উৎসবের মরসুমে পাতে পড়ুক ভিন্ন স্বাদের মটন! ছবি- সংগৃহীত
উৎসবের মরসুম মানেই বাঙালির ভূরিভোজ শুরু! সারা বছর কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, হার্টের অসুখের জেরে চিকিত্সকের কড়া নির্দেশে পাঁঠার মাংস একেবারেই ‘নৈব নৈব চ’। তাই বলে কি উৎসবের দিনেও আপনার পাতে পড়বে না সাধের মটন?বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন হিমাচলের বিখ্যাত মটনের পদটি। উৎসবের ভূরিভোজে একটু অনিয়ম চলতেই পারে, তবে অবশ্যই শরীরের ক্ষতি করে নয়। পুজোয় রেস্তরাঁর লম্বা লাইনে হাপিত্যেশ অপেক্ষা ভুলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন হিমাচলি ছা গোস্ত। রইল রেসিপির হদিস।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ৭৫০ গ্রাম
তেজপাতা: ১টি
গোটা গরমমশলা: ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
টক দই: আধ কাপ
নুন: স্বাদ মতো
সরষের তেল: ৫ টেবিল চামচ
গোটা ধনে: ১ চা চামচ
আদা কুচি: ১ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা: ১ টেবিল চামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
বেসন: ৩ টেবিল চামচ
দইয়ের ঘোল: ১ কাপ
ধনেপাতা কুচি: ২ চামচ
প্রণালী:একটি পাত্রে পাঁঠার মাংস নিয়ে তাতে একে একে তেজপাতা, গোটা গরমমশলা, রসুন বাটা, আদা বাটা, টক দই ও স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ম্যারিনেট করা মাংস ফ্রিজে রাখুন। এ বার কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে গোটা ধনে ফোড়ন দিন। আদা কুচি ও কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এবার পেঁয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিন। একে একে সব গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ম্যারিনেট করা পাঁঠার মাংস দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। এ বার শুকনো তাওয়ায় ভেজে রাখা বেসন ভাল মিশিয়ে মিনিট দশেক ঢাকা দিয়ে রাখুন। তারপর ঢাকা খুলে দইয়ের ঘোল দিয়ে দিন। কড়াইতে কষিয়ে ঘন্টা দুয়েক রান্না করুন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে গ্যাসের আচ বন্ধ করে দিন। সময়ে বাঁচাতে প্রেসার কুকারের ব্বহারও করতে পারেন। নান কিংবা পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন ছা গোস্ত!
পাঁঠার মাংস ছাড়া যে কোনও মাংস দিয়েই এই রেসিপি বানিয়ে ফেলতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy