‘চারকোল— বাই ওয়াইস আউল’ রেঁস্তরার ঝলক। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
উৎসবের মরসুম শেষ হয়ে গেলেও গোটা শীতকাল জুড়ে বাঙালির খানাপিনা লেগেই থাকে। সপ্তাহান্তে নানা রেস্তরাঁর বাইরে লম্বা লাইন দেখে সেই বিষয় আর কোনও সংশয় থাকে না যদিও। শীতকাল মানেই রকমারি কবাব খাওয়ার প্রতি সাধারণের ঝোঁক বাড়ে। শীতের পড়ন্ত রোদ, প্রিয়জনের সঙ্গ আর রসনায় নানা রকম স্বাদের বিলাস উপভোগ করতে চান? তা হলে আপনার গন্তব্য হতে পারে পূর্ণদাস রোডের ‘চারকোল— বাই ওয়াইস আউল’ রেঁস্তরা।
রাজমার গলৌটি কবাব, তন্দুরি মোতিয়া, সিকান্দারী মুর্গ, পেশোয়ারি বরহা থেকে মটন গলৌটি— রকমারি কবাব চেখে দেখতে পারবেন এই ঠিকানায়। কবাব খাবেন আর সঙ্গে বিরিয়ানি থাকবে না, তা আবার হয় নাকি? সব্জি বিরিয়ানি থেকে চিকেন কিংবা মটন বিরিয়ানি, সবই পাবেন এই ঠেকে। কাশ্মীরি, রাজস্থানি, পঞ্জাবি, পাকিস্তানি ও আফগানি, সব রকম খাবারের স্বাদই পাবেন এই রেস্তরাঁয়। এই রেস্তরাঁয় গেলে আওয়াধি মুর্গ মালাই, লাল মাস, গোস্ত রোগান গুলমার্গের স্বাদও চেখে দেখতে পারেন। শেষপাতে অবশ্য পাবেন ফিউশনের ছোঁয়া! বেকড মিহিদানা টার্ট, মালাই চিজকেক, কেশর মালাই প্যারিস ব্রেস্ট দিয়ে শেষপাতের রসনাতৃপ্তি করাই যায়। মন চাইলে এসির বদ্ধ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে খোলা হাওয়ায় বসেও কবাবের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন এই রেস্তরাঁয়। কবাব-বিরিয়ানি আর প্রিয়জনের সঙ্গে প্রথম ডেটটা জমবে ভাল।
চারকোলের বুরহা বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেও। চাকোলের শেফ মহম্মদ ইউনুস বলে দিলেন কী ভাবে হেঁশেলেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই পদ।
প্রথমে পাঠার মাংসের চাপের টুকরোগুলি নিয়ে তাতে পেঁপে বাটা, আদা রসুন বাটা, নুন, লেবুর রস। হলুদ গুঁড়ো আর লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়ে দিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিতে হবে। এ বার আলাদা পাত্রে জল ঝরানো টক দই, গরম মশলা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, আফগানি মশলা, চাট মশলা, সর্ষের তেল দিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। তার পর মেখে রাখা মাংসের সঙ্গে মিশ্রণটি মিশিয়ে আবার ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। কনভেকশন অভেন প্রিহিট করে মটন চাপগুলি ২৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট গ্রিল করে নিন। মাঝেমাঝে বার করে মাখন লাগিয়ে নিন। গ্রিন চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন বুরহা কবাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy