Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৮

নুড়ি পাথরের দিনগুলি

সৌহার্দ্য বাবাকে ভয় পেত। একেবারে পছন্দ করত না। যতটা সম্ভব এড়িয়ে থাকা যায় তার চেষ্টা করত। মানুষটা ছিল রগচটা। যুক্তি শুনতে চাইত না। দুমদাম খেপে যেত। নিজে যা ঠিক মনে করত, হাজার ভুল হলেও সেখান থেকে নড়ত না। ধ্যানধারণাও পুরনো দিনের।

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

প্রচেত গুপ্ত
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: কমলেশ রায় সৌহার্দ্যকে ডেকে পাঠিয়ে কিছু ক্ষণ কথা বললেন। সে চলে যাওয়ার পর ত্রিপাঠীকে ফোন করে বললেন, এখন থেকে কর্মীদের ফাইলে মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করতে। সৌহার্দ্য বাড়িতে তাঁর মা শ্রীকণা়কে বলল, সে বাবার ইচ্ছেমাফিক উচ্চশিক্ষা ছেড়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে, এখন জীবনকে উপভোগ করতে চায়।

শ্রীকণা চুপ করে রইলেন। এটা অভিমানের কথা। এটা সত্যি যে ওর বাবা-ই জোর করে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছেন। সৌহার্দ্য যখন গঁাইগুই করেছিল, রেগে গিয়েছিলেন। ‘‘শুধু পণ্ডিত হলে ভাত জুটবে? জেনারেল স্ট্রিমে পড়াশুনো করে কী করবি? আমার মতো স্কুলমাস্টার হবি?’’

সৌহার্দ্য বাবাকে ভয় পেত। একেবারে পছন্দ করত না। যতটা সম্ভব এড়িয়ে থাকা যায় তার চেষ্টা করত। মানুষটা ছিল রগচটা। যুক্তি শুনতে চাইত না। দুমদাম খেপে যেত। নিজে যা ঠিক মনে করত, হাজার ভুল হলেও সেখান থেকে নড়ত না। ধ্যানধারণাও পুরনো দিনের। পরিবারে তার কথাই ছিল শেষ কথা। শ্রীকণা ঠিক তার উলটো। শান্ত, স্নিগ্ধ। বাবার উচ্চকিত ব্যক্তিত্বের কাছে চুপ করে থাকা এক জন মানুষ। সৌহার্দ্য ছোটবেলা থেকেই দেখছে, বাবার ধমক-ধামকের সামনে এই মহিলা সব সময়েই গুটিয়ে থাকে। যেন বিরাট কোনও অপরাধ করেছে। মাকে আড়ালে বহু বার কঁাদতেও দেখেছে সৌহার্দ্য। মায়ের ওপর রাগ হত। সেই রাগ থেকেই তৈরি হত টান। বাবার কাছ থেকে যত সরে এসেছে সে, তত কাছে এসেছে মায়ের।

বাবার কথায় সৌহার্দ্য সে দিন নিচু গলায় বলেছিল, ‘‘আমি ফিজিক্স পড়ব। আমি অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চাই।’

‘‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্স!‌ ‌এই সব পাকামি তোমার মাথায় কে ঢোকাল? গবেষণা মানে তো বুড়ো বয়স পর্যন্ত বেকার।’’

সৌহার্দ্য বলল, ‘‘বেকার কেন হবে? স্কলারশিপ জোগাড় করব। বিদেশে যাব।’’

‘‘এখন ও সব ভাবতে হবে না! আগে মন দিয়ে জয়েন্ট এন্ট্রান্স দাও। তার পর দেখা যাবে।’’

সৌহার্দ্য তার মা’কে ধরেছিল। শ্রীকণা স্বামীকে বলেছিলেন। একেবারেই সুবিধে হয়নি।

‘‘যা বোঝো না, তার মধ্যে ঢুকো না। এটা ছেলের সঙ্গে আদিখ্যেতার ব্যাপার নয়। এটা ওর কেরিয়ারের বিষয়। ও যা ভাবছে, তত দূর পর্যন্ত যেতে না পারলে জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে। একমুখ দাড়ি আর কঁাধে ব্যাগ নিয়ে ফ্যা-ফ্যা করে প্রাইভেট টিউশন করতে হবে। আমি যা ঠিক করেছি সেটাই হবে। ওকে এমন বিষয় নিয়ে পড়তে হবে যাতে চাকরি পেতে অসুবিধে না হয়। সংসারে যেন দু’টো পয়সা দিতে পারে। এই যে বাড়ি-জমির জন্য গাদাখানেক লোন করে ফেলেছি, তা তো ওকেই টানতে হবে। এই নিয়ে আর বিরক্ত কোরো না। আমি আমার ছেলেকে চিনি, তার দৌড় জানি।’’

শ্রীকণা বলেছিলেন, ‘‘আমিও চিনি। সোহো খুব ভাল ছেলে।’’

‘‘চুপ করো। তুমি কেমন মানুষ চেনো, নিজের জীবন দিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাওনি?’’

শ্রীকণা থমকে গিয়ে নিচু গলায় বলেছিলেন, ‘‘বারবার তুমি এই প্রসঙ্গ তোলো কেন? সে তো অনেক বছর আগে চুকেবুকে গেছে।’’

‘‘আমি তুলি না, তুমি তুলতে বাধ্য করাও। তোমাকে মনে করিয়ে দিই। এখন যাও, আর ভ্যানভ্যান কোরো না।’’

শ্রীকণা চোখ মুছতে মুছতে সরে গিয়েছিলেন। কোনও কিছু নিয়ে একটু আপত্তি করলেই জীবনের সবচেয়ে দুর্বল সময়টার কথা তোলে তাঁর স্বামী। অথচ ফুলশয্যার রাতে অন্য কথা বলেছিল।

‘‘তোমরা গোপন করেছ, কিন্তু আমি কিছু খবর পেয়েছি শ্রীকণা। কী খবরের কথা বলছি, তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো। অন্য কেউ হলে এই বিয়ের আগে দু’বার ভাবত। আমি ভাবিনি। কারণ আমি এক জন লেখাপড়া জানা শিক্ষিত মানু্ষ। শিক্ষিত মানুষ অতীতকে অঁাকড়ে থাকে না। সামনেটা দেখে। আমি সব ভুলে তোমার সঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করব, তুমিও ভুলে যাবে।’’

শ্রীকণা সে দিন মুগ্ধ হয়েছিলেন। এমন এক জন মানুষকে জীবনে পেয়েছেন বলে নিশ্চিন্ত বোধ করেছিলেন। কিছু দিন যেতে সব উলটে গেল। এই লোকই বারবার পুরনো কথা মনে করিয়ে দেয়। একটু মাথা তুলতে গেলেই যেন আঘাত করে। শ্রীকণা বুঝতে পেরেছিলেন, তার স্বামী আসলে এক জন নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। শ্রীকণার অতীতের সম্পর্কের কথা জানার পরেও ভেবেচিন্তে তাকে বিয়ে করেছে। বুঝতে পেরেছিল, এই নরম প্রকৃতির মেয়েকে সে এই দুর্বলতা দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে। শ্রীকণা এই মানুষটাকে যতটা না ভয় পেয়েছেন, তার থেকে বেশি ঘৃণা করেছেন। চেষ্টা করেছেন, ছেলে যাতে এ সব বুঝতে না পারে। তার পরেও ছেলে অনুভব করেছে।

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সৌহার্দ্য ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে এবং ঘোষণা করেছে, ‌কেরিয়ারের শেষ পর্যন্ত দেখে সে ছাড়বে।‌

কথা বলতে বলতে ছেলের ঘর গোছাচ্ছেন শ্রীকণা। এত বয়স হয়ে গেল, তার পরেও সৌহার্দ্যর ঘর অগোছালো করে রাখবার অভ্যেস যায়নি। এখনও যেন হস্টেলে থাকে। যেখানে সেখানে বাসি জামাকাপড় ফেলে রাখে। বই, কাগজপত্র, ল্যাপটপ বিছানার ওপর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। বিছানার চাদর এলোমেলো, বেড কভার মাটিতে। ওয়াড্রোবের অবস্থা তথৈবচ। বেরনোর সময় জামাকাপড় খঁুঁজে পায় না। অথচ কাজের মাসিকেও কিছুতে হাত দিতে দেবে না। শ্রীকণাকেই সমস্ত কিছু করতে হয়।

শ্রীকণা বললেন, ‘‘তোর জীবন তো পুরোটাই বাকি আছে। সঞ্চয় তো লাগবে।’’

‌সৌহার্দ্য ওয়াড্রোব খুলে শার্ট পছন্দ করতে লাগল। হ্যাঙ্গারসুদ্ধই গায়ের ওপর ধরছে, আবার তুলে রাখছে। শেষ পর্যন্ত একটা নেভি ব্লু টি-‌শার্ট বেছে ফেলল। বলল, ‘‘সে আমি বুঝে নেব। মা, তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো, তোমার ছেলের জব পেতে কখনও অসুবিধে হবে না। একটার পর একটা কাজ পেয়েও যাচ্ছি। অলওয়েজ জাম্পিং। নেক্সট জাম্প মারব কলকাতার বাইরে। নতুন প্রজেক্ট ইনিশিয়েট করার একটা এক্সপিরিয়েন্স দরকার ছিল। সেই কারণেই এখানে জয়েন করেছি। এই ফ্ল্যাট বেচে কলকাতা থেকে একেবারে ফুস হয়ে যাব।’

শ্রীকণা বাসি জামাকাপড় আলাদা করতে করতে বললেন, ‘‘আমি আর কোথাও যাব না।’’

‌সৌহার্দ্য পিছন থেকে মাকে জড়িয়ে ধরল। ‘‘তোমাকে ছাড়া আমি কোথাও যাব না। দেশের মধ্যে তো ছেড়েই দাও, যখন দেশের বাইরে যাব, তখনও তোমাকে ব্যাগে ভরে নেব।’’

শ্রীকণা ছেলের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেন। মায়ের ব্যাপারে এই ছেলের এক ধরনের অবসেশন আছে। ছোটবেলাতেও এই ছেলে মায়ের সঙ্গে লেগে লেগে থাকত। বড় হয়েও থাকে। যা বলবার সব মা’কে। এক সময় রাগ, অভিমান এমনকী প্রেমের কথাও বলেছে। এখন কেরিয়ার, পার্টি, ক্লাব, বান্ধবীর কথা বলে। এ সবের আর কতটুকুই বা মা’কে বলা যায়? তাও যতটুকু বলা যায়, বলে। ছোটবেলার অভ্যেস যায়নি। তবে রাত করে ফিরলে জেগে বসে থাকা চলবে না। নিজের কাছে চাবি রেখেছে সৌহার্দ্য। নিঃশব্দে দরজা খুলে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। শ্রীকণার চিন্তা হয়। এই ছেলে ঘর-সংসার করবে না? ‌সৌহার্দ্যকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেয়।

‘‘খেপেছ? বিয়ে করে মরব না কি?’’

‘‘কেন? মরবি কেন? কেউ বিয়ে করে না?’’

সৌহার্দ্য বলে, ‘‘যে করে তাকে করতে দাও, বিয়ের কনসেপ্ট উঠে গেছে মাই ডার্লিং মাদার। এই তো মা–বেটায় দারুণ আছি‌। আমি ফ্রি। যেচে কেন বাঁশ নিতে যাব?’’

বাবার মৃত্যুর পর খুব সংক্ষেপে পারলৌকিক কাজকর্ম সেরে সৌহার্দ্য বলেছিল, ‘‘ছায়াপাতার পাততাড়ি সব গুছিয়ে নাও। বাড়ি-জমি সব বেচে দেব। কথাও হয়ে গেছে। পাশ দিয়েই হাইওয়ের কানেক্টিং রোড হবে। জমির দাম হুট করে অনেকটা বেড়ে গেছে, এর পর হয়তো আবার পড়ে যাবে। সব বেচে আমরা কলকাতায় সেটল করব। লোন-টোন মিটিয়েও হাতে ভাল টাকা থাকবে।’’

শ্রীকণা আপত্তি করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘ভিটেমাটি ছেড়ে এখান থেকে চলে যাব সোহো?’’

সৌহার্দ্য তেড়েফুঁড়ে বলেছিল, ‘‘অবশ্যই যাবে। ছায়াপাতা গ্রাম তোমার কীসের ভিটেমাটি? কলকাতায় জন্মেছ, কলকাতায় বড় হয়েছ। বিয়ে করে গ্রামে এসেছিলে। তাও বাবার এখানে চাকরি ছিল বলে। অন্য কোথাও হলে সেখানে যেতে। এই জায়গায় কিসের টান তোমার?’’

শ্রীকণা বলেছিলেন, ‘‘বাহ্‌, তোর বাবা এখানে বাড়ি করেছে। যতই ছোট হোক, বাড়ি তো। লাগোয়া একটু জমিও আছে। সেটা ভিটেমাটি নয়!‌’’

সৌহার্দ্য বলল, ‘‘বাবা জীবনটা এখানে কাটিয়ে যাবে বলে ঠিক করেছিল, কাটিয়েও গেল। কিন্তু আমি তো তা ঠিক করিনি মা। পাড়াগঁায়ে পড়ে থাকলে আমার চলবে না। বাবার মতো স্কুলমাস্টার হওয়া আমার জীবনের টার্গেট নয়। বাবা-ই তো আমাকে বলেছিল। অনেক হয়েছে, আমি আর টেনেটুনে-চলা সংসার দেখতে চাই না। বাবা বেঁচে থাকতে এ সব কথা তো বলতে পারিনি, তাই এখন বলছি।’’

শ্রীকণা বুঝেছিলেন, বাবার ওপর রাগ সৌহার্দ্যর কোনও দিনই কমবে না।‌ তিনি বলেছিলেন, ‘‘তুই তো পাড়াগঁায়ে পড়ে নেই। কলকাতায় হোস্টেলে থেকে কলেজে পড়ছিস।’’

সৌহার্দ্য বলল, ‘‘এখন তার খরচ কোথা থেকে পাব? তা ছাড়া‌ আমি তোমাকেও একা থাকতে দেব না। চলো, সব গুছিয়ে নাও। আমরা ওখানে ফ্ল্যাট কিনব। আমি সব হিসেব করে নিয়েছি।’’

শ্রীকণা বুঝেছিলেন, আর আপত্তি করে লাভ নেই। আর সত্যিই তো, পাড়াগঁায়ে একা পড়ে থেকে কী করবেন? ছেলে ছাড়া ছায়াপাতার জীবনের প্রতি তার কোনও মমতাও নেই। স্বামীর স্মৃতি এমন কিছু সুখপ্রদ নয় যে আঁকড়ে পড়ে থাকলে সে খুব সুখের হবে।

সৌহার্দ্য ফসফস করে গায়ে খানিকটা ডিয়োডোরেন্ট স্প্রে করে বলল, ‘‘মা, ফিরতে দেরি হবে। কৃতির বার্থডে পার্টি আছে।’’

শ্রীকণা ভুরু কুঁচকে বললেন, ‘‘কৃতি!‌ সে আবার কে?’’

সৌহার্দ্য চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বলল, ‘‘আমার এক্স কলিগ। শি ইজ বিউটিফুল। কত ছেলে যে লাইন মেরেছিল! ফাইনালি শি ম্যারেড আ বিজনেস গাই। লোকটা বোকাসোকা, কিন্তু ভাল।’’

শ্রীকণা চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘‘ছি, কী ভাষা!‌ মায়ের সঙ্গে কেউ এ ভাবে কথা বলে? আমি কি তোর ওই ‘ইয়ার’, না কি?’’

ধমক দিলেও শ্রীকণা ভাল ভাবেই জানেন, তার গুণধর পুত্রটি মায়ের সঙ্গে কোনও কোনও সময়ে এতটাই সহজ। এর থেকেও বেশি স্ল্যাং ব্যবহার করে বসে। মা’কে সে গুরুজনের থেকে অনেক বেশি ‘বন্ধু’ বলে মনে করে।

আর শুধু কি ছেলেই মনে করে? তিনি মনে‌ করেন না? অবশ্যই করেন। আর করেন বলেই জীবনের গভীর, গোপন কষ্টের কথাটিও তিনি তার কাছে বলে ফেলেছিলেন। রাগে-‌দুঃখে সে দিন এতটাই ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলেন যে নিজেকে সামলাতে পারেননি।

সোহোর বাবা অতি তুচ্ছ কোনও বিষয় নিয়ে রাগারাগি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিন দিন বাড়ি ফেরেনি। কলকাতায় গিয়ে বসে ছিল। সৌহার্দ্যর সামনে তখন ফার্স্ট সিমেস্টার পরীক্ষা। নির্বিঘ্নে পড়বে বলে বাড়িতে এসেছিল। কোথায় কী! গোটা বাড়িতে এলোমেলো অবস্থা। শ্রীকণার প্রবল জ্বর। সৌহার্দ্য এত বিরক্ত হয়েছিল যে মা’কে জিগ্যেস করছিল, ‘‘এ রকম একটা মানুষকে তুমি কী করে বিয়ে করেছিলে মা? হি ইজ আ ব্রুট‌!’’

শ্রীকণা নিজেকে সামলাতে পারেননি। থমথমে মুখে অস্ফুটে বলেছিলেন, ‘‘যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সে তো কিছু না বলে পালিয়ে গেল।’’

সৌহার্দ্য থমকে গিয়েছিল। মায়ের মুখ থেকে এ রকম জবাব পাবে, সে ভাবতে পারেনি। মা নিশ্চয়ই তাকে শোনাতে চায়নি। নিজের মনেই আক্ষেপ করতে চেয়েছিল।

সে দিন কথাটা না শোনার ভান করেছিল সৌহার্দ্য। মা যেন কোনও রকম অস্বস্তিতে না পড়ে। পরে বাবার মৃত্যুর পর চেপে ধরেছিল। তত দিনে আরও খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে সে। মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ হয়েছে আরও। শ্রীকণা ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবে বলেছিলেন। নামও বলেছিলেন।

ক্রমশ

অন্য বিষয়গুলি:

Novel Series
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy