তিরচিহ্ন দিয়ে দেখানো হয়েছে কী ভাবে নাক বসে গিয়ে সেপ্টামে তৈরি হয়েছে ছিদ্র। ছবি- ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এর সৌজন্যে।
বিরল রোগের শিকার হয়ে এক মহিলার নাকটাই উধাও হয়ে গিয়েছে। তাঁর নাকের মধ্য পর্দা (‘সেপ্টাম’) বিলুপ্ত হয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে বড় একটি ছিদ্র। নাকের উপরে উঠে থাকা অংশটি মহিলার মুখের ত্বকের সঙ্গে মিশে গিয়েছে।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এই বিরল ঘটনার খবর দিয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা বিশেষ ধরনের ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’-এর শিকার হওয়ার ফলেই এই বিরল ঘটনা ঘটেছে। ‘অটোইমিউন ডিসঅর্ডার’ এমন একটি শারীরিক বিশৃঙ্খলা, যার জন্য মানুষের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধী ব্যবস্থা বাইরে থেকে ঢোকা শত্রু চিনতে ভুল করে। অনেক সময় মানুষের পক্ষে উপকারী ব্যাক্টেরিয়াকেও আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। যাতে হিতে বিপরীত হয় মানুষের।
গবেষকরা জানিয়েছেন গত ৭ বছর ধরে ৩৪ বছর বয়সি ওই মহিলার নাক একটু একটু করে বসে গিয়েছে। মহিলা কয়েক বছর ধরেই নানা ধরনের রোগে ভুগতেন। নাসারন্ধ্রে প্রদাহ লেগেই থাকত তাঁর, দীর্ঘ দিনই তিনি ‘রাইনোসাইনুসাইটিস’ রোগে ভুগতেন। তাঁর নাসারন্ধ্রে মাংস ফুলে গিয়েছিল (‘পলিপ্স’), নাক দিয়ে রক্ত পড়ত প্রায়শই।
পরীক্ষার পর দেখা যায় মহিলার নাকের প্রায় সব হাড় ও কার্টিলেজই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যায় তাঁর নাসারন্ধ্রে বড় ছিদ্রও তৈরি হয়েছে। গবেষকরা ওই মহিলার রক্তে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডি পেয়েছেন যা ধমনীতে প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy