Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব ১০
Novel

চুয়ান্ন

আমিও সামান্য হাসলাম। একটা লোক তখন থেকে লাল-খয়েরি দাঁতের প্যারেড দেখিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাকেও তো একটু হাসতে হয়।

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

স্মরণজিৎ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০০:১৮
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: তিতির বোঝানোয় কাজ হয়। পুঁটি নিজেকে সামলানোর চেষ্টা শুরু করে। দাড়ি কামিয়ে, চুল আঁচড়ে চেহারাটাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে। মন থেকে এনার কথা ঝেড়ে ফেলে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবে। কিন্তু তখনই তার বাড়ি আসে সাবু। সাবুর মুখে অন্য ছেলের সঙ্গে এনার ঘনিষ্ঠতার খবর পেয়ে ফের ধসে যায় পুঁটির মন। জোর করে সরানো মনখারাপ দ্বিগুণ উদ্যমে ফিরে আসে। অন্য দিকে এক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা নিজের অফিসে দেখা করতে ডেকে পাঠায় সাবুকে।

ঘরে একটা টেবিল। তার ও পারে এক জন মাঝবয়সি লোক বসে। মাথায় কাঁচা-পাকা চুল। ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি। মুখে পান। লোকটির পিছনের দেওয়ালে দলের লিডারের বড় বাঁধানো ছবি। পাশে একটা ফ্রেমে লিডারের সঙ্গে এই লোকটির ছবি। তা ছাড়া চার দিকে নানা পুজোর স্মারক ছড়ানো।

‘‘আসুন আসুন...’’ লোকটি হেসে সামনের চেয়ারটা দেখাল আমায়।

‘‘আমি সুশান্ত দে। লোকে কচিদা বলে,’’ লোকটা হেঃ হেঃ করে হাসল আবার।

আমিও সামান্য হাসলাম। একটা লোক তখন থেকে লাল-খয়েরি দাঁতের প্যারেড দেখিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাকেও তো একটু হাসতে হয়।

কচিদা বলল, ‘‘আমি আসলে আপনার সঙ্গে একটা কথা বলতে চাইছিলাম। একটা দরকার ছিল আর কী!’’

আমি বললাম, ‘‘হ্যাঁ বলুন কী বলতে চান।’’

কচিদা বলল, ‘‘আসলে কী জানেন, আমরা লোকজনের সঙ্গে থাকতে ভালবাসি। তাদের হয়ে কাজ করতে ভালবাসি। সমাজের সব স্তরে আমাদের পৌঁছতে হবে। সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। আসলে আমরা চাই...’’

আমি ঘড়ি দেখলাম। লোকটা যে ভাবে বক্তৃতা শুরু করছে, তাতে তো মনে হচ্ছে না দু’ঘণ্টার আগে থামবে। এরা ভুলে যায় যে, সবটাই মিটিংয়ের মঞ্চ নয়। সব জায়গায় ‘আমরা’ ‘আমরা’ বলে কথা বলার দরকার হয় না। আমার মনে হল, কচিদাকে বলি টেবিলের উপর উঠে দাঁড়িয়ে বকবক করতে। তা হলে ব্যাপারটা আরও জমে যাবে।

আমি মনে মনে ঠিক করে নিলাম যে, এখান থেকে বেরিয়ে আমায় এক বার পণ্ডিতিয়ায় যেতে হবে পুঁটির অফিসে। সেখান থেকে বেরিয়ে মায়ের জন্য মালিশের আয়ুর্বেদিক তেল কিনতে হবে। তার পর একটা বিয়েবাড়ি থেকে খাবার তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

‘‘আপনি কি শুনছেন আমি কী বললাম?’’ কচিদা আবার হাসি হাসি মুখ করে তাকাল।

আমি বললাম, ‘‘আপনারা কী এবং কী ভাবে, সেটা তো বুঝলাম। কিন্তু আমায় কেন ডেকেছেন বুঝতে পারলাম না।’’

‘‘আচ্ছা, আচ্ছা,’’ হাসল কচিদা, বলল, ‘‘আসলে আপনাকে আমাদের বেসিকটা বললাম আর কী! শুনুন না, আমরা আসলে চাইছিলাম যে, আপনাদের সংস্থার সঙ্গে একটা টাই আপ করতে। মানে আপনাদের আমরা টাকাপয়সার জোগান করিয়ে দেব। আর আপনারা শুধু বলবেন যে, আমরা আছি আপনাদের পাশে। আমাকে বা আমাদের নানা নেতাকে মাঝে মাঝে ওই খাবার বিতরণ করার সময় একটু পাশে নিয়ে নেবেন। আমাদের মঞ্চ থেকে মাঝে মাঝে আপনারা একটু সমাজসেবার কাজ করবেন। এতে আপনাদেরও লাভ হবে, আর আমাদেরও জনগণের হয়ে কাজ করার ব্যাপারে সুবিধে হবে।’’

আমি দীর্ঘশ্বাসটা লুকিয়ে ফেললাম। বুঝলাম কী চায় লোকটা। আমাদের কাজের সূত্রে বেশ ভালই একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। সেটাকেই জনসংযোগ আর নিজেদের প্রচারের জন্য কাজে লাগাতে চাইছেন এরা।

না, রাগ করলাম না। কেন করব? যে যার কাজ করছে। এতে রাগ করার কী আছে! বাবা বলে, আমাদের দেশে আসল সমস্যা হল, সারা ক্ষণ মানুষের নিজের ধর্ম থেকে বিচ্যুত হওয়া। না, এই ধর্ম মানে রিলিজিয়ন নয়। এ ধর্ম হল তার দায়িত্ববোধ থেকে, উচিত-অনুচিত বোধ থেকে উঠে আসা মনোবৃত্তি।

কচিদা আবার প্যারেড দেখাল। কারণে-অকারণে লোকটি বড্ড হাসে। লাফটার শো-র জাজ হয়ে যেতে পারে অনায়াসে।

আমি বললাম, ‘‘দেখুন আমার এই ব্যাপারে কিছু করার নেই। কারণ আমি তো চাকরি করি। আমাদের হেড অফিস দিল্লিতে। আমাদের এনজিও-র একটা গ্লোবাল প্রেজ়েন্স আছে। অনেক বড় বড় মানুষ আমাদের সঙ্গে যুক্ত। আমি এখানকার এই ছোট্ট উইংটা দেখি মাত্র। তবে আপনি যা বললেন, আমি আমার বসকে জানাব। উনি মাসে এক বার করে আসেন কলকাতায়। আমি অবশ্যই জানাব আপনাদের কথা। কেমন?’’

কচিদার মুখ দেখে বুঝলাম, আমি যে ওর কথাটা অফ স্টাম্পের বাইরের বলের মতো দেখে ছেড়ে দিলাম তাতে খুব একটা খুশি হয়নি। কিন্তু তবু হাসি থামাল না। বলল, ‘‘আপনাদের বস এলে তার সঙ্গে কথা বলা যায় কি?’’

আমি মানসচক্ষে দেখতে পেলাম আমার বস, মানে জিনাদিকে।

আমার বস জিনাদি লম্বা-চওড়া মহিলা। সামান্য জোড়া ভুরু। আর বিশাল দুটো চোখ। সারা ক্ষণ চেঁচিয়ে কথা বলে। সাংঘাতিক সিগারেট খায়। আর খুব ঠোঁটকাটা। কচিদার এ সব প্রস্তাব শুনলে মেরেই না দেয়! কারণ আমি যখন জয়েন করেছিলাম এই সংস্থায়, তখন জিনাদি স্পেসিফিকালি বলে দিয়েছিল, ‘‘শোন, দেখবি পলিটিক্যাল প্যারাসাইটরা তোদের ট্যাপ করবে। নিজেরা যা সব কাজকম্ম করে বেড়ায়, লোকজনের চোখে তো আর মান-সম্মান বলে কিছু থাকে না ওদের। তাই আমাদের মতো সংস্থাকে ওরা টার্গেট করে। এখানে সব রেডিমেড, শুধু দলের পতাকাটা সেঁটে দিলেই হল। ফলে বি অন ইওর গার্ড! আমরা বিদেশ থেকে ফান্ডিং পাই। এখানে কারও ধার ধারবি না। আর তেমন হলে আমায় জানাবি। আমি দেখব।’’

আমি উঠতে উঠতে কচিদাকে বললাম, ‘‘আমার বস জিনাদি। জিনা ব্যানার্জি। উনি এলে বলব। আজ আমি উঠি?’’

কচিদাও উঠে দাঁড়াল, ‘বলবেন কিন্তু। আমরা খুব হোপফুল এক সঙ্গে কাজ করার জন্য! আসলে বুঝতে পারছেন তো, চার দিকে বেকারি, অনাহার, দারিদ্র! লোকে খেতে পাচ্ছে না! চিকিৎসা পাচ্ছে না! মানে ইয়ে পাচ্ছে না...’’

আমি মনে মনে বললাম, ‘টেবিলে উঠুন না!’ মুখে বললাম, ‘‘আমায় ইয়েতে যেতে হবে। আমি এলাম। কেমন?’’

কচিদার স্পিচে বাধা পড়ায় সামান্য থতমত খেয়ে গেলেও সামলে নিল। বলল, ‘‘হ্যাঁ হ্যাঁ, আসুন। মনে রাখবেন কিন্তু।’’

চেম্বারের বাইরে আসামাত্র মনে হল ছ্যাঁকা লাগল গায়ে। জুলাই মাস। বৃষ্টি না হলেই গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে গরম। তার উপর এত ক্ষণ বসে ছিলাম ঠান্ডার মধ্যে।

আমায় দেখে নেপালদা উঠে দাঁড়াল। চোখেমুখে আতঙ্ক! আমি হাত তুলে বললাম, ‘‘রিল্যাক্স। ডোন্ট ওরি। চল যাই।’’

‘‘থ্রেট-ফেট করল না কি?’’ নেপালদা চোখ গোল গোল করে তাকাল।

আমি বললাম, ‘‘থ্রেট করতে যাবেন কেন? খুবই ভদ্র ব্যবহার করেছেন। চলো তুমি। কী সব

যে বলো!’’

নেপালদা আশ্বস্ত হল খানিক।

আমি রাস্তায় বেরিয়ে বললাম, ‘‘তুমি চলে যাও অফিসে। আমি একটু সাউথে যাব।’’

‘‘পুঁটির কাছে?’’ নেপালদা হাসল। অর্থপূর্ণ হাসি।

আমি চোয়াল শক্ত করলাম। নেপালদা কোনও ছেলে আর মেয়েকে এক সঙ্গে দেখলেই কিছু না কিছু ভেবে নেবে।

নেপালদা আমার কথা বুঝতে পারল যেন। বলল, ‘‘ঘি আগুন তোমরা। বুঝবে ঠিক। গরিবের কথা বাসি হলে সত্যি হয়!’’

আমি কিছু না বলে তাকালাম নেপালদার দিকে। মনে পড়ে গেল বেশ কয়েক বছর আগের একটা সময়ের কথা!

সে দিন শেষ বিকেল ছুঁয়ে পৃথিবী এগোচ্ছিল সন্ধের দিকে! আর একটা মুখ...

কিন্তু না, আর এ সব ভাবলাম না আমি। এ সব ভাবলেই আজকাল কেমন একটা লাগে।

বরং এ সবের সূত্র ধরে হঠাৎই মনে পড়ে গেল এনার কথা!

সে দিন কাফেতে সেই ছেলেটার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসেছিল এনা। আমায় দেখে সামান্য সরে বসেছিল মাত্র।

আমি ওদের সামনের চেয়ারে বসে বলেছিলাম, ‘‘বল, কী ব্যাপার। এমন করে ডাকলি কেন?’’

এনা জিজ্ঞেস করেছিল, ‘‘খাবি কিছু?’’

আমি মাথা নেড়ে বলেছিলাম, ‘‘আমায় বেরতে হবে। তুই বল না।’’

এনা সামান্য সময় নিয়ে পাশে বসা ছেলেটাকে দেখিয়ে বলেছিল, ‘‘ও রণজিৎ।’’

নামটা বলার সঙ্গে সঙ্গে একটা অর্থপূর্ণ হাসি দিয়েছিল। আমি বুঝলাম আমাকে সরাসরি না-বলেও ছেলেটা কে সেটা বোঝাতে চেয়েছিল এনা। আমি হেসে মাথা নেড়েছিলাম। আসলে ওরা তো আর জানে না ওদের আমি আগেই চুমু খেতে দেখেছি। ওদের ছবিও আমি তুলে রেখেছি।

এনা বলেছিল, ‘‘শোন সাবু, আমার কিছু রেকর্ড, কিছু বই আর একটা স্ট্যাম্প কালেকশন আছে ওই পুঁটির কাছে। তুই প্লিজ় নিয়ে রাখিস। আই উইল পিক আপ ফ্রম ইউ।’’

‘‘এই জন্য ডাকলি আমায়?’’ আমার একটু রাগই হয়েছিল, ‘‘এটা ফোনে বলা যেত না?’’

‘‘না মানে,’’ এনা একটু সময় নিয়েছিল। তার পর বলেছিল, ‘‘তুই প্লিজ় একটু পুঁটিকে দেখিস। আসলে খুব সেন্টিমেন্টাল তো! বুঝতে চাইছে না যে, আমার আর ওকে ভাল লাগছে না! সব সময় ছেলেমানুষি করলে হয়!’’

আমি কিছু না বলে তাকিয়েছিলাম এনার দিকে। ভাবছিলাম, সারা কলেজ লাইফ জুড়ে মেয়েটা কী জ্বালান না জ্বালিয়েছে পুঁটিকে। একদম ক্রীতদাস করে রেখেছিল। আর পুঁটিও যেমন ল্যা-ল্যা টাইপ!

মনে হচ্ছিল, এনার মাথাটা ধরে ঠুকে দিই দেওয়ালে। কিছু মানুষ আছে যারা সারা ক্ষণ অন্যদের ব্যবহার করে যায়! ভুলে যায় যে, তারা যাদের ব্যবহার করছে তারাও মানুষ।

আমি বলেছিলাম, ‘‘আমি কী দেখব? ও যথেষ্ট বড় হয়েছে। নিজের ভাল নিজে বোঝে।’’

‘‘দেখ সাবু,’’ এনা এ বার সামনের দিকে ঝুঁকে বসেছিল, ‘‘আমরা সবাই জানি, তুই ওকে পছন্দ করিস। তাই তোকে বললাম!’’

আমি ওকে পছন্দ করি? সবাই জানে?

আমি বলেছিলাম, ‘‘দেখ ও সব কিছু না। তোরা ভুল ভাবিস।’’

এনা হেসে আবার পিছিয়ে বসেছিল। ভাবটা এমন যে ও সব বোঝে!

আমার মনে হচ্ছিল, পটাং পটাং করে ওকে ধরে চাঁটাই। এমন সবজান্তা মানুষগুলো দেখলে গা-পিত্তি জ্বলে আমার। নিজেদের কিছু করার মুরোদ নেই, সারা ক্ষণ অন্যদের নিয়ে পেঁয়াজি করে যাচ্ছে। পৃথিবীর কে কী করছে, কে কী ভাবছে, কে কী ভুল করল ব্যাটারা সব জানে! শুধু নিজেদের কিছু করতে বললেই হাল খারাপ! প্যারাসাইট সব।

আমি উঠে পড়েছিলাম। আর বসে কী হবে? আবোল তাবোল সুকুমার রায় বললেই ঠিক আছে, বাকিরা বললে মনে হয় কলকাতা কাত করে সমুদ্রে ফেলে দিই!

এনার সঙ্গে দেখা হওয়ার কয়েক দিন পর গিয়েছিলাম পুঁটির বাড়িতে।

ওদের বাড়িটা সার্কাসের বিশাল তাঁবুর মতো! এত লোকজন! সারা ক্ষণ মনে হয় কিছু না কিছু একটা উৎসব হবে হবে করছে।

আমি সোজা উপরে উঠে গিয়েছিলাম। সিঁড়ি দিয়ে উঠে ওদের লম্বা করিডর। শেষ মাথায় ওর ঘর। আমি করিডরের অন্য প্রান্তে দেখেছিলাম তারে ভেজা তোয়ালে মেলছে ও। লেমন কালারের পাঞ্জাবি আর পাজামা। সকালের আলো এসে লাগছিল ওর গায়ে। শেভ করার পরের গালে কেমন যেন ক্লোরোফিলের আভা। ভেজা আঁচড়ানো চুলের একটু কপালে নেমে এসেছে। থ্রি কোয়ার্টার করে গোটানো পাঞ্জাবির তলা দিয়ে বেরিয়ে থাকা বাঁ হাতে একটা সোনার চেন। অনেক দিন পর কেমন যেন ফ্রেশ লাগছিল পুঁটিকে। আফটার শেভের আশ্চর্য গন্ধ এত দূর থেকেও আঁকশি দিয়ে টানছিল আমায়! আমি বুঝতে পারছিলাম লামাদাদুর ছাদের পাখিদের কয়েকটা কখন যেন এসে ঢুকে পড়েছে আমার বুকে! শ্বাস নিতে কী যে কষ্ট হচ্ছিল আমার! আমি পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম ওর দিকে। আর দূরত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হচ্ছিল ওর পাঞ্জাবির উপরের সূক্ষ্ম চিকনের কারুকাজ। কিন্তু শুধু কি সেটাই স্পষ্ট হচ্ছিল? আর কিছু কি স্পষ্ট হচ্ছিল না?

নিজেকে সামলেছিলাম আমি। স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলছিলাম। তার পর হঠাৎ এনার কথা বলামাত্রই দেখেছিলাম কেমন যেন ঘেঁটে গিয়েছিল ছেলেটা! আমি যে ওকে এনার জিনিসগুলো ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলাম, সেটাও ভাল করে শোনেনি। শুধু বলেছিল, ‘‘দিয়ে দেব... সব দিয়ে দেব। আর কিছু নেই তো আমার! তাও সব... সবটা...’’

অন্য বিষয়গুলি:

Novel Chuanna Smaranjit Chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy