Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Short story

short story: সূত্রপাত

সে দিন গাড়ির স্লিপটা না পেলেও, অন্য কাগজ গার্ডটির হাতে গুঁজে দিয়ে রেহাই পেয়েছিলাম। একের পর দুটো শূন্য লেখা গান্ধীজির ছবিওয়ালা কাগজ।

ছবি: তারকনাথ মুখোপাধ্যায়

ছবি: তারকনাথ মুখোপাধ্যায়

নীল মজুমদার
শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০৭:০৩
Share: Save:

সিঁড়ি দিয়ে নেমে প্রায় ছুটতে ছুটতে আমি পার্কিং লটে চলে এলাম। আমার গাড়ির পিছনে রাখা একটা গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। ভালই হল, রিভার্স গিয়ারে চট করে গাড়ি বার করতে আমার সুবিধে হবে। পকেট থেকে চাবি বার করে গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, তখনই পার্কিংয়ের গার্ড এসে বলল, “স্যর, স্লিপটা?”

“হ্যাঁ, এই যে...” বলে বাঁ দিকের পকেটে হাত ঢুকিয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম। গাড়ি এখানে রাখার সময় যে ছোট স্লিপটা দিয়েছিল, সেটা নেই। এখানেই তো রেখেছিলাম, গেল কোথায়! আমি ডান দিকের পকেটে হাত ঢোকালাম। সেখানেও নেই। বিরক্ত হয়ে এ বার আমি দু’দিকের পকেটে দু’হাত ঢুকিয়ে ভাল করে হাতড়ে দেখলাম, স্লিপটা সত্যি নেই।

“কী হল স্যর, পাচ্ছেন না?”

আমি পরে আছি একটা খাকি কটন ট্রাউজ়ার্স, দু’পাশে দুটো আর পেছনে দুটো, সব মিলিয়ে চারটে পকেট। ডান দিকের সাইড পকেটে গাড়ির চাবি ছিল, এইমাত্র বার করেছি। ডান দিকের ব্যাকপকেটে পার্স। বাঁ দিকের সাইড পকেটে রুমাল আর ব্যাকপকেটে সেলফোন। এ সবই ঠিকঠাক রয়েছে। দেখতে বাজে লাগে বলে শার্টের বুকপকেটে কখনওই কিছু রাখি না। তবু হাতড়ে দেখলাম। খুব দরকারি কাগজপত্র অনেক সময় ভাঁজ করে পার্সে রেখে দিই। পার্স খুলে দেখলাম ভাল করে। কোথাও পার্কিংয়ের ছোট্ট স্লিপটার কোনও চিহ্ন নেই। আশ্চর্য, ডানা মেলে উড়ে গেল স্লিপটা! আমি খুব কর্কশ ভাবে বললাম, “তুমি আমাকে দিয়েছিলে স্লিপটা, ঠিক মনে আছে?”

“হ্যাঁ স্যর, এই যে, এই দেখুন কাউন্টারফয়েল।”

এই মুহূর্তে একেবারেই ভাল লাগছে না এই সব সাক্ষ্যপ্রমাণ। এই লোকটা এই সময় এখানে না থাকলেও তো পারত। কত বার এয়ারপোর্টে, সিনেমাহলে, মলে গাড়ি রাখি, পেমেন্ট করে স্লিপ নিই, ফেরার সময় কেউ দেখে না। রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটি, কত বার কেউ দেখে না। আজ সে রকম হলে এত ক্ষণে গাড়ি নিয়ে মেন রোডে পৌঁছে যেতাম।

সুর পাল্টে আমি বললাম, “তুমিই যখন স্লিপটা দিয়েছিলে তখন তো জানোই, যে এই গাড়িটা আমার। ফালতু ঝামেলা করছ কেন?”

“স্লিপ ফেরত না নিয়ে গাড়ি ছাড়ার নিয়ম নেই স্যর। বুঝতেই পারছেন, আমি খুব ছোট কর্মচারী।”

আমি যে অধৈর্য হয়ে পড়ছি, সেটা বোধ হয় আমার মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। গার্ড বিনীত ভাবে বলল, “আপনি মনে করার চেষ্টা করুন, কোথায় গিয়েছিলেন, কোথায় রেখেছিলেন, কোথায় বসেছিলেন... ঠিক পেয়ে যাবেন।”

মনে করার মতো বিশেষ কিছুই নেই। এই তো একটু আগে আমি এইখানে গাড়ি রেখে হোটেলে গিয়েছিলাম। এলিট হোটেলে আমি এর আগে কখনও আসিনি। আজকের আসাটাও একেবারেই অকস্মাৎ।

বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ আমার অফিসে বসেই আমি প্রহরের ফোন পেয়েছিলাম, “কী রে, চিনতে পারছিস? না কি নাম বলতে হবে?”

“প্রহর তুই! হোয়াট আ প্লেজ়্যান্ট সারপ্রাইজ়! কোত্থেকে বলছিস?”

“মুম্বই, তোর শহর মুম্বই থেকেই। কাল এসেছি, আগামী কাল চলে যাব। যাকগে, এ সব কথা বলার অনেক সময় পাওয়া যাবে। আগে কাজের কথা। আজ রাতে আমরা এক সঙ্গে ডিনার করছি।”

“কিন্তু...”

“আমি জানতাম তুই ‘কিন্তু-টিন্তু’ বলে ঠিক পিছলে যাওয়ার চেষ্টা করবি। সেই জন্যেই আর এক জনকেও ডেকেছি, যার নাম শুনলে তুই আর টুঁ শব্দটি...”

“তা হলে সেই নামটাই শুনি।”

“উল্কা।”

“উল্কা! এক ওভারে তুই ক’টা বাউন্সার দিবি?”

আমার কথা শুনে ও দিক থেকে প্রহর খুব হাসছিল। ওকে থামিয়ে আমি প্রশ্ন করেছিলাম, “উল্কাকে কোথায় পেলি? ও তো শুনেছি নিউ জার্সিতে...”

“জানবি, সব জানবি, রাতে চলে আয়। এলিট হোটেল, রুম নম্বর এগারোশো আট, মনে থাকবে তো? ছাড়লাম।”

এত দিন পরে, প্রহর! কলেজে অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলাম, এক হস্টেলে পাশাপাশি রুমে থাকতাম। আমার ওর বলে আলাদা কিছু ছিল না। শুধু একটা ব্যাপার ছাড়া। সেই ব্যাপারটাই হল, উল্কা। উল্কাকে আমরা দু’জনেই ভালবাসতাম নিজের নিজের মতো করে। কিন্তু এ কথা জানলেও, কেউ কারও কাছে প্রকাশ করতাম না। কেন করতাম না? সম্ভবত তুরুপের তাস হাতে পেলে, মানে উল্কার সঙ্গে একটা ফাইনাল সেটলমেন্ট করে ফেলতে পারলে, অন্য জনকে বলে তাক লাগিয়ে দেব, এই রকম একটা প্ল্যানিং দু’জনেরই মাথায় ছিল। কিন্তু সময় যে কারও জন্যেই চুপচাপ বসে থাকে না, এই পুরনো কথাটা আমরা কেউই বুঝে উঠতে পারিনি।

তার পর যা হয়, চাকরিজীবন, উচ্চাশা, আরও আরও উপরে ওঠার আকাঙ্ক্ষা। উল্কা ফ্যাশন ডিজ়াইনিং-এর কোর্স করেছিল, ও জয়েন করল কলকাতার একটি ফার্মে। মার্কেটিং ম্যান প্রহর চলে গেল নয়ডায়। আমি রয়ে গেলাম মুম্বইয়ে, একটা বিজ্ঞাপন এজেন্সিতে। সময়ের ধুলো জমতে লাগল সম্পর্কের গায়ে। দেখাসাক্ষাতের তো প্রশ্নই নেই, ফোন-টোনও আর বিশেষ হত না। কানাঘুষোয় খবর পেয়েছিলাম, উল্কা নিউ জার্সি প্রবাসী একটি ছেলেকে বিয়ে করে সেখানেই চলে গেছে। আরও কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা সম্পর্কহীন, যোগাযোগহীন তিন জন মানুষে বদলে গেলাম।

গাড়িতে যাওয়ার সময় অন্যমনস্ক ভাবে এই সব ভাবতে ভাবতে ‘যোগাযোগহীন’ কথাটিতে এসে আমি প্রথম বার হোঁচট খেলাম। আমার দিক থেকে কথাটা ঠিকই। তবে দেখা যাচ্ছে প্রহর উল্কার সঙ্গে বেশ ভালই যোগাযোগ রেখেছে। উল্কা যে আজ মুম্বইয়ে আছে, সে কথা আমি না জানলেও, প্রহর জানত। আচ্ছা, ও আজ আমাদের দু’জনকে এক সঙ্গে ডিনারে ডাকল কেন! তবে কি প্রহর আজ সেই তুরুপের তাসটা খেলবে? কলেজপড়ুয়াসুলভ ঈর্ষা এসে বুকে হালকা কামড় দিয়ে গেল। দেখা যাক।

বারো তলা বিরাট হোটেল, পাশের দিকে পার্কিং। গাড়ি রেখে আমি পর্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, দেখি ও দিক থেকে, আগের মতোই সুন্দরী এবং অন্তত দশ কেজি বেশি ওজনের উল্কা আসছে। উচ্ছল ভাবে ‘হাই’ বলে ও আমার হাত চেপে ধরল। আমি বললাম, “কী রে, তুই চলে যাচ্ছিস?”

উল্কা বলল, “দূর, এলাম কোথায় যে চলে যাব!”

“মানে?”

“মানে, গাড়ি রেখে রিসেপশন অবধি গিয়েই মনে পড়ল সিডিটা গাড়িতেই ফেলে এসেছি। তাই নিতে ফিরে এলাম।”

“কিসের সিডি?”

“সে কী রে, প্রহর তোকে বলেনি? ইউজ়লেস ফেলো! দেখলেই বুঝতে পারবি। তুই চল, আমি আসছি...” বলতে বলতে উল্কা টুকটুকে লাল, হাল আমলের একটা ছোট্ট গাড়ির দিকে এগিয়ে গেল।

রিসেপশনের পাশে লিফ্‌ট। এগারো তলায় উঠে দেখি, কার্পেট পাতা জনহীন বারান্দার গায়ে সারি সারি ঘর। হালকা বিদেশি যন্ত্রসঙ্গীত বাজছে রেকর্ডে। আমি আট নম্বর স্যুটের সামনে দাঁড়িয়ে বেল বাজালাম। কিছু ক্ষণ কেটে গেল, কেউ সাড়া দিল না, দরজাও খুলল না কেউ। কিসে ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রহর! না কি বাথরুমে আছে! ভাবতে ভাবতে আমি আরও দু’বার বেল বাজিয়ে দিলাম। লাভ হল না। আমার ফোনে ওর নম্বরটা রয়েছে। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে একবার রিং করে দিলাম। রিং যাচ্ছে, কেউ তুলছে না। ছি ছি, প্রহরটা এত অভদ্র হয়ে গেছে, নেমন্তন্ন করে ডেকে পাঠিয়ে শেষ পর্যন্ত দরজা খুলছে না! অধৈর্য হয়ে দু’বার জোরে নক করতেই দরজা একটু ফাঁক হয়ে গেল। তার মানে, আদৌ ভেতর থেকে লক করা ছিল না, আশ্চর্য! ভিতরে ঢুকে আমি থমকে দাঁড়ালাম।

এটা বসার ঘর। ইংরিজি ‘এল’ অক্ষরের আকারে সোফা, কোণে একটা স্ট্যান্ডিং ল্যাম্প। হালকা আলো জ্বলছে। অন্য দিকে বড় একটা ইন্ডোর প্ল্যান্ট। সামনের দেওয়ালের মাঝখানে, সোফার সঙ্গে ম্যাচিং রঙের ভারী পর্দা ঝুলছে। ও পাশে নিশ্চয়ই বেডরুম। পোড়া পোড়া একটা কটু গন্ধ ভাসছে হাওয়ায়।

হোক ছোটবেলার বন্ধু, হোক এটা তার হোটেলের রুম, তবু তো বেডরুম। জানান না দিয়ে ভিতরে ঢুকতে আমার সঙ্কোচ হল। পর্দার কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে ডাকলাম, “প্রহর, অ্যাই প্রহর!”

কেউ সাড়া দিল না। এখানে গন্ধটা আরও তীব্র। আমি রুমাল বার করে নাকে চাপা দিলাম। ব্যাপারটা খুব একটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। পর্দা সরিয়ে ও পাশে গিয়েই আমি আঁতকে উঠলাম।

কম পাওয়ারের আলো জ্বলছে, ঘরের মাঝখানে সাদা চাদর পাতা বড় বিছানা। নানা জায়গায় চাদর কুঁচকে আছে ভীষণ ভাবে। তার উপরে উপুড় হয়ে পড়ে আছে প্রহর। ওর শরীরের নীচে, পাশে চাপ চাপ রক্ত। ওর একটা হাত ঝুলছে বিছানার পাশে। “প্রহর!” বলে ডেকে আমি ওর দিকেই যাচ্ছিলাম। ওকে ধরে নড়িয়ে দেখার আগেই, থামলাম। এ কী করছি আমি! এটা খুন অথবা আত্মহত্যা যে কোনওটাই হতে পারে। মানে অস্বাভাবিক মৃত্যু। তার উপর ঘটেছে একটা হোটেলে। মানে পুলিশ কেস অবধারিত। এমনকি যদি কোনও অসুস্থতার জন্যে মৃত্যু হয়ে থাকে, তা হলেও। এর সঙ্গে অযথা আমি নিজেকে জড়াচ্ছি কেন? আমাকে এই রুমে ঢুকতে বা রুমের ভিতর কেউ দেখেনি। আমি যদি চুপচাপ এখান থেকে চলে যাই, কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমি এখানে এসেছিলাম। উল্কা আমাকে দেখেছে ঠিকই, তবে নীচে। সে তো আমিও উল্কাকে দেখেছি, নীচে। আমরা দু’জনেই যদি এই দেখা হওয়ার কথা কাউকে না বলি, মিটে গেল। ভাবতে গিয়েই মনে হল উল্কাও তো এক্ষুনি ফিরে আসবে, সিডি নিয়ে। তার আগেই তা হলে আমার কেটে পড়া উচিত।

আমি পিছন ফিরলাম। যেমন ভাবে ঢুকেছিলাম, ঠিক সেই ভাবেই বেরিয়ে এলাম দরজা লক না করেই। লিফ্‌টের কাছে এসে দেখি, এই ফ্লোরে নেই, নীচ থেকে আসছে। উল্কা নিশ্চয়ই এই লিফ্‌টেই আসছে। তার মানে, লিফ্‌টের জন্য অপেক্ষা করলে উল্কার সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ দিক-ও দিক তাকিয়ে সিঁড়ি দেখতে পেয়ে আমি ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটলাম সে দিকে।

“কিছু মনে পড়ল, স্যর?”

গার্ডের প্রশ্ন শুনে আমি মাথা নাড়লাম। এত ক্ষণ যা কিছু হল, যা কিছু দেখলাম, করলাম, তার মধ্যে তো পার্কিং স্লিপটার কোনও ভূমিকাই নেই, ওটা আমি পকেট থেকে মিছিমিছি বার করতে যাব কেন! না কি পকেট থেকে অন্য কিছু বার করতে গিয়ে ওটা... আমি মনে করার চেষ্টা করলাম, কী বার করেছিলাম পকেট থেকে। ওঃ ভগবান! মনে পড়েছে, রুমাল বার করেছিলাম নাকে চাপা দেওয়ার জন্য। নিশ্চয়ই তখনই ওটা ওখানে পড়ে গেছে। ওখানে মানে, বসার ঘর থেকে শোবার ঘরে যাওয়ার মাঝখানে, পর্দার কাছে। পড়েছে তো পড়েছে! এমন কী-ই বা লেখা থাকে ওই স্লিপটায়? দূর ছাই, কখনও দেখিই না খেয়াল করে।

ছোঁ মেরে গার্ডের হাত থেকে স্লিপের বইটা নিয়ে পড়ে দেখলাম, ওতে গাড়ি পার্ক করার তারিখ ও সময়, গাড়ি নিয়ে যাওয়ার তারিখ ও সময়, আর সবচেয়ে ভয়াবহ কথা, গাড়ির পুরো রেজিস্ট্রেশন নম্বরটা লেখা থাকে। তার মানে কী! আমার কপালের শিরা দপদপ করতে লাগল। মানে খুব সোজা। আমি এখানে থাকি বা না থাকি, গাড়ি নিয়ে চলে যাই বা না যাই, চাইলে যে কেউ শুধু ওই স্লিপটার সাহায্যে রোড ট্রান্সপোর্টের অফিসে বসে ওদের কম্পিউটারে ডুব দিয়ে পনেরো-কুড়ি মিনিটের মধ্যে আমার নামধাম, ঠিকুজি-কুষ্ঠি সব বার করে ফেলতে পারে।

আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। মাথা উঁচু করে জোরে জোরে দু’বার নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করলাম আমি। চোখে পড়ল, উল্কার লাল টুকটুকে গাড়িটাও ওখানে নেই। এখন মনে হচ্ছে যেন, উল্কা সিডি আনতে যাওয়ার জন্য একটু বেশি তাড়াহুড়ো করছিল। হাসিটাও কেমন ফ্যাকাসে লাগছিল ওর।

“ডাক্তার ডাকা, পুলিশে খবর দেওয়া, এ সব তো পরের কথা। প্রথমেই যেটা মাথায় আসে, আমাকে একটু নাড়িয়ে দেখা, নিঃশ্বাস নিচ্ছি কি না, নাড়ি চলছে কি না! অবাক হয়ে দেখলাম, উল্কা বা তুই এ সবের ধারেকাছেও গেলি না। তোরা ধরেই নিলি, আমি মরে গেছি, আমাকে কেউ খুন করেছে! ভয়ে হাত পা জমে গেল! কিসের এত ভয় রে? উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার ভয়, অযথা পুলিশ কেসে ফেঁসে যাবার ভয়, বদনামের ভয়? অথচ এই আমরাই এক দিন, একে অন্যের জন্য কী না করেছি, মনে পড়ে?... বাথরুমে কয়েকটা পলিথিন ব্যাগ জ্বালিয়ে কটু গন্ধের আবহ তৈরি করতে আর সাদা চাদরে টমেটো কেচাপ লাগিয়ে তার উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে, কতটা বুদ্ধি লাগে?”

সে দিন গাড়ির স্লিপটা না পেলেও, অন্য কাগজ গার্ডটির হাতে গুঁজে দিয়ে রেহাই পেয়েছিলাম। একের পর দুটো শূন্য লেখা গান্ধীজির ছবিওয়ালা কাগজ। তার তিন দিন পর প্রহরের মেসেজটা পেয়ে বুঝলাম, তুরুপের তাস ও সত্যিই খেলেছে। শুধু আমার উপরেই নয়, উল্কার উপরেও।

অন্য বিষয়গুলি:

Short story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy