষ্য ক্লাবকে যে-সব কর্তা শেষ করে দিয়েছেন তাঁদের ক্ষমতা থেকে সরানো।”

তাতেও শান্ত হননি ওই যুবকেরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তেড়েও আসেন কয়েকবার। সাংবাদিকদের সঙ্গেও তর্কাতর্কি শুরু করেন একদল যুবক। বলা হয়, ক্লাবের গণ্ডগোল নিয়ে কেন এত লেখালেখি হচ্ছে? রাতে সুব্রত অভিযোগ করলেন, “আমি ওঁদের সঙ্গে পরে কথা বলেছি। ওঁরাই বলেছেন, অঞ্জনদের থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা পান তাঁরা। ক্লাবে যাঁরা প্রতিবাদ করতে আসবে তাদেরই এ রকম হেনস্থার চেষ্টা হবে।”

যে অভিযোগ শুনে মোহন-সচিব বললেন, “কারা এ সব করেছে জানি না। তবে এর পর থেকে ক্লাবের কাউকে কোনও অনুমতি ছাড়া কোথাও মিটিং মিছিল করতে দেব না। নোটিশ দিয়ে দেব, কার্ড ছাড়া কেউ ক্লাবে ঢুকতে পারবে না।”

আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে অঞ্জন মিত্র ঘুরিয়ে আক্রমণ করেছিলেন দুই প্রাক্তন বাগান মহাতারকা ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসূন সংসদের বাজেট অধিবেশনে ব্যস্ত থাকায় সুব্রতই এ দিন ক্লাব লনে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। তাঁর পাশে তখন কলকাতার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। যিনি ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য। অতীনও সঙ্গে এনেছিলেন ম্যাটাডর বোঝাই একদল বহিরাগত। যাঁদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু লোকজন ছিলেন। যাঁরা ক্লাবের সদস্যই নন।

সুব্রত এ দিন ক্লাবের হিসাব নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। জানতে চান, ক্লাবের সদস্য-কার্ডে যে স্পনসরের নাম আছে, তারা কত টাকা ক্লাবকে দিয়েছে? গত পাঁচ বছরে কত সদস্য নেওয়া হয়েছে ক্লাবে এবং সে জন্য কত টাকা জমা পড়েছে তহবিলে? তিনি বলেন, “ক্লাবে যে সব কো-স্পনসর এত দিন এসেছে তাদের সঙ্গে চুক্তি কত টাকার ছিল? সেটা প্রকাশ্যে আনা হোক।” বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর কর্তারা ক্লাবে পরিবারতন্ত্র চালু করেছেন অভিযোগ তুলে সুব্রত বলেন, “দুই কর্তার ছেলে-মেয়ে, জ্যোতিষী কর্মসমিতিতে জায়গা পেয়েছেন। প্রাক্তন ফুটবলাররা কেন নেই? এখন চাপে পড়ে প্রাক্তনদের টিম ম্যানেজার করা হচ্ছে।” এ সব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে চাননি বাগান সচিব। বলেন, “সুব্রত যা পারে বলুক। আমি যা বলার বলে দিয়েছি।”

সুব্রত-অতীন, দু’জনই জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকবেন। নিজেদের কথা বলবেন। পরিস্থিতি যা তাতে শুক্রবার বাগানের লন আরও একবার বিশৃঙ্খল হবে তা হয়তো নিশ্চিত।

ইউনাইটেডে এরিক

আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার জন্য সই করলেন পুণে এফসি-র এরিক ব্রাউন। বাগানের সতীশ সিংহ-সহ আরও পাঁচজন সই করলেন ইউনাইটেডে।

অন্য বিষয়গুলি:

mohun bagan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy