চা বানানোর সঠিক নিয়ম জানা আছে তো? ছবি: শাটারস্টক।
চোখ খুলে চায়ে চুমুক না দিলে বাঙালির সকালটা শুরু হতে চায় না। পাড়ার ঠেকে বন্ধুদের সঙ্গে জমাটি আড্ডায় হোক কিংবা সন্ধ্যাবেলায় অফিস থেকে বাড়ি ফিরে শরীর ও মন দুই-ই চনমনে রাখতে, চায়ের কোনও বিকল্প নেই। অনেকেই মনে করেন চা বানানোর মতো সহজ কাজ পৃথিবীতে আর একটিও নেই। এ ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। যেমন তেমন করে চা বানালে চায়ের স্বাদ মোটেই ভাল হয় না। চা বানাতে হবে নিয়ম মেনে। গরম জলে চা পাতা ঠিক কত ক্ষণ ধরে ভিজিয়ে রাখবেন, কত ক্ষণ ধরে ফোটাবেন তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করছে চায়ের স্বাদ ও গন্ধ।
পাতা চা: বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাতা চা পাওয়া যায়। তবে সিঙ্গল লিফ ফার্স্ট ফ্লাশের কদর কিন্তু সবচেয়ে বেশি। দামও আকাশছোঁয়া। শীতের মরসুমে যে প্রথম সবুজ রঙের কচি কচি পাতা ওঠে, তা স্বাদে এবং গন্ধে মরসুমের যে কোনও সময়কে পিছনে ফেলে দেয়। সাহেবরা যে পাতার নাম রেখেছিলেন ফার্স্ট ফ্লাশ। আর ফার্স্ট ফ্লাশের এক গুচ্ছ পাতার মাঝে যে পাতাগুলি একক থাকে তার স্বাদ আরও বেশি। তবে এই চা কিন্তু ফুটন্ত জল দিয়ে দিলে স্বাদ বিগড়ে যায়। গ্যাস বন্ধ করে মিনিটখানেক অপেক্ষা করে তার উপর চা পাতা মিনিট চার-পাঁচেক ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ছেঁকে পরিবেশন করলেই এর আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রিন টি: এই চা-ও পাতা চায়ের কায়দাতেই বানিয়ে ফেলা যায়। তবে আপনি যদি খোলা পাতার গ্রিন টি ব্যবহার করেন, তা হলে দু’মিনিটের বেশি ভিজিয়ে রাখবেন না। আর টি ব্যাগের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন মিনিটের বেশি ভিজিয়ে রাখলে স্বাদ কষাটে হয়ে যায়।
গুঁড়ো চা: অনেকেই আছেন, যাঁরা গুঁড়ো চা পাতা কিংবা সিটিসি চা পাতা দিয়েই দুধ চা আর কালো চা দুটোই তৈরি করেন। বলে রাখা ভাল, গুঁড়ো চা দিয়ে কিন্তু কালো চা বানানোই ভাল। এই চা ভিজিয়ে খেলে স্বাদ আসে না, দুধ ও জলের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলেই এই পাতার স্বাদ বাড়ে। দারচিনি, এলাচের মতো মশলা দিয়ে ফোটালে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। তবে দুধ চা বার বার ফুটিয়ে খাওয়া মোটও স্বাস্থ্যকর নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy