দুধের সর ফেলে না দিয়ে, তা থেকেই তৈরি করে নিতে পারেন নানা পদ। ছবি: সংগৃহীত।
দুধ খেতে দিলেই অনেকে সর মুখে পড়লে বিরক্ত হন। খুদে সদস্যদের অনেকেই সর দেখলে থুঃ করে ফেলে দেয়। কিন্তু প্রতি দিন দুধের সর জমিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন নানা পদ। খাবারের স্বাদ বাড়াতেও দুধের সর অনবদ্য। সর কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
মালাই টোস্ট
দুধের সর, দুধের সঙ্গে ভাল না লাগলেও, পাঁউরুটি দিয়ে দুধের মালাই দারুণ লাগে। দুধ জ্বাল দেওয়ার পর ঢেকে দিলে দুধের সর পড়ে। সেই সর জমিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘন মালাই। পাঁউরুটি মুচমুচে করে সেঁকে তার উপর ঘন ফেটিয়ে নেওয়া সর বা মালাই, চিনি ছড়িয়ে খেতে দুর্দান্ত লাগে।
কোপ্তার ঝোলে
মালাই কোফতা হোক বা পনির বাটার মশালা, ঝোলে ফেটিয়ে নেওয়া ঘন সর মিশলেই স্বাদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। শুধু কি তাই! ঝোলের রং-ঘনত্ব বদলে যায় মালাই মেশালে। রকমারি রান্নায় দুধের সর মিশিয়ে স্বাদ বাড়িয়ে দেওয়া যায় নিমেষেই।
পালং শাকে মেশান
পালং শাক দিয়ে পনির রান্না হোক বা মুরগির মাংস, শাকের হালকা কষা ভাব ও গন্ধ কাটাতে ২ টেবিল চামচ দুধের সরই যথেষ্ট। তবে সর ব্যবহারের আগে তা ভাল করে মিক্সিতে বেটে নিতে হবে।
পায়েস
ছানার পায়েস হোক বা চালের, সিমুই থেকে গাজরের হালুয়া, ঘন সর ভাল করে ফেটিয়ে শুধু মিশিয়ে দিতে হবে। যে কোনও মিষ্টির স্বাদ বদলে যাবে সামান্য দুধের সর যোগ করলেই। পায়েস বা হালুয়া রান্নার শেষ পর্যায়ে এসে ফেটিয়ে নেওয়া দুধের সর মিশিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিলেও সুস্বাদু পদ তৈরি হবে।
মাখন
বাজারচলতি মাখনের বদলে ঘরে জমানো দুধের সর দিয়েও মাখন তৈরি করে নিতে পারে। অনেকটা পরিমাণ দুধের সর ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে খুব ভাল করে ফেটাতে হবে। ফেটানোর সময় দিতে হবে ঠান্ডা জল ও বরফ। একটা সময় মাখন ঘন হয়ে উপরে ভেসে উঠবে। জল আলাদা হয়ে যাবে। ঘন অংশ তুলে নিয়ে চিনি মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু মাখন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy