রান্নায় ডিম বেশি লাগে বলেই বাড়িতে ডজন ডজন ডিম কিনে রাখেন অনেকে। ছবি: শাটারস্টক
আচমকা বাড়িতে অতিথি এসে পড়েছেন, কী খেতে দেবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে ডিম দিয়েই হয় মুশকিল আসান! কাঁচালঙ্কা আর কুঁচো পেঁয়াজ দিয়ে ওমলেট, না হয় ডিমের পকোরা আর গরম চা। ব্যস, প্রাথমিক আপ্যায়ণে আর কী চাই!
বাজার যাওয়ার সময় পাননি? তো কী হয়েছে? ডিমের ডালনা, ডিমের ধোকা কিংবা ডিম পোস্ত করে নিলেই ভাতের থালা একেবারে সাফ! কিংবা সকালে খুব তাড়াহুড়োয় খাবার বানানো হয়নি? অসুবিধা কি? ডিম ভেঙে সামান্য তেলে নিয়ে একটু ভুজিয়া বা পোচ করে নিলেই কাজ মিটল, পেটও ভরল।
বাঙালি হেঁশেলে ডিমের জায়গা একেবারে পাকা। মধ্যবিত্তের সংসারে সস্তায় প্রোটিন খুঁজতে গেলেও থামতে হয় ডিমের কাছে। তবে এই ডিম রান্নার সময় অজান্তেই আমরা কিছু ভুল করে ফেলি, জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) ডিম বেশি লাগে বলেই বাড়িতে ডজন ডজন ডিম কিনে রাখেন অনেকে। এই গরমে ফ্রিজে ভরে না রাখলে কিন্তু ডিমগুলি খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে একটা ডিম পঁচা বেরিয়ে যায়। তাই বাজার থেকে কিনে আনার পর একটি বড় গভীর পাত্রে ডিমগুলি ডুবিয়ে রাখুন। যে ডিমগুলি জলের উপরে ভাসবে সেইগুলি আদতে পঁচা, ব্যবহার না করাই ভাল।
২) বেকিংয়ের সময় অনেক ক্ষেত্রেই ডিম ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা ডিম ভুলেও ব্যবহার করবেন না। নইলে কিন্তু কেক, কুকিজ় ঠিক মতো বেক হবে না। বেকিংয়ের প্রস্তুতির আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বার করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে সেগুলি ব্যবহার করুন।
৩) অল্প তেলে ডিমের অমলেট কিংবা পোঁচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলি লেগে যায়। এগুলি রান্নার সময় ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন। ডিম সেদ্ধ করার সময় কানা উঁচু পাত্রের ব্যবহার করুন।
৪) ডিম সেদ্ধ করার সময় কত ক্ষণ ফোটাবেন তা ঠিক বুঝতে পারা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তার পর গরম জলেই ডিমগুলি খানিক ক্ষণ রেখে দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশি ক্ষণ ধরে জলে ফোটালে কুসুমের স্বাদ বিগড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy