মিষ্টি আর মাছ খেতে ভালবাসেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। মেনু কার্ডে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ছবি: অভিনেতার ফেসবুক পেজ থেকে।
পুজোর সময়ে প্রতি বছর নিজের গ্রামে চলে যান অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। গ্রামের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। আর হয় পাত পেড়ে ঢালাও খাওয়াদাওয়া। এ বারও সেই রীতি ভাঙেনি। পঞ্চমীর দিন রাতেই সপরিবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্বনাথ। তাঁর কাছে আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল সপ্তমীর সকালের মেনু। বলতে গিয়ে অভিনেতা তাঁর পুজোর জলখাবারের গল্প শোনালেন— ‘‘আমাদের দেশের বাড়িতে জলখাবারে একটা তরকারি হয় জানেন। কুমড়ো আর আলু দিয়ে। ছোলা থাকে না কিন্তু। আমার জামাইবাবুরা বলেন, সেটাকে বলেন কুমড়োর মলম। প্রতি বছর ওই একই মেনু। কিন্তু কথাটা হচ্ছে সকলে মিলে মাটিতে চাটাই পেতে বসে খাওয়া হয়। সেই অভিজ্ঞতাই আসল। পুজোর দিন সকালে মাটিতে বসে লুচি দিয়ে ওই কুমড়োর মলম না খেলে পুজো পুজো মনেই হয় না আমার।’’
আসলে খাওয়াটা নিছক খাওয়া নয়। বিশ্বনাথের কাছে খাওয়াদাওয়া হল একটা অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা কাজের জায়গায়, দৈনন্দিন জীবনে এক রকম। আর দুর্গাপুজোর ক’টা দিন আর এক রকম। বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘সারা বছর কাজ আর ব্যস্ততার ফাঁকে ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া যে হয় না, তা নয়। কিন্তু পুজোর সময়ের খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে তার তুলনা চলে না। ওই ক’টা দিন আমার বাঁধাধরা মেনু। আর প্রতি বছর পুজোয় আমার সেটাই চাই। ওই ক’টা দিনের খাওয়াদাওয়ার জন্য আমি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি।’’ পাঠকের জন্য তৈরি জলখাবারের মেনুতে অবশ্য কুমড়ো বাদ। বিশ্বনাথ রেখেছেন বাঙালির চিরন্তন লুচি। তবে ছোট সাইজের লুচি আর কালো জিরে দেওয়া ঝোলঝোল আলুর সাদা তরকারি। মিষ্টিমুখ ছাড়া পুজোর সকাল কিসে। বিশ্বনাথের তাই সকালের জলখাবারে রেখেছেন দু’রকম মিষ্টি— গরম জিলিপি আর মাখা সন্দেশ।
আসলে মিষ্টি খেতে বড় ভালবাসেন বিশ্বনাথ। মিষ্টির কথা বলতেই ফিরে এল দেশের বাড়ির পুজোর মিষ্টির স্মৃতি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে পুজোর সময়ে একটা দারুণ মিষ্টি বানায় জানেন। লম্বাটে এক ধরনের গজা। আমরা বলি বড় গজা। পুজোর সময় গ্রামে গিয়ে আমি আগে ওই গজার খোঁজ করি। দশমীর দিন ঠাকুর বিসর্জন দিয়ে এসে মুড়ি আর ঘুগনির সঙ্গে ওই গজ়া মাস্ট।’’
তবে মিষ্টির পাশাপাশি বিশ্বনাথ মাছেরও ভক্ত। জলখাবার নিরামিষ হলেও দিনের বাকি খাওয়াদাওয়ায় মাছের ছড়াছড়ি। গ্রামের বাড়িতে দুপুরের পাতে থাকে ভাত, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, কুঁচো চিংড়ি দিয়ে লাবড়া, পুকুর থেকে ধরা তাজা মাছের ঝোল। পাঠকের জন্য বিশ্বনাথের তৈরি মধ্যাহ্নভোজের মেনু কার্ডেও মাছই মূল আকর্ষণ। থাকবে ভাত, শুক্তো, তাঁর গ্রামের বাড়ির মতোই মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, একটা যে কোনও ভাজা, ইলিশ মাছ ভাজা, দই ইলিশ বা ভাপা ইলিশ জাতীয় ইলিশ মাছের যে কোনও স্বাদু পদ, চাটনি, পাঁপড় এবং অবশ্যই লাল দই।
দুপুরে এ সব খেলেও সপ্তমীর সন্ধ্যায় খিদে চাগাড় দেবে। পুজো বলে কথা। আড্ডা জমলেই মুখ চালাতে মন চায়। বিশ্বনাথের ইচ্ছা, সন্ধ্যার আড্ডায় থাকুক খাঁটি ভেটকি মাছের ফিশ ফ্রাই আর ধোঁয়াদার কফি। তবে সপ্তমীর রাতে আর বাংলা নয়। সোজা চিনে পাড়ি। ডিনারে অভিনেতার পছন্দ গ্রেভি চাউমিন আর হুনান চিকেন। কিন্তু মাছ ছাড়া কি বিশ্বনাথের মেনুকার্ড সম্ভব! তাই রাতেও চাইনিজ়ের সঙ্গে থাকবে চিংড়ি মাছ। তবে বাঙালি চিংড়ি নয়। চিনা খাবারের সঙ্গে সঙ্গত করবে চাইনিজ় চিংড়িই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy