চিয়া আর কফির যুগলবন্দিতেই তৈরি হবে চিয়া তিরামিসু। ছবি: শাটারস্টক।
ফিটনেস প্রভাবী থেকে পুষ্টিবিদ, অভিনেতা-অভিনেত্রী— সকলেই ইদানীং ওজন ঝরানোর ডায়েটে চিয়া বীজ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। বাজারে চিয়া বীজ নিয়ে হইচই এতই বেড়েছে যে, দিন দিন এই বীজের দামও ঊর্ধ্বমুখী। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন ঝরানোর আশায় এই বীজ না খাওয়াই ভাল। মেদ ঝরানোর সঙ্গে এই বীজের সরাসরি কোনও রকম সম্পর্ক নেই। তবে চিয়া বীজের যে নানা রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারে থাকে। চিয়া ভেজানো জল খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে এবং বার বার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। জলে ভিজিয়েই এই বীজ খাওয়া যায়। তবে, এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপায়ে রোজের খাবারে যোগ করতে পারেন এই বীজ। রইল এমনই ৩টি রেসিপির হদিস।
চিয়া-ওট্স কুকিজ়: আধ কাপ দুধে ৪ চামচ চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার একটি পাত্রে সেই মিশ্রণ নিয়ে তার সঙ্গে একে একে কলা মাখা, নারকেল গুঁড়ো, ওট্স, পিনাট বাটার, চকো চিপ্স মিশিয়ে ছোট ছোট কুকির আকারে গড়ে বেক করে নিন। খিদে পেলে খেতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস।
চিয়া প্যানকেক: একটি পাত্রে রাগির আটা বা বেসন নিয়ে তার সঙ্গে একে একে মিশিয়ে নিন গাজর কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, টম্যাটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, নুন, গোলমরিচ গুঁড়ো আর চিয়া বীজের গুঁড়ো। পরিমাণ মতো জল দিয়ে ভাল করে এগুলি মিশিয়ে নিয়ে অল্প তেলে গোলা রুটির মতো সেঁকে নিন। তৈরি হয়ে যাবে চিয়া প্যানকেক।
চিয়া তিরামিসু: আধ কাপ চিয়া বিজ, ২ চামচ মেপল সিরাপ, ১ কাপ দুধ, ১ চামচ কফি, ১ চামচ কোকো পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি সারা রাত ফ্রিজ়ে রাখুন। এ বার মিশ্রণটি বার করে তার উপর গ্রিক ইয়োগার্টের প্রলেপ দিন। তার উপর কফি গুঁড়ো ছড়িয়ে আরও কিছু ক্ষণ ফ্রিজ়ে রাখুন। মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করলে স্বাস্থ্যকর এই পদটি বানিয়ে ফেলতেই পারেন।
চিয়া স্যালাড: প্রথমে দুধের মধ্যে চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে সেই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে দিন টুকরো করে কেটে রাখা ফল। ফলের মধ্যে কলা, আপেল, আঙুর ব্যবহার করতে পারেন। এ বার তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন কাঠবাদাম, কাজু আর কিশমিশ কুচি। প্রস্তুত চিয়া স্যালাড।
কেশর-চিয়া পুডিং: ১ কাপ গরম দুধ নিয়ে তার মধ্যে ২ চামচ চিয়া বীজ, এক চিমটে কেশর, ২ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার কলা টুকরো করে কেটে নিয়ে সেই মিশ্রণে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফ্রিজ়ে রেখে দিন। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে কেশর চিয়া পুডিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy