ছবি: রয়টার্স।
কাগজে-কলমে চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারেনি। চাঁদের থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূর থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ। তবে ভারতের চন্দ্র-অভিযান প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে সে দেশের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসা-ও। ইসরো-র সঙ্গে যৌথ ভাবে সৌরজগৎ অন্বেষণের কাজ করতে চায় তারা। কারণ, ইসরো-র অভিযান নাসা-র কাছে প্রেরণা জুগিয়েছে।
রবিবার টুইটারে ইসরো-কে ট্যাগ করে নাসা লিখেছে, ‘মহাকাশটা কঠিন জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে ইসরো-র চন্দ্রযান-২ অভিযান প্রশংসনীয়। একে অভিনন্দন জানাই। এই প্রেরণাদায়ক অভিযানের পর ভবিষ্যতে একসঙ্গে সৌরজগতের অন্বেষণ করতে আমরা উদ্বুদ্ধ।’
Space is hard. We commend @ISRO’s attempt to land their #Chandrayaan2 mission on the Moon’s South Pole. You have inspired us with your journey and look forward to future opportunities to explore our solar system together. https://t.co/pKzzo9FDLL
— NASA (@NASA) September 7, 2019
নাসা-র মতোই ভারতের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২ অভিযান ভারতের একটি বিরাট পদক্ষেপ। যা ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে রসদ জোগাবে। চাঁদে পা রাখার কিছু ক্ষণ আগে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ হারালেও আশা ছাড়ছেন না ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-র বিজ্ঞানীরা। ইসরো-প্রধান কে শিবন জানিয়েছেন, গোটা অভিযানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। আগামী ১৪ দিন ধরে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ল্যান্ডিং না-হোক, যাত্রাটাই গুরুত্বপূর্ণ
আরও পড়ুন: বিক্রম পাশ করেছিল কি পরীক্ষায়, অরবিটারে আশা ইসরোর
এই আবহেই শোনা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদার করতালি। এ দিন সে দেশের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার কার্যনির্বাহী সরকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েসল টুইটারে লিখেছেন, ‘চন্দ্রযান-২-এর অনন্য প্রচেষ্টার জন্য ইসরো-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারতের পক্ষে একটি বিরাট পদক্ষেপ এই অভিযান। আগামী দিনেও বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে তা মূল্যবান তথ্য জোগাবে।’ ওই মার্কিন কূটনীতিক আরও লিখেছেন, ‘আমাদের কোনও সন্দেহই নেই যে মহাকাশ অভিযানে ভারত তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy