Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Atmosphere

No Oxygen Atmosphere of Earth: অক্সিজেন উবে যাবে! অণুজীব ছাড়া পৃথিবীতে থাকবে না কোনও প্রাণ, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

বিভিন্ন তাত্ত্বিক মডেল খতিয়ে দেখে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার জিওসায়েন্স’-এ।

ছিল না ছিটোফোঁটা অক্সিজেন। ছিল না কার্বন ডাই-অক্সাইডও। এমনই ছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ২৪০ কোটি বছরেরও আগে। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

ছিল না ছিটোফোঁটা অক্সিজেন। ছিল না কার্বন ডাই-অক্সাইডও। এমনই ছিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ২৪০ কোটি বছরেরও আগে। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৩:২১
Share: Save:

সূর্যের গা ঝল্‌সে দেওয়া তাপে জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়া আর সাগর, মহাসাগরের সবটুকু জল উবে যাওয়ার আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে উবে যাবে শ্বাসের বাতাস। অক্সিজেন। ছিঁড়ে ফালাফালা হয়ে যাবে পৃথিবীকে চার পাশ থেকে মুড়ে রাখা ওজোন গ্যাসের চাদর। সব ধরনের সৌর বিকিরণ ও মহাজাগতিক রশ্মির হামলা থেকে যা বাঁচিয়ে রাখে আমাদের।

সৌর বিকিরণ আর মহাজাগতিক রশ্মি চুরচুর করে ভেঙে দেবে এই নীলাভ গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো যে গ্রিনহাউস গ্যাসের বাতাসে নির্গমনের মাত্রা বৃদ্ধিতে আমরা এখন যারপরনাই উদ্বিগ্ন, সেই গ্যাসই তখন আর থাকবে না বায়ুমণ্ডলে।

ফলে, অক্সিজেন-নির্ভর প্রাণের পক্ষে টিকে থাকা যেমন সম্ভব হবে না, তেমনই অসম্ভব হয়ে পড়বে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষও। তাদের রান্নাবান্নার যাবতীয় প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

২৪০ কোটি বছরেরও আগে পরিস্থিতি যে রকম ছিল পৃথিবী আবার ফিরে যাবে সেই অবস্থায়। পৃথিবী ভরে যাবে তখন অত্যন্ত বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে।

বিভিন্ন তাত্ত্বিক মডেল খতিয়ে দেখে করা সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই অশনিসঙ্কেত দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘নেচার জিওসায়েন্স’-এ।

এমনই দেখতে হবে পৃথিবী। এক দিন যখন অণুজীব ছাড়া থাকবে না আর কোনও প্রাণ। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

এমনই দেখতে হবে পৃথিবী। এক দিন যখন অণুজীব ছাড়া থাকবে না আর কোনও প্রাণ। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

গবেষকরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের ঔজ্জ্বল্যের বাড়া-কমার প্রবণতা এবং তার প্রেক্ষিতে বায়ুমণ্ডলে কী ভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ কমে-বাড়ে, সে সবের যাবতীয় তথ্যও বিশ্লেষণ করেছেন।

ভিন্‌গ্রহে কী প্রকৃতির প্রাণের হদিশ মিলতে পারে, সেই প্রাণ বেঁচে থাকে কোন কোন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করে তা জানার লক্ষ্যে নাসার একটি বিশেষ প্রকল্প ‘নেক্সাস ফর এক্সোপ্ল্যানেট সিস্টেম সায়েন্স’-এর অংশ এই গবেষণাটি।

দুই মূল গবেষক আমেরিকার জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ভূবিজ্ঞানী অধ্যাপক ক্রিস রেনহার্ড ও জাপানের তোহো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক কাজুমি ওজাকি জাবি করেছেন, ‘‘এই পরিস্থিতি আসবে সূর্যের তাপে পৃথিবী জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাওয়ার আগেই। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভরে যাবে শুধুই বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে। যে গ্যাসে নির্ভর করে বাঁচতে পারে বিশেষ কয়েকটি অণুজীব। তখন মানুষ, অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীল কোনও প্রাণী বা সালোকসংশ্লেষ-নির্ভর কোনও উদ্ভিদই আর টিকে থাকতে পারবে না পৃথিবীতে। ২৪০ কোটি বছরেরও আগে এমনই অবস্থা ছিল পৃথিবীর। এই গ্রহ আবার সেই পরিবেশে ফিরে যাবে। সেটা আর ১০০ থেকে ২০০ কোটি বছরের মধ্যেই হতে পারে।’’

শেষের সেই দিনগুলিতে পৃথিবী। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

শেষের সেই দিনগুলিতে পৃথিবী। ছবি নাসার কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সৌজন্যে।

গবেষকরা এও জানিয়েছেন, গবেষণার এই ফলাফল বুঝিয়ে দিচ্ছে, মিথেন বা অন্য কোনও গ্যাস নির্ভর প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে ভিন্‌গ্রহের ভিন্ মুলুকে। এ বার সেই ধরনের প্রাণের খোঁজ-তল্লাশের সময় এসে গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Atmosphere Oxygen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE