অগ্রণী: (বাঁদিকে) অক্ষয়কুমার দত্ত এবং তাঁর লেখা ‘চারুপাঠ’-এর প্রথম পাতা
গভীর রাত। এক তিনতলা বাড়ির ছাদে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছে। তবে তা নিচু গলায়। স্বামী ভদ্রলোকটির কণ্ঠ উচ্চকিত নয়। যুবকটির ‘অপরাধ’, তিনি স্ত্রীর প্রতি মনোযোগী নন। এই গভীর রাতে বাড়ির ছাদে বসে তিনি এক খগোল-যন্ত্র নিয়ে আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করছেন। জ্যোর্তিবিজ্ঞান তাঁর প্রাণের বিষয়। আকাশ জুড়ে সারা রাত যে মহাজাগতিক বিস্ময়ের ঘটনা চলতে থাকে, সে সবের সাক্ষী থাকতে হলে যে রাত ছাড়া উপায় নেই! বিরক্ত, ক্ষুব্ধ স্ত্রী ছাদে উঠে এসেছেন আজ। এমন লোক কে দেখেছে, যে দুই প্রহর-আড়াই প্রহর রাতে স্ত্রীর শয্যা ছেড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে! এ তো সামান্য বিড়ম্বনা নয়! উত্তরে যুবকটি শান্ত কণ্ঠে বললেন, “এমন লোকের স্ত্রী এরূপ কথা বলে, তা যে আরও বড় বিড়ম্বনার।”
খগোল-যন্ত্র হল দূরবিন। পারিভাষিক শব্দ দূরবীক্ষণ। এই নামটি দিয়েছেন রাত-জাগা ওই যুবক— অক্ষয়কুমার দত্ত। বিজ্ঞান, গণিত, ভূগোলের ক্ষেত্রে আরও অসংখ্য পারিভাষিক শব্দ তৈরি করেছিলেন তিনি। যেমন, অণুবীক্ষণ, চুম্বক, জ্যোতির্বিদ্যা, দাহ্য পদার্থ, জড়, তড়িৎ, পরিমিতি, ধ্রুবতারা, অঙ্গার, বাষ্প, বজ্র, জোয়ার, রামধনু, সৌরজগৎ, মাধ্যাকর্ষণ, গ্রহণ, সুমেরু, কুমেরু, মানমন্দির, জ্বালামুখী, আগ্নেয়গিরি। এগুলি নমুনা মাত্র। তালিকাটি দীর্ঘ। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চাকে পথ দেখিয়েছিল এই পরিভাষা।
হিন্দু হোস্টেলের এক দল ছাত্র অক্ষরকুমারকে ঈশ্বর-প্রার্থনার উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন করল। তিনি বীজগণিতের সমীকরণ দিয়ে দেখালেন: পরিশ্রম=শস্য। পরিশ্রম+প্রার্থনা=শস্য। অতএব, প্রার্থনা=শূন্য। ছাত্ররা এই উপস্থাপনার নাটকীয়তায় স্তম্ভিত হয়ে গেল। তাদের মুখে মুখে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল এই সমীকরণ। শিক্ষিত মহলেও আলোড়ন উঠল। এই ঘটনার দু’দিন পর মেডিকেল কলেজের ‘ডিমনস্ট্রেটর’ বাবু নীলমাধব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অক্ষয়কুমারের দেখা, নীলমাধববাবু হাসতে হাসতে বলিলেন, ‘‘আপনি ভাল এক সমীকরণ দিয়া শহরটা তোলপাড় করিয়া দিয়াছেন।”
অক্ষয়কুমারের একটি বইয়ের জন্য স্কুলে আগুন লাগাতে চেয়েছিল কিছু লোক। ঢাকার বিক্রমপুরের ঘটনা। ১৮৫১ সাল। সদ্য বেরিয়েছে ‘বাহ্যবস্তুর সহিত মানবপ্রকৃতির সম্বন্ধবিচার’ বইটি। বিক্রমপুরের কালীপাড়া স্কুলের এক দল ছাত্র বই পড়ে মুগ্ধ। দেড়শো বছরেরও আগে সেই বইয়ে অক্ষয়কুমার লিখছেন: বিবাহের আগে হবু দম্পতি পরস্পরের সঙ্গে ভাল ভাবে আলাপ-পরিচয় করে নেবে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য যেন বেশি না থাকে। সংসারে নারী ও পুরুষের কর্তব্য ও দায়িত্ব সমান। যদি স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে এবং সমাধানের কোনও পথ খুঁজে না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ কাম্য।
তোলপাড় পড়ে গেল সর্বত্র। কালীপাড়া স্কুলের কিছু ছাত্র সভা করে প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করলেন: ‘আমরা এই পুস্তকে লিখিত বিবাহাদির নিয়মসকল অবলম্বন করিব।’ ধর্মান্ধ রক্ষণশীল মহলে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিল। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, স্কুলবাড়িটাই পুড়িয়ে দেবেন। তবে এই হুমকিতে অগ্রণী ছাত্রদের প্রতিহত করা যায়নি। অনেকেই গৃহত্যাগী হয়েছিলেন সে দিন। অক্ষয়-জীবনীকার মহেন্দ্রনাথ রায় লিখেছেন: “উপস্থিত বৃত্তান্তটি সঞ্জীবনী-পত্রিকার সম্পাদক শ্রীযুক্ত বাবু দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। তিনি ঐ সময়ে ঐ স্কুলের ছাত্র ছিলেন।” দ্বারকানাথের উপরেও এর প্রভাব পড়েছিল। তাঁরা কুলীন ছিলেন, পরিবারে প্রায় সবাই বংশানুক্রমে চল্লিশ-পঞ্চাশটি করে বিবাহ করতেন। দ্বারকানাথ পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে জানিয়েছিলেন, “আমি এক বই দুই বিবাহ করিব না।”
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক করলেন, তত্ত্ববোধিনী সভার পক্ষ থেকে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হবে। উপযুক্ত সম্পাদক খুঁজছিলেন। প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল। ‘অক্ষয়কুমার দত্তের রচনা দেখিয়া আমি তাঁহাকে মনোনীত করিলাম।’— জানাচ্ছেন দেবেন্দ্রনাথ। ১৮৪৩-১৮৫৫, একটানা বারো বছর ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন অক্ষয়কুমার। গ্রাহক সংখ্যা সাতশো ছুঁয়েছিল। বিধবাবিবাহ সম্পর্কিত প্রথম বক্তব্য বিদ্যাসাগর প্রকাশ করেন এই পত্রিকাতেই। অক্ষয়কুমার নিজে সম্পাদকীয় নিবন্ধে সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানান। রমেশচন্দ্র দত্ত লিখেছেন: ‘বঙ্গদেশের সর্বত্র লোকে ঐ কাগজের প্রতিটি সংখ্যার জন্য ব্যাকুল আগ্রহে অপেক্ষা করিত। সেই চুপচাপ, রোগজীর্ণ, কিন্তু অক্লান্তকর্মী মানুষটি তাঁহার ডেস্কের সামনে বসিয়া বেশ কয়েকটি বছর ধরিয়া বাঙালিদের মতামতকে, তাহাদের চিন্তাগত অবস্থানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করিয়াছিলেন।’
১৮৫৫ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী’ সম্পাদনার দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন অক্ষয়কুমার। কারণ ‘ভয়ানক শিরঃপীড়া’। আষাঢ় মাসের সন্ধ্যা, ব্রাহ্মসমাজের প্রার্থনাঘরে উপাসনা চলছে। হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে গেলেন। এর দু’দিন পরে, তত্ত্ববোধিনী দফতরে বসে একমনে লেখালিখি করছেন। হঠাৎ মাথায় কেমন একটা জ্বালা, খুব যন্ত্রণাও। সেই শুরু। একটানা কোনও কিছুতে মনোযোগ দিতে পারতেন না আর। সভাসমিতিতে যেতেন না। জোরে আওয়াজ হলে অসহ্য বোধ হত। বাড়িতে আসবাবপত্র টানাটানির শব্দে ক্ষিপ্ত হতেন, বাড়ির কাছে কেউ কাঠ কাটলে তাকে পয়সা দিয়ে বলতেন দূরে গিয়ে ওই কাজ করতে।
‘তত্ত্ববোধিনী’ সম্পাদনার অমানুষিক শ্রম থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিদ্যাসাগরের অনুরোধে নর্মাল স্কুলের অধ্যক্ষ পদে যোগ দিলেন। একটা মাস-মাইনে তো প্রয়োজন। কিন্তু এই কাজটাও করতে পারলেন না। বছর না ঘুরতে ছেড়ে দিলেন অধ্যক্ষের চাকরি। অসুস্থতার খবর পেয়ে জার্মানি থেকে ম্যাক্সমুলার চিঠি লিখেছেন অক্ষয়কুমারকে। ১৮৮৩ সালের ৩১ অগস্ট লেখা চিঠিতে উদ্বেগ: ‘আপনার অসুস্থতার খবর শুনে খুব দুঃখিত। আশা করি আপনি অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারবেন।’
অসুস্থতা নিয়েই করেছেন ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়’ বইটির কাজ। হিন্দু ধর্মের নানা শাখাপ্রশাখা, নানান সম্প্রদায়, বিচিত্র আচরণ। অন্যান্য ধর্মও খুব ব্যতিক্রম নয়। এমনই ১৮২টা সম্প্রদায়কে নিয়ে দুই খণ্ডে প্রকাশিত এই বইয়ে তিনি প্রকাশ্যে ভাববাদী চিন্তাকে আক্রমণ করেছেন। কোনও কোনও সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণকে মানসিক রোগ বলতেও ছাড়েননি। সব থেকে বড় কথা, এই বইয়ের অনেকটাই তাঁর নিজস্ব ক্ষেত্রসমীক্ষার ফসল। রোগ-অসুখ তাঁর নিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। এক দিন গাড়িতে বেরিয়েছেন, সঙ্গে অম্বিকাচরণ চট্টোপাধ্যায়। পথে এক ধাঙড়কে দেখতে পেয়ে অক্ষয়কুমার গাড়ি থামাতে বললেন। মানুষটি তাঁর পূর্বপরিচিত। ইতিমধ্যে আরও কয়েক জন ধাঙড় সেখানে এসে উপস্থিত। গাড়ি থামিয়ে তাঁদের কাছ থেকে অক্ষয়কুমার শুনলেন ধাঙড় সমাজের রীতিনীতি, দেবদেবীর পূজার্চনার বৃত্তান্ত। এ কথা-সে কথায় অম্বিকাবাবুও দু-একটা প্রশ্ন করলেন। কিন্তু ধাঙড়রা তাঁকে উত্তর দেবে না। অক্ষয়বাবুকে এত খাতির কেন? এক ধাঙড়ের উত্তর: “উনি আমাদের দেশে গিয়াছিলেন, উনি আমাদের (জাতের) ভেদ মারিয়াছেন।”
ক্ষমাপ্রার্থনা করে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন অক্ষয়কুমার। আলাদা আলাদা সময়ে তিনটি পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়: ১২৯০ বঙ্গাব্দের ১১ বৈশাখ ‘সোমপ্রকাশ’-এ, ১২৯১-এর ৮ বৈশাখ ‘সঞ্জীবনী’ পত্রিকায় এবং ১৮৮৫-র ১০ জুন ‘নিউজ় অব দ্য ডে’ সংবাদপত্রে। অনুরাগীরা তাঁকে নানান বিষয়ে চিঠি লিখতেন, তিনি অসুস্থতার জন্য উত্তর দিতে পারতেন না। মনে মনে গ্লানি বোধ করতেন। তাই এই ক্ষমাপ্রার্থনা। আর একটি ‘ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন’ অবশ্য বেশ মজার। “আমার এক ভৃত্য গত শুক্রবার প্রাতঃকালে স্বর্ণালঙ্কারে ও নগদে প্রায় আড়াইশত টাকা হরণ করিয়া পলায়ন করিয়াছে। যে ব্যক্তি তাহাকে বমাল সহিত ধরিয়া দিতে পারিবে তাহাকে উচিতমত পারিতোষিক প্রদান করা যাইবেক।” ‘সম্বাদ প্রভাকর’-এ ১২৬০ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে প্রকাশিত এই বিজ্ঞাপনে গয়নার বিবরণে আছে: হেলে হার ১ ছড়া, কণ্ঠমালা ১ ছড়া, বাজু ২ খানা, বালা ৪ গাছা।
কলকাতা থেকে দূরে কোথাও চলে যেতে চাইছিলেন। বালিতে জায়গা দেখে বাড়ি করে থাকতে শুরু করলেন। লাগোয়া জমিতে তৈরি করলেন ‘শোভনোদ্যান’— উদ্ভিদবিদ্যা চর্চার ক্ষেত্র। ৩৮ রকমের বৃক্ষ, ১৫ রকমের ফুল বা সুদৃশ্য নানা গাছ, ১৬ রকমের মশলাজাতীয় গাছের কথা পাওয়া যায় নানা জনের বিবরণে। অক্ষয়কুমার রচিত তিন খণ্ড ‘চারুপাঠ’ ছাত্রমহলে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। তাই বিদ্যাসাগর এই উদ্যানের নাম দিয়েছিলেন ‘চারুপাঠ চতুর্থ ভাগ’। বাড়ির ভিতরেও তৈরি করেছিলেন একটি ভূতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা। সেখানে ছিল বিভিন্ন যুগের প্রস্তরখণ্ডের নমুনা, ফসিল। শরীর সঙ্গ দিত না, তবু কলকাতা জাদুঘরে বা শিবপুর বোটানিক্যাল উদ্যানে যেতেন নিয়মিত। জাদুঘরে লাঠি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল বলে সঙ্গীর কাঁধে ভর রেখে চলতে হত। সঙ্গীর হাতে থাকত বই। সেখানে ছাপা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতেন প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু।
বালির বাড়িতেই একা, নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছেন ‘ধর্ম্মনীতি’র লেখক। পুত্র-কন্যাদের সঙ্গে দূরত্ব ছিল। অম্বিকাচরণ চট্টোপাধ্যায় ও রামচন্দ্র রায় তাঁর দেখাশোনা করতেন। ১৮৮৬-র ২৮ মে, ছেষট্টি বছর বয়সে যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁর পৌত্র সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের চার বছর বয়স। এই সত্যেন্দ্রনাথই পরে বাংলা কবিতায় ‘ছন্দের জাদুকর’ বলে খ্যাত। পিতামহকে ‘হোমশিখা’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করে লিখেছিলেন ‘বঙ্গীয় গদ্যের গৌরবস্থল/ আমার পূজ্যপাদ পিতামহ…’।
চিনি, ময়দা, সুতার কল, কাগজের কল, টাঁকশালে যেতেন অক্ষয়কুমার, যন্ত্রবিজ্ঞান কী ভাবে কাজ করে দেখবেন বলে। সমুদ্রভ্রমণে গিয়ে দূরবিন চোখে পৃথিবীর গোলাকৃতির পরীক্ষা করতেন, জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আলোচনা করতেন নানা দেশ নিয়ে। ইচ্ছে করে বারবেলা, কালবেলা, কালরাত্রি, অশ্লেষা, মঘা, ত্র্যহস্পর্শ প্রভৃতি ‘অশুভ’ দিনক্ষণ দেখে ভ্রমণে বেরোতেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ‘পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা’র শরিক হতেন। বাংলা ও ইংরেজি ছাড়াও জানতেন সংস্কৃত, গ্রিক, ল্যাটিন, হিব্রু, ফরাসি ভাষা। বিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চা ছাড়াও গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল, ভূতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা, নৃবিজ্ঞান, বিবর্তনতত্ত্ব, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব, ভারতের পুরাতত্ত্বের চর্চা করেছেন।
অক্ষয়কুমার দত্তের জন্ম ১৮২০-র ১৫ জুলাই। বিদ্যাসাগরের দু’মাস আগে। আগামীকাল তাঁর দ্বিশততম জন্মদিন। বাঙালি তাঁকে খুব যে মনে রেখেছে, বলা যাবে না। অবশ্য ঘটা করে প্রতি বছর তাঁর ছবিতে ফুলচন্দন দিলে বা পঞ্চধাতুর মূর্তি স্থাপন করলেও খুব কিছু এসে যেত না। বেঁচে থাকতেই ভাববাদের উল্টো পথের এই একলা পথিক লিখেছিলেন: ‘যদি বা আমার কীর্ত্তি স্থায়ী হয়, কিন্তু আমি তো চিরস্থায়ী নই।… মৃত্যুর পরে আমি সে কীর্ত্তি ঘোষণা শুনিতে আসিব না।’
কৃতজ্ঞতা: আশীষ লাহিড়ী, শিবপ্রসাদ মিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy