বাড়িতে কী ভাবে বানাবেন নরম তুলতুলে কবাব? ছবি: শাটারস্টক।
সন্ধ্যা হলেই অনেকের ভাজাভুজি কিংবা মুখরোচক খাবার খেতে মন চায়। রসনাতৃপ্তির জন্য কখনও মোবাইলের অ্যাপের দিকে নজর যায়, তো কখনও আবার রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারেন লোকজন। ভাজাভুজি শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আবার খিদে পেলে ভাজাভুজি নয়, রোস্ট কিংবা কবাবের দিকে ঝোঁকেন। বড় হোটেল হোক বা রাস্তার পাশের ফাস্ট ফুড কার্ট— শহর জুড়ে এখন কবাব বিক্রির রমরমা। তবে বাড়িতে কবাব তৈরি করার সময় দোকানের সেই স্বাদ আসে না। জেনে নিন, রান্নার সময় কোন টোটকাগুলি মেনে চললে কবাবের স্বাদ হবে একেবারে দোকানের মতো।
১) কবাবের ক্ষেত্রে মশলা যাতে মাংসের ভিতরে ভাল ভাবে ঢোকে, সেটা বোঝা জরুরি। তাই মাংসে মশলা মাখিয়ে দু-তিন ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভাল হয়। শুধু মাংসই নয়, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, টোম্যাটোগুলিতেও আগে থেকেই মশলা মাখিয়ে রাখুন। তা হলেই বাড়বে কবাবের স্বাদ। কবাবের ম্যারিনেশন যত শুকনো হবে, ততই ভাল। তাই মাংসে যাতে কোনও রকম জলীয় ভাব না থাকে, সে দিকে নজর রাখুন। জল ঝরানো দই ব্যবহার করুন।
২) রেস্তরাঁ কিংবা দোকানে কবাব মূলত তন্দুরে করা হয়। তবে বাড়িতে তন্দুর থাকে না। ফ্রাইং প্যানেই মূলত সেঁকা হয়। পরে গ্যাসে পুড়িয়ে নিলেও সেই স্বাদ আসে না। তাই কবাব বানানোর পর একটি পাত্রে কবাবগুলি রেখে তার মধ্যে আর একটি ছোট বাটি রাখুন। এ বার কয়লা ভাল করে গরম করে নিয়ে ছোট বাটিতে রেখে উপর থেকে এক চামচ ঘি ঢেলে দিন। সঙ্গে সঙ্গে বড় পাত্রটিকে ঢেকে দিন। কবাবের মধ্যে পোড়া স্বাদ আর গন্ধ, দুই-ই আসবে এই পদ্ধতিতে। কয়লা না থাকলে বড় মাপের দারচিনি পুড়িয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) কবাব খুব বেশি সেঁকে নিলে শক্ত হয়ে যায়, খেতে মোটেও ভাল লাগে না। তাই কবাব কত ক্ষণ সেঁকলে তা কাঁচাও থাকবে না, আর ভিতর থেকে রসালো হবে, তা বোঝা ভীষণ জরুরি। কবাব নরম করতে সেঁকার সময় মাঝেমাঝে মাখন দিয়ে ব্রাশ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy