Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

তাপচিত্রে স্পষ্ট নয় কিছু, অপেক্ষা করতেই হবে

অপটিক্যাল হাই-রেজ়োলিউশন ছবি যত ক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, কিছুই বলা সম্ভব নয়।

আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। ছবি: টুইটার।

আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। ছবি: টুইটার।

সোমক রায়চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৪
Share: Save:

লোকে যা পাচ্ছে, বানাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে যা দেখছি, বেশির ভাগই ভুল তত্ত্ব। যে থার্মাল ইমেজ মিলেছে, সেটা রিয়েল-টাইম হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ অরবিটার এক জায়গা থেকে নয়, ঘুরে ঘুরে ছবি পাঠাচ্ছে। নির্দিষ্ট একটা পয়েন্টে ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগার কথা।

অপটিক্যাল হাই-রেজ়োলিউশন ছবি যত ক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, কিছুই বলা সম্ভব নয়। বলা হচ্ছে, ওই তাপচিত্রে ল্যান্ডারের ‘লোকেশন’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অবস্থানটা ঠিক কোথায়, ইসরো তা স্পষ্ট করেনি। ‘ইসরোর সূত্র’ উল্লেখ করে লোকে বলে যাচ্ছে, সব যন্ত্রপাতি নাকি একদম ঠিকঠাক আছে। এর ভিত্তি কী? ল্যান্ডার দাঁড়িয়ে আছে, না মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছে— সেটাই তো স্পষ্ট নয়! রোভারে থাকা যন্ত্রগুলি যদি সব কাজ করে, সে তো খুবই ভাল কথা। কিন্তু ওদের কাজ করতে হলে তো রেডিয়ো-কমিউনিকেশন সাপোর্ট দরকার! সেই লিঙ্কই তো নেই। ধরে নিলাম, সব যন্ত্র সুরক্ষিত। কাজও করছে, কিন্তু ইসরোর সঙ্গে তো তাদের কোনও বার্তা চালাচালি হচ্ছে না। যন্ত্র ছবি তুলল, কিন্তু তা পাঠাতে না-পারলে লাভ কী? এখন তাই গুজবে কান দেওয়া নয়, অপেক্ষা করে থাকা ছাড়া উপায় নেই।

চাঁদের মাটিতে প্রথম মানুষ কবে নেমেছিল?

এমন একটা জটিল পথে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনোটাই অভূতপূর্ব। আমাদের চন্দ্রযানের সঙ্গে নাসা এ বার রিফ্লেক্টর পাঠিয়েছে। এত কম খরচে ইসরোর সাফল্য সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। শুধু নাসা নয়, এ বার সবাই সাহায্য চাইবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০-র মতো বিদেশি উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইসরো। এত কম দামি লঞ্চারের সাহায্য নিতে কে না চাইবে!

লেখক: ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (পুণে)-এর ডিরেক্টর

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy