—প্রতীকী চিত্র।
২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে ভারতীয় মহাকাশচারী পাঠাতে চায় ইসরো। এই লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চলছে বলে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সম্প্রতি এক নিবন্ধে জানিয়েছেন।
চাঁদের আগে ইসরো অবশ্য মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। সেই ‘গগনযান’ প্রকল্পের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার চার পাইলটকে সম্ভাব্য মহাকাশচারী হিসেবে বাছাই করা হয়েছে বলে সোমনাথ জানিয়েছেন। এখন তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে বেঙ্গালুরুতে। সব ঠিক থাকলে দুই থেকে তিন জন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিয়ে ইসরোর যান নিম্ন কক্ষপথ বা লো আর্থ অরবিটে (এলইও) পৃথিবীকে তিন দিন প্রদক্ষিণ করে ভারতীয় জলসীমায় পূর্ব-নির্ধারিত স্থানে অবতরণ করবে। ২০২৫ সালে গগনযান প্রকল্প রূপায়ণের পাশাপাশি মহাকাশ কেন্দ্র নির্মাণও ভারতের লক্ষ্য বলে ইসরো চেয়ারম্যানের বক্তব্য। আপাতত মানববিহীন অবস্থায় নানা পরীক্ষা চলছে গগনযান নিয়ে। যানটিকে নিয়ে যাবে এইচএলভিএম-৩ স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (রকেট)। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে উৎক্ষেপণ বন্ধ করা বা মানববাহী মডিউলটিকে নিরাপদে আলাদা করে নামিয়ে সেটিকে নৌবাহিনীর সাহায্যে বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধারের মহড়াও সফল হয়েছে।
সোমনাথ জানিয়েছেন, ইসরোর ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে তুলনামূলক কম খরচে মোটামুটি ৫০০ কেজির উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (এসএসএলভি), পুনর্ব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকল (আরএলভি), ‘এক্সপোস্যাট’ (এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট), কোনও যানের সঙ্গে মহাকাশ কেন্দ্র বা অন্য যানকে সংযুক্ত করার ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট’ বা ‘স্পাডেক্স’ এবং এলওএক্স-মিথেন ইঞ্জিন।
ন্যূনতম পরিকাঠামো নিয়ে এসএসএলভি একসঙ্গে একাধিক উপগ্রহকে ৫০০ কিলোমিটার কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারবে। এক্স-রের উৎস সম্পর্কে আরও জানতে ‘এক্সপোস্যাট’ আগামী ২৮ ডিসেম্বরই রওনা হবে বলে খবর। সোমনাথ জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ‘স্পাডেক্স’ প্রকল্পটিতে যুগল মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ভাবনা রয়েছে ইসরোর। মহাকাশে জোট বাঁধতে একটি মহাকাশযান কার্যত তাড়া করবে অন্যটিকে। চাঁদের মাটিতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, গন্ধক, ম্যাঙ্গানিজ়, সিলিকন ছাড়াও অক্সিজেনের হদিস পেয়েছে চন্দ্রযান-৩। এই গবেষণা সফল হলে চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফেরার পথ মসৃণ হবে।
ইসরোর ভবিষ্যতের তাস হতে পারে মহাকাশযানের এলওএক্স-মিথেন ইঞ্জিন। সোমনাথের মতে, মহাকাশ জ্বালানি হিসেবে মিথেন শক্তিশালী। মহাকাশে জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করেও মিথেন সংশ্লেষ হতে পারে। এলওএক্স প্রকল্প সফল হলে মঙ্গলের মতো সুদূর গ্রহে যান পাঠিয়ে সেখানকার পরিবেশ জানার পথ সহজ হবে। অবশ্য শুধু মঙ্গল নয়, শুক্রের কক্ষপথে পৌঁছনোর তোড়জোড়ও শুরু করেছে ইসরো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy