দোলের মিষ্টিমুখে ঠান্ডাইয়ের চমক! ছবি: সংগৃহীত।
দোল মানেই প্রচুর রং খেলা, পরিবারের সঙ্গে হইহুল্লোড় আর জমিয়ে ভূরিভোজ। সকালে রং খেলাতেই দোল উদ্যাপন সীমিত নয়, বিকেলে আবার বাড়িতে বসবে বৈঠকি আড্ডার আসর, হবে বন্ধুবান্ধবদের সমাগম। রং খেলা হবে আর ঠান্ডাই থাকবে তা আবার হয় নাকি? তবে বাজারের ঠান্ডাই নয়, এ বার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ঠান্ডাই। ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ বানানো থাকলে ওই দিয়ে চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও! এক উপকরণেই হবে কামাল। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
কাঠাবাদাম: ১/২ কাপ
কাজুবাদাম: ১/২ কাপ
পেস্তা: ১/২ কাপ
গোটা গোলমরিচ: ২৫টি
এলাচের দানা: ১০টি
পোস্ত: ২ টেবিল চামচ
মৌরি: ২ টেবিল চামচ
জাফরান: দু’চিমটে
গোলাপের শুকনো পাঁপড়ি: ৪ টেবিল চামচ
জায়ফল গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ঘন দুধ: ২ কাপ
প্রণালী:
সব রকম শুকনো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে মিক্সিতে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। এ বার সেই মশলা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করে নিন। প্রতি গ্লাস দুধের সঙ্গে এক টেবিল চামচ এই মিশ্রণ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি ঠান্ডাই শরবত। সঙ্গে বরফের কুচি মেশাতে ভুলবেন না যেন।
ঠান্ডাইয়ের শরবত তো অনেকেই খেয়েছেন এ বার এই মিশ্রণ দিয়েই বানিয়ে তিন রম মিষ্টি বানিয়ে চমকে দিন অতিথিদের।
ঠান্ডাই বরফি: ৫০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর নিয়ে তাতে ২৫০ গ্রাম গুঁড়ো চিনি, দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন। কড়াইতে সামান্য ঘি গরম করে মিশ্রণটি দিয়ে পাক করে নিন। এ বার একটি ট্রেতে সামান্য ঘি মাখিয়ে বানিয়ে রাখা মিশ্রণটি ঢেলে রাখুন। ছুড়ি জাতীয় জিনিস দিয়ে মিশ্রণের উপরিভাগ সমান করে নিন। উপর থেকে পেস্তা আর কাজুবাদাম কুচি ছড়িয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বার করে বরফির আকারে কেটে কেটে পরিবেশন করুন ঠান্ডাই বরফি।
ঠান্ডাই রসমালাই: দু’লিটার দুধ জাল দিয়ে গাঢ় করে নিন। দুধের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে এলে সেই দুধে ৩ টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ আর স্বাদমতো চিনি মিশিয়ে দিন। পাঁচটি বড় মাপের রসগোল্লা দিয়ে মিনিট দুয়েক ফুটিয়ে নিন। গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে উপর থেকে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন ঠান্ডাই রসমালাই।
ঠান্ডাই কুলফি: দু’লিটার দুধ গাঢ় করুন। এ বার সেই দুধে ৩ টেবিল চামচ গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। দুধ আরও গাঢ় হয়ে এলে এক টেবিল চামচ ঠান্ডাইয়ের মিশ্রণ আর স্বাদমতো চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। মিনিট দুয়েক পড়ে গ্যাস বন্ধ করে দিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে কুলফি জমানোর পাত্রে রেখে ডিপ ফ্রিজে ভরে ঘণ্টা পাঁচেক রাখুন। ভূরিভোজের শেষপাতে পরিবেশন করুন ঠান্ডাই কুলফি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy