সেই রহস্যময় আলোর ঝলক। ছবি- 'কাইম'-এর সৌজন্যে।
ভিনগ্রহীদের আলো?
হ্যাঁ বা না, কোনওটাই বলা যাচ্ছে না। ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের ঠিকানা মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে এমন আলোর হদিশ যে মিলল এই প্রথম।
কী তীব্র সেই আলো। যার উজ্জ্বলতা সূর্যালোকের এক হাজার লক্ষ গুণ বেশি। টানা ১০০ বছর ধরে সূর্যের বিকিরণ যতটা শক্তি জোগাতে পারে এই রহস্যে মোড়া আলো সেই পরিমাণ শক্তি ছড়িয়ে দেয় এক সেকেন্ডের এক হাজার ভাগের মাত্র এক ভাগ সময়ে। চোখের পলক পড়ার আগেই উধাও হয়ে যায় সেই রহস্যের আলো।
এমন রহস্যে মোড়া আলোর ঝলক দেখা গিয়েছে মিল্কি ওয়ে ছায়াপথেই। পৃথিবী থেকে ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে। এই প্রথম আমাদের ছায়াপথে সেই রহস্যময় আলোর ঝলক ধরা পড়েছে পৃথিবীতে বসানো দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী রেডিয়ো টেলিস্কোপ- ‘দ্য কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইনটেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (কাইম)’ এবং ‘সার্ভে ফর ট্রানজিয়েন্ট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রেডিয়ো এমিশন (স্টেয়ার-২)’-এ।
আরও পড়ুন
রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার
এর আগে এই ধরনের রহস্যময় যে সব আলোর ঝলক আমাদের রেডিয়ো টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল, সেগুলি ছিল বহু দূরে থাকা অন্যান্য ছায়াপথের। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এদের নাম ‘ফাস্ট রেডিয়ো বার্স্ট (এফআরবি)’। সেই সূত্রে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এফআরবি-২০০৪২৮’। তাদের উৎস কী, কেন তাদের অত অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়, তার পর কেন তারা হারিয়ে যায়, সে সবের কোনও কারণ এখনও সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের। তার একটাই কারণ, সেগুলি ছিল আমাদের ছায়াপথ থেকে অনেক অনেক দূরে।
এ বারই প্রথম সেই রহস্যময় আলোর ঝলক ধরা পড়ল আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথেই। তা পৃথিবী থেকে খুব একটা দূরেও নয়। মাত্র ৩০ হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে। ফলে, এ বার এই অত্যন্ত শক্তিশালী আলোর ঝলকের রহস্য উন্মোচনের প্রয়াস কিছুটা সহজ হলেও হতে পারে, মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy