দেখতে অনেকটা এক রকম হলেও মরিচ খোলা এবং মাছের চচ্চড়ি কিন্তু এক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
বাজারের থলি খুলতেই গিন্নির মাথায় হাত! এত চুনোমাছ বাছবে কে? সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন যদি মাছ বাছতেই কেটে যায়, তা হলে চলে? এমনিতে মৌরলা বা কাচকির মতো ছোট মাছ বাড়িতে এলে চচ্চড়ি, ঝাল বা টক করেই খাওয়া হয়। তবে বৃষ্টির দিনে যদি মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে তা হলে বানিয়ে ফেলতে পারেন ওপারের বিশেষ একটি পদ ‘মরিচ খোলা’। চুনোমাছ যেমন মৌরলা, পুঁচি বা কাচকি দিয়েই সাধারণত মরিচ খোলা রাঁধা হয়। তবে চিংড়ি, ট্যাংরা, পাবদা, আমোদি বা রুই-কাতলার চারা মাছ দিয়ে এই পদ রাঁধলেও খেতে মন্দ লাগে না। দেখতে অনেকটা এক রকম হলেও মাছের চচ্চড়ি আর মরিচ খোলা কিন্তু আলাদা। কম সময়ে মরিচ খোলা রাঁধার প্রণালী রইল এখানে।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম: কাচকি বা মৌরলা মাছ
১ কাপ: পেঁয়াজ কুচি
আধ কাপ: পেঁয়াজ বাটা
২ টেবিল চামচ: রসুন বাটা
আধ কাপ: টম্যাটো কুচি
১ টেবিল চামচ: শুকনো লঙ্কা বাটা
১ চা চামচ: হলুদ গুঁড়ো
২-৩টি: কাঁচালঙ্কা
পরিমাণ মতো: নুন
২ টেবিল চামচ: ধনেপাতা কুচি
সর্ষের তেল: আধ কাপ
১টি: কলাপাতার টুকরো
প্রণালী:
মৌরলা বা কাচকি মাছ ভাল করে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখুন।
বড় একটি পাত্রে প্রথমে পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, লঙ্কা বাটা, গুঁড়ো হলুদ, নুন, সর্ষের তেল, টম্যাটো কুচি, ধনেপাতা কুচি এবং চুনোমাছ ভাল করে হাত দিয়ে মেখে নিন।
এ বার কলাপাতার মধ্যে মাছের ওই মিশ্রণ রেখে চারধার ভাল করে মুড়ে দিন।
চাইলে সুতো দিয়ে বেঁধে নিতে পারেন। না হলে টুথপিক দিয়ে চারদিক মুড়েও নেওয়া যায়।
গ্যাসে কড়াই বা চাটু গরম করে তার উপর অল্প তেল ব্রাশ করে নিন। তার পর কলাপাতায় মোড়ানো মাছগুলো বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন আঁচ যেন একেবারে কম থাকে। উপর থেকে ঢাকনা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে আরও ভাল হয়।
হাতের কাছে কলাপাতা না থাকলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঘড়ি ধরে আধ ঘণ্টা ওই ভাবে রেখে দিন। চাইলে কলাপাতা মোড়া মাছগুলো উল্টে দিতে পারেন। মিনিট তিনেক রেখে তার পর নামিয়ে ফেলুন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মরিচ খোলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy