মঙ্গলের আগ্নেয়গিরির এই ছবি পাঠিয়েছে আমিরশাহির মহাকাশযান। ছবি সৌজন্যে: ইউএই স্পেস এজেন্সি।
‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের আগ্নেয়গিরির ছবি তুলে পাঠাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মহাকাশযান ‘আল-আমাল’ (যার ইংরেজি নাম- ‘হোপ’)। মঙ্গলের এই আগ্নেয়গিরিটি এই সৌরমণ্ডলে যত আগ্নেয়গিরি রয়েছে তাদের মধ্যে বৃহত্তম।
আমিরশাহির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও মহম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে সেই ছবি। জানানো হয়েছে মহাকাশযান আল-আমাল মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ার এক দিন পরেই গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছবিটি তুলে পাঠিয়েছিল। ছবিটি তোলা হয়েছিল ওই দিন ভারতীয় সময় রাত ২টো ৬ মিনিটে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে আগ্নেয়গিরিটির ছবি তুলে পাঠিয়েছে মহাকাশযান ‘হোপ’, তার নাম- ‘অলিম্পাস মন্স’। এটাই সৌরমণ্ডলের অন্য গ্রহগুলির আগ্নেয়গিরিদের মধ্যে বৃহত্তম। এটি রয়েছে লাল গ্রহের ‘থারসিস’ এলাকায়। সেখানে আরও অনেক বড় বড় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছবির উপর থেকে নীচে এলাকার আরও তিনটি আগ্নেয়গিরিকে দেখা যাচ্ছে। তাদের নাম ‘অ্যাসক্রেয়াস মন্স’, ‘প্যাভনিভ মন্স’ এবং ‘আরসিয়া মন্স’।
আগ্নেয়গিরিগুলির পূর্ব দিকে (ছবির ডান দিকে) দেখা যাচ্ছে ‘নকটিস ল্যাবিরিন্থাস’ উপত্যকা। ছবির ডান দিকের একটু উপরে দেখা যাচ্ছে আরও বড় আকারের উপত্যকা। যার নাম ‘ভেল্স মারিনেরিস’।
মঙ্গলে পা ছোঁয়ানোর পর ইতিমধ্যেই বহু ছবি পাঠিয়েছে নাসার ল্যান্ডার ও রোভার পারসিভের্যান্স। তার মধ্যে ৪টি ছবি নাসা প্রকাশও করেছে। তার দিনকয়েক আগে মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে কিছুটা দূর থেকে লাল গ্রহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ছবি তুলে পাঠিয়েছিল চিনের পাঠানো মহাকাশযান ‘তিয়ানওয়েন-১।’
নাসার রোভার পারসিভের্যান্সের মতো আমিরশাহির হোপ মহাকাশযানে অবশ্য কোনও ল্যান্ডার বা রোভার নেই। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল ও ঋতু পরিবর্তনের উপর নজরদারি চালাতে হোপ লাল গ্রহের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে দেড় বছর ধরে। চিনা মহাকাশযানে ল্যান্ডার ও রোভার রয়েছে। সেটি লাল গ্রহের বুকে পা ছোঁয়াবে মে মাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy