Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Nobel Prize

ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তন তত্ত্বে নতুন দিশা, পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন জন

জেমস পিবলসের গবেষণা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, বিগ ব্যাংয়ের পর ব্রহ্মাণ্ড কী ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ার ক্যুয়েলজের গবেষণা, এই ব্রহ্মাণ্ডে ভিনগ্রহগুলি জানতে সাহায্য করেছে।

জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্ (বাঁ দিক থেকে)। ফাইল চিত্র।

জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্ (বাঁ দিক থেকে)। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
স্টকহলম, সুইডেন শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:২৪
Share: Save:

ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও ভিনগ্রহ আবিষ্কার জন্য এবার পদার্থবিদ্যানোবেল পেলেন তিন জন। নোবেল পুরস্কার পেলেন জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্। জেমস পিবলসের গবেষণা ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তন এবং বিগ ব্যাংয়ের উপর। আর মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ প্রথম সৌরমণ্ডলের বাইরে ভিনগ্রহ খোঁজ দেন। মহাকাশ গবেষণায় তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হল।

পুরস্কার মূল্যের অর্ধেক পাচ্ছেন জেমস পিবলস ও বাকি অর্ধেক অংশ দু’ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে মিশেল এবং দিদিয়ার ক্যুয়েলজের মধ্যে। দ্য রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস পিবলস (৮৪) ফিজিক্যাল কসমোলজি (সৃষ্টিতত্ত্ব)-এর উপর তাঁর তাত্ত্বিক গবেষণার জন্য নোবেল পেলেন। প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর গবেষণা ব্রহ্মাণ্ডকে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বুঝতে সাহায্য করেছে। তাঁর তত্ত্ব ব্রহ্মাণ্ডের গঠন, বিবর্তন ও ইতিহাস, এমনকি বিগ ব্যাংয়ের বিষয়ে আরও সঠিক ভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে।

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল মেয়র (৭৭) ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্ (৫৩) যৌথভাবে আটের দশকের শেষের দিকে সৌরমণ্ডলের বাইরের গ্রহ খোঁজার কাজ শুরু করেন। মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্ যৌথভাবে গবেষণা করে প্রথম এমন একটি গ্রহ খুঁজে বের করেন যা সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে।

আরও পড়ুন : ভিনগ্রহে প্রাণ আছে, প্রমাণ মিলবে শীঘ্রই, দাবি বিজ্ঞানীর

মিশেল মেয়র ও দিদিয়ার ক্যুয়েলজ্ দক্ষিণ ফ্রান্সের হাউট প্রদেশের অবজারভেটরি থেকে আমাদের সৌর মণ্ডলের বাইরে একটি গ্রহ খুঁজে পান। সেই থেকেই আমরা ভিন গ্রহের অস্তিত্ব জানতে পারি। সালটা ছিল ১৯৯৫। ওই ভিন গ্রহটির নাম দেওয়া হয় ‘৫১ পেগাসি বি’। গ্রহটি আমাদের বৃহস্পতি গ্রহের আকারের ছিল। আকাশগঙ্গা ছায়াপথে সেটিও সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছিল। এই যুগান্তকারি আবিষ্কারের পর থেকে আকাশগঙ্গা ছায়াপথে এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ভিনগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেই গ্রহগুলি নানা আকার ও নানা চরিত্রের।

আরও পড়ুন : ‘আইনস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্ক না ভাঙলে হয়তো ফিজিক্সটাই বদলে দিতেন মিলেভা!’

এই বছর জেমস পিবলস, মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ার ক্যুয়েলজের গবেষণার ফল, ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারনাই বদলে দিয়েছে। জেমস পিবলসের গবেষণা আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে, বিগ ব্যাংয়ের পর ব্রহ্মাণ্ড কী ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আর মিশেল মেয়র এবং দিদিয়ার ক্যুয়েলজের গবেষণা, এই ব্রহ্মাণ্ডে ভিনগ্রহগুলি জানতে সাহায্য করেছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy