Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব ২৬

শেষ নাহি যে

“বকুলফুল তো তোমাকে ইশকুল থেকে জানে এবং চেনে। আর কত জানবে, হে প্রাণনাথ,” বুকে হাত দিয়ে ঘনঘন শ্বাস ফেলছে মণিদীপা। চোখ ফড়ফড় করে দরিয়ার দিকে তাকিয়ে বলছে, “বল না বকুলফুল। আমরা একন কিচুতেই যাবুনি কো।” 

ছবি: শুভম দে সরকার

ছবি: শুভম দে সরকার

ইন্দ্রনীল সান্যাল
শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: বিহান ভাবতেই পারেনি, সাহায্যের নামে মন্টু তাদের চরম বিপদে ফেলবে। সনৎ আগাম পরিকল্পনা করে তার দলবল নিয়ে এসে ঘিরে ধরে বিহানদের। বিভিন্ন কথায় অপদস্থ করে বিহানকে। তার পর শুরু হয় প্রহার।

ফুলশয্যে? সেটা কী লো বকুলফুল? আমায় বল। শুনে প্রাণটা জুড়োক!” নির্বোধের ভূমিকায় অভিনয় করে ফাটিয়ে দিচ্ছে মণিদীপা।

“স্বামী আর স্ত্রী একে অপরকে জানে, চেনে...” বলেছিল বিহান।

“বকুলফুল তো তোমাকে ইশকুল থেকে জানে এবং চেনে। আর কত জানবে, হে প্রাণনাথ,” বুকে হাত দিয়ে ঘনঘন শ্বাস ফেলছে মণিদীপা। চোখ ফড়ফড় করে দরিয়ার দিকে তাকিয়ে বলছে, “বল না বকুলফুল। আমরা একন কিচুতেই যাবুনি কো।”

বিহান আর দরিয়াকে বাঁচিয়ে দিলেন সাম্যব্রত। ঘরে ঢুকে গলা খাঁকরে বললেন, “রাত বারোটা বাজে। তোমাদের বাড়ি ফিরতে দেরি হলে সেটা গৃহকর্তা হিসেবে আমার অসম্মান। তোমরা এ বার এসো।”

সাম্যব্রতর কথা শুনে মণিদীপা অবাক হয়ে বলল, “ওব্বাবা! এত দেরি হয়ে গেছে? বুঝতেই পারিনি। স্যরি স্যরি। আমরা যাচ্ছি।” তার পর দরিয়াকে পটাং করে চোখ মেরে দলবল নিয়ে কেটে পড়ল। সদর দরজা পর্যন্ত গিয়ে তাদের বিদায় জানিয়ে দরজা বন্ধ করে বিহান দেখল, সাম্যব্রত আর সীমা নিজেদের ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েছেন। দরিয়াও ঢুকে গিয়েছে শোওয়ার ঘরে। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বিহান দেখল, দরিয়া জানলার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চোখে জল।

সারা দিন খাটাখাটনি গিয়েছে। পেটে প্রায় কিছু পড়েনি। বিহান খুব টায়ার্ড। প্ল্যান আছে এক ঘুমে রাত কাবার করার। দরিয়া কী ভাবল তাতে বয়েই গেল। কিন্তু এখন দরিয়ার চোখে জল দেখে তার পাশে দাঁড়িয়ে বলল, “কী ব্যাপার? চোখে গ্লিসারিন কেন?”

বিহানের বুকে মাথা রেখে দরিয়া বলল, “যাওয়ার আগে মণিদীপা বলে গেল, সনৎ ওকে ফোন করে বলেছে, ‘দরিয়া যদি আমাকে বিয়ে করত, তা হলে একই দিনে বিয়ে আর বউভাত হত না। বাসর আর ফুলশয্যা একই দিনে হত না। বাপের বাড়িতে ফুলশয্যা করতে হত না।’ সনৎ নাকি হেস্টিংসে সাউথ ফেসিং ফ্ল্যাট কিনেছে। চার তলায়। ব্যালকনিতে দাঁড়ালে হাওড়া ব্রিজ আর দ্বিতীয় হুগলি সেতু দেখতে পাওয়া যায়।”

বিহান বলল, “এই জন্যে এত কান্না? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমাকে ভাড়াবাড়িতে নিয়ে যাব। প্রমিস।”

চোখের জল মুছে ফিকফিক করে হাসছে দরিয়া। বলছে, “অ্যাই! হাম তুমকো ভালবাসতা হ্যায়। তুম হামকো বাসতা হ্যায়?”

দশ বারো জনের একটা দল একটানা মুখে ঘুসি আর পেটে লাথি মেরে যাচ্ছে! মাথার চুল ধরে টেনে তুলে থাপ্পড় কষাচ্ছে! খিস্তি করছে। চোখের সামনে কালো রঙের পর্দা নেমে আসছে। মাথা হালকা হয়ে আসছে। শরীরে আর কোনও ব্যথা-বেদনা নেই। কয়েকটা লাল-নীল বল চোখের সামনে ঘুরছে। বিহান জানে, ঈশ্বর এখন জাগলিং করছেন। জন্ম আর মৃত্যু, সুখ আর দুঃখ, ভাল আর মন্দ, সাদা আর কালো, আনন্দ আর বেদনা, পাওয়া আর না-পাওয়ার জাগলিং। কোথা থেকে এলাম আর কোথায় চলেছি— এর জাগলিং। একটু বাদেই তিনি টুপি খুলে অভিবাদন গ্রহণ করে বিদায় নেবেন।

কালো পর্দা নেমে আসার আগের মুহূর্তে বিহান বলল, “বাসতা হ্যায়! বহুত ভাল বাসতা হ্যায়...”

সুদামের চিৎকার শুনে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমেছে জলপাই সবুজ পোশাক পরা এক দল সৈনিক। হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। দৌড়ে আসছে ক্যামেরা কাঁধে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক। সনৎ আর তার স্যাঙাতরা মিলিটারিদের আসতে দেখে ফ্লাইওভারের পাশে পার্ক করে রাখা বাইকে চেপে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে নিমেষের মধ্যে। রাস্তায় পড়ে আছে অজ্ঞান বিহান। পড়ে আছে পতাকা আর রক্ত।

সুদামের কাঁধে বিহানের ব্যাকপ্যাক। সে শুনতে পেল বিহানের মোবাইলে রিং হচ্ছে। ব্যাকপ্যাকের সাইড-পকেট থেকে মোবাইল বার করে কানে দিতেই সুদাম শুনতে পেল, ও প্রান্ত থেকে পুরুষকণ্ঠ খুশিয়াল গলায় বলছেন, “বিহান, সব ভাল যার শেষ ভাল। অপারেশন হয়ে গেছে। দরিয়ার জ্ঞান ফিরেছে। ও তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে।”

সুদাম চুপ। অন্য প্রান্ত থেকে এ বার দরিয়া কথা বলছে। “বিহান, আমাদের মেয়ে হয়েছে। আমি ভাল আছি। তুমি আসছ না কেন?”

সুদাম চুপ। এ বার ফোনে সাম্যব্রত। “তুমি কথা বলছ না কেন? তুমি কোথায়?”

সুদাম চোখের জল মুছে বলল, “আমি সুদাম। আপনার জামাইয়ের সঙ্গে হাসপাতালে আসছিলাম। পিটিএসের সামনে সনৎ আর তার চেলারা বিহানকে ধরে খুব মেরেছে। ও আর নড়ছে না।”

“কী বললেন?” চিৎকার করছেন সাম্যব্রত, “ওকে ফোনটা দিন। প্লিজ় বিহানকে ফোনটা দিন।”

সুদাম ফোন কেটে দিল। কেন না এক জন সৈনিক এসে বিহানের পাল্‌সে হাত রেখেছে। কিছু ক্ষণ বাদে সে বলল, “ইয়ে বান্দা জিয়েগা নহি।”

১৫

বেঙ্গল মেডিকাল কলেজের মেটারনিটি ওয়ার্ডটা একদম বঙ্গবাসী হাসপাতালের মতো। বেডগুলো ঘেঁষাঘেঁষি করে রাখা। প্রতি বিছানায় দু’জন করে মা এবং তাদের সদ্যোজাত শিশু শুয়ে রয়েছে। এত রোগী থাকা সত্ত্বেও ওয়ার্ড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। জীবাণুনাশক তরলের নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। যেটা নাকে এলে ভয় করে। এই গন্ধটা সেই রকম নয়। এটা ফুলেল গন্ধ। নাকে এলে স্বস্তি হয়। মনে হয় সবাই ভাল আছে।

দরিয়া চিত হয়ে শুয়ে আছে। পাশে শুয়ে একরত্তি একটা মেয়ে। একটুখানি! ফুটফুটে! গা থেকে টক-টক গন্ধ আসছে। দুধ কেটে ছানা হয়ে গেলে এই রকম গন্ধ আসে। ওই জন্যেই কি বাচ্চাদের ‘ছানা’ বলা হয়? ‘পান্তভূতের জ্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছ্‌নাতে!’

হেসে ফেলল দরিয়া। দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে দেখল, একটা ডিজিটাল ঘড়ি ঝুলছে। সেটা বলছে, আজ ২৯ ডিসেম্বর। এখন সন্ধে ছ’টা। গতকাল তার অপারেশন হয়েছে। গত চব্বিশ ঘণ্টা সে ওষুধের ঘোরে কাটিয়েছে। কখনও জেগেছে, কখনও ঘুমিয়েছে, বাকি সময়টা ঘুম আর জাগরণের মাঝখানের ধূসর দুনিয়ায় ভেসে বেড়িয়েছে।

পেটে সেলাইয়ের জায়গাটা টাটাচ্ছে। একটু একটু করে কিছু কথা মনে পড়ছে দরিয়ার। কথা আর ছবির কোলাজ মাথায় তৈরি হচ্ছে আর মিলিয়ে যাচ্ছে। যে ভাবে সাবানগোলা জল থেকে ক্রমাগত জন্ম নেয় বুদ্বুদ আর ক্রমাগত ফেটে যায়...

সীমা দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিছানার পাশে। সেটা আজ না কাল? সকাল না সন্ধে? মনে নেই দরিয়ার। নাকে আঁচল জড়িয়ে শিশুকন্যাটিকে কোলে নিয়ে বলছেন, “তুই একে সামলাতে পারবি না। এর দেখভাল আমি করব।”

পাশে দাঁড়ানো সাম্যব্রত বলছেন, “তুমি নিজেকে সামলাতে পারো না, তুমি সামলাবে বাচ্চা?”

“বাজে বোকো না!” স্বামীকে মুখঝামটা দিয়ে নাতনির মস্তক চুম্বন করলেন সীমা। “খুকি এল বলে আমার সব রোগ ভাল হয়ে গেছে। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, টনিক, ইঞ্জেকশন, আই ড্রপ, ইয়ার ড্রপ— কিচ্ছু চাই না। আমি শুধু নাতনিকে চাই। আচ্ছা, এর কী নাম রাখা যায় বলো তো?”

মেয়ের নাম কী হওয়া উচিত, এই নিয়ে সীমা লম্বা ভাষণ দিচ্ছেন। শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল দরিয়া...

সাম্যব্রত আর অচেনা এক ভদ্রলোক বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। লোকটার পরনে সাদা পায়জামা আর গেরুয়া পাঞ্জাবি। গলায় উড়নি। মাথার লম্বা চুল। এক পায়ে ঘুঙুর। কাঁধে রঙিন কাপড়ের ঝোলা। লোকটা দরিয়ার মেয়ের দিকে তাকিয়ে গুনগুন করে গান গাইছে, “ফুল বলে ধন্য আমি মাটির পরে।” গান থামিয়ে বলল, “ওর নাম রাখো ফুল!”

সাম্যব্রতর দিকে তাকিয়ে দরিয়া বলল, “বাবা, বিহান কোথায়?”

সাম্যব্রত দরিয়ার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না। আবার ঘুমিয়ে পড়ল দরিয়া...

দরিয়ার চটকা ভাঙল। ওয়ার্ড জুড়ে সবাই সন্ত্রস্ত। সিস্টাররা উঠে দাঁড়িয়েছে। আয়ারা বসে আড্ডা মারা বন্ধ করে নির্ধারিত বিছানার পাশে দাঁড়িয়েছে। বিভাগীয় প্রধান রোগী দেখতে এসেছেন। মাঝারি উচ্চতার মানুষটির বয়স পঞ্চাশের আশেপাশে। মাথা কামানো, ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। পরনে দামি সুট। ওঁর সঙ্গে রয়েছে দু’জন জুনিয়র ডাক্তার আর সিস্টার।

পরপর মায়েদের পরীক্ষা করছেন ডাক্তারবাবু। নিচু স্বরে জুনিয়রদের পরামর্শ দিচ্ছেন মাঝে মাঝে। তারা সেই পরামর্শ টিকিটে লিখে সিস্টারের হাতে তুলে দিচ্ছে টিকিট। বিছানার চাদর নোংরা থাকলে বা বেডের পাশে ময়লা পড়ে থাকলে নিচু গলায় আয়াদের বকাবকি করছেন ডাক্তারবাবু।

দরিয়ার পাশে যখন এলেন, তখন দরিয়া মেয়েকে দুধ খাওয়াচ্ছে। ডাক্তারবাবু সিস্টারকে বললেন, “পায়ের উন্ডটা দেখি।”

দরিয়ার পরনের ম্যাক্সি সামান্য সরিয়ে সিস্টার পায়ের কাটা জায়গাটা ডাক্তারবাবুকে দেখাল। ডাক্তারবাবু প্রথম জুনিয়র ডাক্তারকে বললেন, “স্প্লিন্টার ঢুকে গিয়েছিল। স্টিচ হয়েছে বঙ্গবাসী হাসপাতালে। গতকাল আমরা আবার ড্রেসিং করে দিয়েছিলাম। আজও যেন ড্রেসিং হয়।”

“আচ্ছা স্যর,” টিকিটে নোট নিল প্রথম জুনিয়র ডাক্তার।

ডাক্তারবাবু আবার বললেন, ‘‘পেশেন্টের রিকভারি কুইক হচ্ছে। আশা করছি পাঁচ দিনের মাথায় ছুটি দিয়ে দিতে পারব।”

“আচ্ছা স্যর,” নিদানপত্র লিখে নিয়ে বলল প্রথম জুনিয়র ডাক্তার।

ডাক্তারবাবু দ্বিতীয় জুনিয়র ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলেন, “বেবির কী খবর?”

দ্বিতীয় জুনিয়র ডাক্তার বলল, “হেলদি বেবি। কোনও প্রবলেম নেই।”

ডাক্তারবাবু এত ক্ষণ পরে দরিয়ার দিকে তাকালেন, “কাল কী খেলা দেখালি! বাপ রে বাপ!”

দরিয়া ফিক করে হেসে বলল, “খেলা আমি দেখালাম? না আপনারা দেখালেন? লিলুয়ার নার্সিং হোম থেকে হাওড়ার বঙ্গবাসী হাসপাতাল, সেখান থেকে বেঙ্গল মেডিকাল কলেজ। আমি কি নিজের ইচ্ছেয় এসেছি? কলকাতা জুড়ে গন্ডগোল কি আমি বাঁধিয়েছি? এ তো সেই ছড়াটার মতো হয়ে গেল। ‘তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো। তোমরা যে সব ধেড়ে খোকা...’” ডাক্তারবাবুর গম্ভীর মুখ দেখে চুপ করে গেল দরিয়া।

ডাক্তারবাবুর চোখের ইশারায় আয়া দরিয়ার পেটের ব্যান্ডেজ খুলে দিয়েছে। সিজ়ারিয়ান সেকশনের সেলাই দেখে ডাক্তারবাবু খুশি। তিনি প্রথম জুনিয়রকে বললেন, “আজ আবার ড্রেসিং করে দাও।’’ তার পর দরিয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ও হে লেডি অন্নদাশংকর রায়! কলকাতা শহর আজ একদম শান্ত। গোটা বাংলাই শান্ত। তোর কপাল খারাপ যে এই রকম অশান্ত দিনে লেবার পেন শুরু হয়েছিল। যাক গে! ও সব বাদ দে। মেয়ের নাম কী রাখবি? কিছু ঠিক করা আছে?”

“আমার তো খুব ইচ্ছে, ওর নাম রাখব ফুল। দেখি, ওর বাবা কী বলে,” বলতে বলতে থমকায় দরিয়া। জিজ্ঞেস করে, “ডাক্তারবাবু, ফুলের বাবা কোথায়?”

উত্তর না দিয়ে পাশের বেডে চলে গেছেন বিভাগীয় প্রধান, দুই জুনিয়র ডাক্তার ও সিস্টার। রয়ে গেছে আয়া। দরিয়া তাকে জিজ্ঞাসা করল, “বিহান কোথায়?”

আয়া বলল, “একটু পরে তোমার বাবা আসবে। তার আগে ঘুমিয়ে নাও। আর এই ওষুধটা খেয়ে নাও।”

ওষুধ খাওয়ার পরেই আবার সেই মরণঘুম। আয়ার কোলে বাচ্চা দিয়ে ঘুমের অতলে তলিয়ে যাচ্ছে দরিয়া। ভেসে উঠছে, আবার তলিয়ে যাচ্ছে...

দরিয়ার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন শ্রীরূপা! অবাক কাণ্ড! দরিয়া স্বপ্ন দেখছে না তো?

শ্রীরূপার কোলে ফুল। তিনি নাতনির গন্ধ শুঁকছেন আর কাঁদছেন। আয়া তাঁর কোল থেকে ফুলকে নিয়ে দরিয়ার কোলে দিয়ে বলল, ‘‘খাওয়ার সময় হয়ে গেছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Series Novel Indranil Sanyal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy