ফাইল ছবি।
বাড়িতে থাকা প্রবীণ কোভিড রোগীদের দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে শ্বাসের সঙ্গে শরীরে টেনে নেওয়া কিছুটা কমদামি হাঁপানি বা অ্যাজমা-র ওষুধ। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে অন্তত ৩ দিন আগে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় চালানো হিউম্যান ট্রায়াল এই আশার কথা শুনিয়েছে। ট্রায়ালটি চালানো হয়েছে ৫০ বছর এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের প্রবীণ কোভিড রোগীদের উপর। যাঁদের বেশির ভাগই আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতেই ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হননি। ট্রায়ালে ব্যবহার করা হয়েছিল হাঁপানির ওষুধ ‘বিউডেসোনাইড’। বাজারে চালু হাঁপানির ওষুধগুলির মধ্যে তুলনায় কমদামি ‘বিউডেসোনাইড’। হাঁপানির রোগীরা ওষুধটিকে শ্বাসের সঙ্গে শরীরে টেনে নেন।
গবেষকরা দেখেছেন, দিনে দু’বার ৮০০ মিলিগ্রাম করে করে টানা দু’সপ্তাহ ধরে ‘বিউডেসোনাইড’ দেওয়া হলে কোভিড রোগীরা আরও তাড়াতাড়ি সেরে উঠছেন। পরে ২৮ দিন ধরে তাঁদের আবার দেওয়া হয় ‘বিউডেসোনাইড’। অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির চেয়ে অন্তত ৩ দিন আগে তাঁরা সেরে উঠতে পারছেন। সেরে ওঠার পরেও তাঁরা অন্য ভাবে সেরে ওঠা কোভিড রোগীদের চেয়ে তুলনায় বেশি সুস্থ বোধ করছেন। গবেষণাপত্রটি এখন একটি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়।
দেশে দেশে করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন ঢেউয়ের জেরে হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যার অভাব হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড রোগীদের হাসপাতালে না ভর্তি করিয়ে বাড়িতে রেখে কী কী উপায়ে সারিয়ে তোলা যেতে পারে, তা খতিয়ে দেখতেই চালানো হয়েছে এই গবেষণা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইমারি কেয়ার বিভাগের অধ্যাপক ক্রিস বাটলার বলেছেন, ‘‘যেটা আরও বেশি আশার কথা তা হল; হাঁপানির এই ওষুধটি মানবশরীরে কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না।’’
গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রবীণ রোগীদের ৩২ শতাংশই হাঁপানির এই ওষুধটি শরীরে টেনে ১৪ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন পুরোপুরি। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির সাফল্যের হার ২২ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy