তেল যত গরম হবে, ভাজাভুজি ততই কুড়মুড়ে হবে। ছবি: সংগৃহীত
সদ্য রান্নার প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। ইদানীং নেট ঘেঁটে চিকেন তন্দুরি থেকে খাসির মাংস সবটাই বানিয়ে ফেলছেন। প্রশংসাও পাচ্ছেন প্রিয় মানুষের থেকে। তবে ভাজাভুজির ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চালের গুঁড়ো থেকে শুরু করে কর্নফ্লাওয়ার, সবই ব্যবহার করে দেখেছেন, অথচ কিছুতেই কুড়মুড়ে হচ্ছে না ভাজাভুজি।
চিকেন পকোড়া হোক কিংবা কাটলেট, কায়দা না জানলে দোকানের মতো কুড়মুড়ে ভাব আসা মুশকিল! অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, যখন কিছু ভাজলেন, তখন কুড়মুড়ে হলেও খানিক ক্ষণ পরেই তা নরম হয়ে যায়। কোন টোটকা মানলে সব সময়েই ভাজাভুজি কুড়মুড়ে হবে, রইল তার হদিস।
১) শিশুরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে ভালবাসে। তবে বাড়িতে শত চেষ্টা করেও দোকানের মতো কুড়কুড়ে ভাব আসে না। এর কারণ হল, আলুতে স্টার্চ থাকে আর ভাজার আগে সেই স্টার্চ আলুর গায়ে লেগে থাকলে ভাজার সময় কুড়মুড়ে হয় না। তাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করার সময় আলুগুলি নির্দিষ্ট মাপে কেটে ঠান্ডা জলে আধ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন। তবেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুচমুচে হবে।
২) বিভিন্ন তেলের ধূমাঙ্ক (স্মোকিং পয়েন্ট) বিভিন্ন হয়। তেল যত গরম হবে, ভাজাভুজি ততই কুড়মুড়ে হবে। সাদা তেল, যেমন বাদাম তেল বা সূর্যমুখী তেলের ধূমাঙ্ক বেশি। তাই ওই তেলে কিছু ভাজলে তা বেশি কুড়মুড়ে হয়।
৩) কিছু ভাজার সময়ে তেল সঠিক মাত্রায় গরম না হলে মুশকিল। ঠান্ডা তেলে কখনওই পকোড়া বা কাটলেট দিলে তা কুড়মুড়ে হবে না। অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে আবার সেগুলি পুড়ে যাবে। তাই তেল ভাল করে গরম করে নিয়ে যখন ধোঁয়া উঠতে শুরু করবে, তখন গ্যাসের আঁচ খানিকটা কমিয়ে নিয়ে ভেজে ফেলুন পছন্দের স্ন্যাকস।
৪) খুব বেশি জিনিস একসঙ্গে তেলে ছেড়ে দিলে তা কখনওই কুডমুড়ে হবে না। তাই যে পাত্রে ভাজছেন, তার আকার বুঝে অল্প অল্প করেই ভাজা শ্রেয়।
৫) হাতে একটু সময় থাকলে ডবল ফ্রায়িং পন্থা বেশ ভাল! এ ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও ভাজাভুজি তেলে ছেড়ে আধভাজা করে তুলে রাখুন। খাওয়ার আগে ফের আর এক বার তেলে দিয়ে ভেজে নিন। এতে কুড়মুড়ে হবে আপনার নাস্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy